
জামালপুর প্রতিনিধি : জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে ভূমি অধিগ্রহণ প্রকল্পের চেক বিতরণে গড়িমসি ও নানা অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) সকালে পৌরসভার কোনাবাড়ী গ্রামের আব্দুল লতিফ সরকারের ছেলে আশরাফ সরকার নিউজ টু নারায়ণগঞ্জ কে এতথ্য নিশ্চিত করেছেন।
ভুক্তভোগী আশরাফ সরকার অভিযোগ করে বলেন, জামালপুর জেলার সড়ক ও জনপথ বিভাগের আওতায় দিগপাইত-সরিষাবাড়ী-তারাকান্দি সড়কের যথাযথ মান ও প্রশস্ততা উন্নীতকরণ শীর্ষক প্রকল্পের ভূমি অধিগ্রহণের নির্দেশনা দেন সরকার। এরপর জামালপুর জেলা প্রশাসক তথা সড়ক ও জনপদ বিভাগ ভূমি অধিগ্রহণের কাজ শুরু করেন।
এরই ধারাবাহিকতায় সরিষাবাড়ী উপজেলাধীন হালুয়াঘাট সিমলা মাধব মৌজার আরএস ৮৪ নং খতিয়ানের আরএস ১৯১ নং দাগের ৯ শতাংশ ভূমি ও ভূমিতে থাকা বসতবাড়ি সহ নানা স্থাপনা ভূমি অধিগ্রহণকৃত ভূমিতে পড়ে যায়। যার ফলে ভূমি অধিকরণকৃত প্রকল্পের সংশ্লিষ্টরা ভূমিতে সারাতে বলেন সকল অবকাঠামো স্থাপনা। কিন্তু সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ভূমি অধিগ্রহণের ক্ষতিপূরণ পরিশোধ না করেই ১১ এপ্রিল জোরপূর্বক ভ্যকু দিয়ে আমাদের বসতবাড়ি ভেঙে দেয়। বর্তমানে আমরা ভাঙ্গা ঘরে নিরাপত্তাহীনতায় মানবেতর জীবন যাপন করছি।
ভুক্তভোগী আরো জানান, এঘটনায় জামালপুর জেলা প্রশাসকের নিকট অভিযোগ দিলেও এর কোনো প্রতিকার পাননি। শুধু অনিয়মে ধূম্রজালে ঘুরপাক খাচ্ছি।
আশরাফ সরকারের পিতা আব্দুল লতিফ সরকার বলেন, ভূমি অধিগ্রহণ শাখার সার্ভিয়ার ইসমাইল হোসেন ও কম্পিউটার অপারেটর সেলিমের যোগসাজশে জামালপুর সদর উপজেলার পিঙ্গলহাটি গ্রামের আলাল উদ্দিন এর ছেলে আনিছুর রহমানের নামে অসৎ উপায় অবলম্বন করে আশরাফ সরকারের জমি তার নামে তালিকায় অর্ন্ত:ভুক্ত করে নেয়। যার কোন প্রকার স্বত্ব, স্বার্থ বা ভূমি দখল নেই। শুধুমাত্র তার নাম তালিকায় অর্ন্তভুক্ত করায় প্রকৃত ভূমি মালিক জমি অধিগ্রহনের টাকা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে বলে তিনি অভিযোগ করেন। তাদের এসব প্রতারণায় এলাকায় জনসাধারণের মধ্যে চাপা ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, গত বছরের (১৯ আগস্ট) আনিছুর রহমানের নাম কর্তনের জন্য জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে আবেদন করেন আশরাফ সরকার। এরপর জেলা প্রশাসক উভয় পক্ষদ্বয়কে নোটিশ করে অফিসে আসতে বলেন। কিন্তু আনিসুর রহমান নোটিশ পেয়েও শোনানিতে অংশগ্রহণ করেননি। এরপর দ্বিতীয় বার শুনানির নোটিশ করলেও তাতেও তিনি হাজির হননি। এরপরেও আনিছুর রহমানের নাম তবিয়তেই রয়েছে কর্তনের কোনো ব্যবস্থা নেননি কর্তৃপক্ষ।
এঘটনায় ভুক্তভোগী পরিবার বলেন, ঘরের আসবাবপত্র ভাংচুরের ক্ষতিপূরন ও ভূমির মুল্যের অতিরিক্ত ৫% টাকাসহ ভূমিতে থাকা অবকাঠামোর ক্ষতিপূরণের অর্থের চেক ভূমির প্রকৃত মালিকের কাছে হস্তান্তরের দাবী জানান তারা।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত আনিসুর রহমানের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তার ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে জামালপুরের জেলা প্রশাসক হাসিনা বেগম সাংবাদিকদের জানান, এ বিষয়টি জেনে প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭:৫৪:১৮ ১২০ বার পঠিত