
তুরস্কের ইস্তাম্বুলের মেয়র একরেম ইমামোগলুর গ্রেফতারকে কেন্দ্র করে দেশজুড়ে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। তৃতীয় দিনের মতো শহরের রাস্তা অবরোধ করে আন্দোলনে নামেন বাসিন্দারা। এর জেরে প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, আন্দোলনের নামে বিশৃঙ্খলা ও সহিংসতা মেনে নেবে না সরকার।
বুধবার ইস্তাম্বুলের মেয়র একরেম ইমামোগলুকে গ্রেফতারের পর থেকে ইস্তাম্বুল, আঙ্কারা ও অন্যান্য শহরে হাজারো মানুষ রাস্তায় নামে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাদের বিক্ষোভেও উত্তাল রাজপথ। বিগত এক দশকের মধ্যে এটিই তুরস্কের সবচেয়ে বড় গণ আন্দোলনে রূপ নিতে যাচ্ছে বলে ধারণা বিশ্লেষকদের।
এরই ধারাবাহিকতায় শুক্রবার বিক্ষোভ চলাকালে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ বাধে আন্দোলনকারীদের। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দিকে জ্বলন্ত ধাতব কার্ট ঠেলে দেয়ার পাশাপাশি, মরিচের স্প্রে এবং পাথরও ছোঁড়ে তারা। এতে, বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে জলকামান ও কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে পুলিশ।
আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, একরেম ইমামোগলু এরদোয়ানের প্রধান রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বী এবং তিনি ২০২৮ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থিতা ঘোষণার কথা ভাবছিলেন। কয়েক দিনের মধ্যে তিনি ঘোষণাও দিতেন বলেও জানা গেছে। কিন্তু তার আগেই বুধবার তাকে গ্রেফতার করা হয়।
চলমান অস্থিরতার মধ্যে দেশটির প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, সরকার ‘বিপথগামীদের’ কোনো ধরনের সহিংসতা সহ্য করবে না। তার দাবি, মেয়রের গ্রেফতার রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত নয়। বরং তুরস্কের বিচার বিভাগ স্বাধীনভাবে যথাযথ কারণে তাকে গ্রেফতারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
একইসঙ্গে, বিক্ষোভের ডাক দিয়ে দেশে অস্থিতীশীল পরিস্থিতি তৈরি করা বেআইনী বলেও মন্তব্য করেন তিনি। তবে ইউরোপীয় নেতারা একে গণতান্ত্রিক সংকট বলে সমালোচনা করেছেন।
এদিকে, প্রেসিডেন্টের হুঁশিয়ারি অগ্রাহ্য করে সমর্থকদের প্রতি শান্তিপূর্ণভাবে আরও জোরদার আন্দোলনের ডাক দিয়েছেন দেশটির প্রধান বিরোধী দল রিপাবলিকান পিপলস পার্টির নেতা ওজগুল ওজেল। তার দলের দাবি, ইমামোগলুর গ্রেফতার একটি ‘কূটচাল’। আদালত রোববার একরাম ইমামোগলুর বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। যা আন্দোলনকে আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে বলে ধারণা গণমাধ্যমের।
বাংলাদেশ সময়: ১২:৫৫:০৭ ১৪ বার পঠিত