
নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দিন বলেন, “খারাপ অবস্থায় কিংবা ভালো অবস্থায় সবসময় আমরা আপনাদের সাথে আছি। কেন আছি? এই মাটিতে জন্ম, এই মাটিতে মৃত্যু চাই। এই মানুষের সাথে মিলে মিশে কাজ করতে চাই। এলাকার উন্নয়নে ক্ষমতায় থাকি কিংবা ক্ষমতার বাহিরে থাকি, উন্নয়নে কাজ করতে চাই।”
সোমবার (৬ এপ্রিল) ফতুল্লার কুতুবপুর ইউনিয়নের ১, ২ ও ৩নং ওয়ার্ড বিএনপি আয়োজিত ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, “শেখ হাসিনা স্বৈরাচার ২০১৪, ২০১৮, ২০২৪ সালের নির্বাচনে জনগণের যে ভোটের অধিকার ছিল, সেই ভোট প্রয়োগ করতে দেয়নি। তারা নিজেদের নির্বাচিত ঘোষণা করেছে। আপনারা জানেন, নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের কথায় বলি, এই ৪ আসনে গত তিনবার নির্বাচনে জনগণ ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেনি। স্বঘোষিত এমপি ছিলো, নির্বাচিত কোনো এমপি ছিলো না এখানে। স্বঘোষিত এমপি এবং এই স্বঘোষিত এমপি জনগণের কল্যাণে কাজ করেনি।”
গিয়াসউদ্দিন আরো বলেন, “শুধু তার পরিবার-পরিজনকে লুটপাট, চাঁদাবাজি, সম্পদ লুণ্ঠন, রাস্তা নির্মাণে কোটি টাকা নেওয়া হয়েছে। এমন জায়গা নেই, ক্ষেত্র নেই যেখানে সে চাঁদাবাজি করেনি। জনগণের মাথার উপর অনির্বাচিত হয়ে সে জনগণকে শোষণ করেছে। এখন সে পরিবারসহ বিদেশে পালিয়ে আছে।”
তিনি বলেন, “জিয়াউর রহমান দেশের কল্যাণে, দেশের মানুষের কল্যাণে বিএনপিকে কাজ করার জন্য একটি আদর্শ রেখে গেছেন। তার সহধর্মিণী বেগম খালেদা জিয়া সকল স্বৈরশাসকের বিরুদ্ধে, অন্যায়ের বিরুদ্ধে আন্দোলন সংগ্রাম করেছেন এবং জাতির কাছে তিনি সম্মানজনক খেতাব পেয়েছেন। তিনি ছিলেন আপোষহীন।”
তিনি আরও বলেন, “আমরা আন্দোলন সংগ্রাম করেছি, অনেক মামলা-মোকদ্দমা, অনেক মা সন্তানহারা হয়েছে, অনেক বোন বিধবা, অনেক স্বামী হারা হয়েছে। নিষ্ঠুরভাবে মানুষকে হত্যা করেছে এই শেখ হাসিনা। শেখ হাসিনা সারাদেশে স্বৈরশাসন কায়েম করেছে, নারায়ণগঞ্জ ছিল অন্যতম কারণ এখানে তার সবচেয়ে বেশি প্রিয় ও আপনজন সন্ত্রাসীদের গডফাদার ছিল।”
কুতুবপুর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি নজরুল ইসলাম মেম্বার ও ২নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি আলিফ উদ্দিন’র সভাপতিত্বে উক্ত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ফতুল্লা থানা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি সুলতান মাহমুদ মোল্লা, সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট আব্দুল বারি ভুইয়া, যুগ্ম-সম্পাদক এডভোকেট খন্দকার আক্তার হোসেন, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির সভাপতি মাজেদুল ইসলাম, সহ-সভাপতি জিএম সাদরিল, কুতুবপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি হাজী বিল্লাল হোসেন, ফতুল্লা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি হাসান মাহমুদ পলাশ, জেলা কৃষক দলের যুগ্ম-আহ্বায়ক নাছির প্রধান, জাকির হোসেন ও কুতুবপুর ইউনিয়ন বিএনপির ৯নং ওয়ার্ড বিএনপির সহ-সভাপতি তোফাজ্জল হোসেন প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।
বাংলাদেশ সময়: ২২:৩২:৫৭ ৮ বার পঠিত