
পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা বলেছেন, বাংলাদেশ বিশ্বের মধ্যমনি। ভারত, চীনসহ আমাদের চার পাশে প্রায় তিনশ কোটি মানুষের বসবাস। যেখানে ভারত ও চীন অর্থনীতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। আমরাও সেই বাতাসেই এগিয়ে যেতে চাই।
শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) সকালে রাঙামাটি পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক ও বৌদ্ধ সংস্কৃতি বিকাশে করণীয় শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় তিনি আরও বলেন, আর এই এগিয়ে যাওয়ায় ক্ষেত্রে আমাদের কিছু দায়িত্ব নিতে হবে। সেগুলো হচ্ছে দেশটাকে অসম্প্রদায়িক বানাতে হবে, সবাইকে সম অধিকার দিতে হবে। আপনাদের চিন্তা করার কোন অবকাশ নাই যে বৃহৎ জনগোষ্ঠী আপনাদের পেছনে ফেলে রাখবে। তিনি আরও বলে প্রতিটা ধর্মেই অর্থনৈতিক দিক নির্দেশনা রয়েছে। বৌদ্ধ ধর্মও তার ব্যতিক্রম নয়। আজকের সেমিনারে বিষয়বস্তুতেও আর্থ-সমাজিক বিষয়টি অন্তর্ভূক্ত আছে।
পার্বত্য চট্টগ্রাম ইস্যুতে উপদেষ্টা বলেন, পার্বত্য এলাকায় কৃষির সম্ভাবনা রয়েছে, তার কতটুকু আমাদের এলাকার মানুষ গ্রহণ করতে পেরেছে। কেন পারলো না সেটা আমাদের ভাবতে হবে। সরকার তো বরাদ্ধ কম দেয় না। এবারও প্রায় ৫০০ কোটি টাকা শুধু পার্বত্য চট্টগ্রাম মন্ত্রনালয়কে দেয়া হয়েছে। এছাড়াও অন্যান্য মন্ত্রনালয় থেকে বরাদ্ধ আসে। তবুও কেন এলাকার উন্নয়ন হয়না সেটা ভেবে দেখতে হবে।
পাহাড়ের পর্যটন নিয়ে তিনি বলেন, অপার সম্ভাবনা থাকার পরও তার বিকাশ ঘটাতে পারিনি। এই দায় কার। ষাটের দশকে কাপ্তাই বাধের ফলে আমরা সবনকিছু হারিয়ে ফেলেছি এই ধারণা নিয়ে থাকলে চলবে না। এই কাপ্তাই হ্রদ এখন সোনার রুপান্ত হয়েছে। শুধু পরিকল্পনা করে কাজে লাগাতে হবে। সে কাজগুলো কেউ করছে না।
পর্যটন ও মৎস্য খাত তো জেলা পরিষদের হাতে ন্যাস্ত। তারা কোনো পরিকল্পনা গ্রহণ করেন না। শুধু এই হ্রদকে পরিকল্পনা মাফিক ব্যবহার করা গেলে তিন পার্বত্য জেলার অর্থনৈতিক চেহারাই বদলে যাবে।
তিনি বলেন, আমি চাই এই এলাকার উন্নয়ন পরিকল্পনা এখানকার মানুষই করুর। তাহলে সেটা টেকসই হবে। সমতলে বিশেষজ্ঞ এনে পরিকল্পনা করা হলে তা স্থায়িত্ব পাবে না। অতিতে এমন প্রচুর নজির রয়েছে।
সেমিনারে আরও বক্তব্য রাখেন, বৌদ্ধ ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের ভাইস চেয়ারম্যান ভবেশ চাকমা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ও বৌদ্ধ তত্তবিদ সুকোমল বড়ুয়া, মনি স্বপন দেওয়ান, মং সার্কেল চিফ সাচিং প্রু চৌধুরী, অশোক কুমার চাকমা প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৬:০৯:১৫ ১৭ বার পঠিত