
জামালপুর প্রতিনিধি : সৌদি আরব ও মধ্যপ্রাচ্যের সাথে মিল রেখে জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলার ১৬ গ্রামের মুসল্লীরা ঈদুল ফিতর নামাজ আদায় করেছেন।
আজ রবিবার (২৯ মার্চ) সকালে সরিষাবাড়ি পৌরসভার বলার দিয়ার মধ্যপাড়া মাস্টার বাড়ী জামে মসজিদসহ পৃথক চার জায়গায় এ ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। দেখা যায়, ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে পুরুষের পাশাপাশি নারীরাও ঈদের নামাজে অংশগ্রহণ করেন।
উপজেলার বলারদিয়ার, মুলবাড়ী, সাতপোয়া, সাঞ্চারপাড়, পঞ্চপীর, পাখাডুবি, বনগ্রাম, বালিয়া, বাউসী, হোসনাবাদ, পাটাবুগা, পুটিয়ারপাড়, বগারপাড়, উচ্চগ্রাম, চর লোটাবর ও করগ্রাম গ্রামের প্রায় ৪ শতাধিক মুসল্লী এ নামাজে অংশগ্রহণ করেন। এতে বলারদিয়ার জামে মসজিদের খতিব মাওলানা আজিম উদ্দিন মাস্টার ঈদুল ফিতরের নামাজে ইমাম হিসাবে দ্বায়িত্ব পালন করেন।
নামাজ আদায় করতে আসা মুসল্লীরা জানান, দীর্ঘ একমাস সিয়াম সাধনার পর সারাদেশে (৩১ মার্চ) সোমবার মুসলমানদের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল ফিতর পালন হবে। কিন্তু আমরা সরিষাবাড়ী পৌরসভার বলারদিয়ার মাস্টার বাড়ী জামে মসজিদ মাঠে মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে মিল রেখে ১৬ গ্রামে প্রায় ৪ শতাধিক মুসল্লী প্রতিবারই ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযহা উদযাপন করি। তারই ধারাবাহিকতায় আজ রবিবার (৩০ মার্চ) সকাল ৮টায় ঈদুল ফিতরের নামাজ অনুষ্ঠিত হবে। আমরা সকলেই ঈদের নামাজ পড়তে এসেছি।
এ ব্যাপারে ইমাম আজিম উদ্দিন মাস্টার বলেন, আমরা সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে মিল রেখে রমযানের রোজা শুরু করি। তাই ওই সকল দেশের সঙ্গে মিল রেখে ঈদের নামাজ এবং ঈদ আনন্দ উৎসব করে থাকি। মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে বাংলাদেশের সময়ের পার্থক্য মাত্র তিন ঘন্টা। মধ্যপ্রাচ্যের চন্দ্র উদয়ের পুরো একদিন পর বাংলাদেশে ঈদের নামাজ আদায় করা হয়। এটা কতটুকু যুক্তিসঙ্গত অন্যদের ভেবে দেখা দরকার। তাই আমরা একদিন আগে রোজা শুরু করি এবং একদিন আগে ঈদ উৎসব পালন করে আসছি।
সরিষাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা চাঁদ মিয়া বলেন, দীর্ঘদিন ধরে এ উপজেলায় সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে কয়েকটি গ্রামের মানুষ রমযানের রোজা ও ঈদের নামাজ আদায় করে আসছেন। সেই ধারাবাহিকতায় এ বছরও তারা সুষ্ঠু সুন্দর শান্তিপূর্ণ ভাবে পঞ্চপীর, বনগ্রাম, উচ্চ গ্রাম ও বলার দিয়ার দক্ষিণ পাড়া এলাকায় এসে পৃথক চার স্থানে ঈদের নামাজ আদায় করেছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৫:২০:৫০ ৮৪ বার পঠিত