পুলিশে আস্থা-বিশ্বাস ফিরেছে: প্রধানমন্ত্রী

প্রথম পাতা » ছবি গ্যালারী » পুলিশে আস্থা-বিশ্বাস ফিরেছে: প্রধানমন্ত্রী
রবিবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৮



বাংলাদেশ পুলিশের প্রশংসা করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, একটি দেশকে উন্নত করতে হলে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে রাখা আর বাংলাদেশের পুলিশ সততার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে তা অর্জনে সক্ষম হয়েছে।

রবিবার সকালে গণভবনে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে রংপুর ও গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ ইউনিটের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।

পুলিশের উপর মানুষের আস্থা ও বিশ্বাস ফিরেছে এমনটা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের পুলিশ বাহিনী অত্যন্ত সততার সাথে দায়িত্ব পালন করে বাংলাদেশের জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সক্ষম হয়েছে। এখন পুলিশের ওপর মানুষের একটা আস্থা বিশ্বাসও ফিরে এসেছে, যেটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করি।’

জঙ্গিবাদ নির্মূলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অবদানের কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, ‘দেশে যখন জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস বাংলা ভাই সৃষ্টি হয়েছে তাদের মোকবেলায় পুলিশ র‌্যাবসহ অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বলিষ্ঠ ভূমিকা প্রশংসার দাবি রাখে।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজকে বিশ্বব্যাপী জঙ্গি-সন্ত্রাস একটা বড় সমস্যা। বাংলাদেশের মতো ঘনবসতিপূর্ণ ছোট্ট জায়গায় জঙ্গিবাদ দমনে আমরা সফলতা অর্জন করি। পুলিশের সময়োচিত পদক্ষেপ নিয়েছে বলেই বাংলাদেশে জঙ্গিবাদ দমন হয়েছে। এজন্য পুলিশ বাহিনীকে ধন্যবাদ জানান তিনি।

দেশকে উন্নত করতে শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখার প্রয়োজনীয়তার কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর আন্তরিকতা, সততা, নিষ্ঠা, একাগ্রতা আমি যা দেখেছি তা অতুলনীয়। আমাদের পুলিশ বাহিনী অত্যন্ত নিষ্ঠার সাথে দায়িত্বজ্ঞানসম্পন্ন এবং সততার সাথে তাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে।’

‘এজন্য পুলিশ বাহিনীকে আমি আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জানাই যে তারা নিয়ম থেকে আন্তরিকতা সাথে কাজ করেছে।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি দেখেছি একটা কোনো ঘটনা ঘটলে রাতদিন যখনি হোক আমি যখনি তাদের ফোন করেছি সাথে সাথে সাড়া পেয়েছি। সাথে সাথে তারা ব্যবস্থা নিয়েছেন।’

‘পুলিশের কোনো কর্মঘণ্টা নেই। বিএনপি-জামায়াত জোটের অগ্নিসন্ত্রাসের শিকার হয়েছে পুলিশ বাহিনী। প্রায় ২৭ জন পুলিশ নিহত হয়েছে সেই সময়,’ যোগ করেন তিনি।

পুলিশ বাহিনীর প্রশংসা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের জনসংখ্যা বেড়েছে সেই তুলনায় পুলিশের সংখ্যা বাড়েনি। জনগণকে সেবা দিকে সবচেয়ে বেশি কষ্টটা করতে হয় পুলিশ বাহনীকে। তাদের কাজের কোনো কর্মঘণ্টা নাই, সময় নাই, ছুটি নাই। রাত নাই দিন নাই যখনি মানুষের সেবা দরকার তখনি তাদের ছুটে যেতে হচ্ছে, কাজ করতে হচ্ছে।’

পুলিশ বাহিনীর সুযোগ সুবিধার কথা বলতে গিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় এসে আমি দেখেছি- মাত্র ২০ শতাংশ পুলিশ রেশন পেত, আমি সেখান থেকে তা বাড়িয়ে দিয়েছি, ঝুঁকি ভাতা চালু করা থেকে শুরু করে অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করতে পদক্ষেপ নিয়েছি। তাদের আবাসন ব্যবস্থা করেছি।’

এ সময় উদ্বোধন করা গাজীপুর ও রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ নিয়েও কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। বলেন, জনগণের সেবা জনগণের কাছে পৌঁছে দিতে এবং সময়মত সেবা দিতে রংপুর বিভাগ করা হয়েছে। জনসেবাই আমাদের লক্ষ্য। সে লক্ষে জনগণের সেবা নিশ্চিত করতে রংপুরকে প্রশাসনিকভাবে একটা আলাদা বিভাগ করা হয়েছে। আর গাজীপুরে কর্মচাঞ্চল্য বৃদ্ধি পাচ্ছে সেদিকে লক্ষ্য রেখে আমরা গাজীপুরে একটি মেট্রপলিটন গড়ে তোলা হয়েছে। যাতে করে মানুষ কাঙিক্ষত সেবা পায় সেবাটা দ্রুত পায়, বিশেষ করে পুলিশ বাহিনীর জন্য মানুষ সেবাটা পায় সেজন্য মেট্রোপলিটন পুলিশ গড়ে তোলা হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৬:২০:২৬   ২৫২ বার পঠিত  




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

ছবি গ্যালারী’র আরও খবর


সিলেটের সঙ্গে সারাদেশের রেল যোগাযোগ বন্ধ
আজকের রাশিফল
আল কোরআন ও আল হাদিস
গুজব উপেক্ষা করে জনগণ ভ্যাকসিন নিচ্ছে
অর্পিত সম্পত্তি বিষয়ক চিহ্নিত সমস্যাগুলো যথাযথ সংশোধন করা হবে - ভূমি সচিব
৬টি সেক্টরকে শিশুশ্রমমুক্ত ঘোষণা করলো সরকার
ফসল উৎপাদন বাড়াতে অঞ্চল ভিত্তিক ‘জোন ম্যাপ’ প্রণয়নের ওপর গুরুত্বারোপ প্রধানমন্ত্রীর
দেশের সিটি কর্পোরেশন ও পৌরসভাগুলোতে জনস্বাস্থ্য নিয়ে কাজ করতে চায় যুক্তরাষ্ট্র - এলজিআরডি মন্ত্রী
হঠাৎ অজানা কারণেই বেড়ে গেলো পেঁয়াজের দাম
স্পীকারের সাথে বাংলাদেশে নিযুক্ত সুইডেনের রাষ্ট্রদূত অ্যালেজান্ড্রা বের্গ ভন লিনডে-র সৌজন্য সাক্ষাৎ

আর্কাইভ