বর্তমান সরকারের আমলে মাদ্রাসা শিক্ষায় সবচেয়ে বেশি উন্নয়ন হয়েছে দাবি করে শিক্ষকদের আচরণে আক্ষেপ করেছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ।
মন্ত্রী বলেন, ‘আমার গত ১০ বছরে মাদ্রাসা শিক্ষার যে উন্নতি করেছি গত ৩০ বছরেও সেটা সম্ভব হয়নি। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে দেখা যায় নির্বাচনের সময় এই মাদ্রাসার হুজুরেরাই জামায়াত শিবিরের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে শেখ হাসিনার বিপক্ষে প্রচারণা চালায়। তারা বলে বেড়ায় নৌকায় ভোট দিলে দেশে ইসলাম ধর্ম থাকবে না।’
শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে শিক্ষা দিবস -২০১৮ উপলক্ষে আওয়ামী লীগের শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক উপ কমিটির সেমিনারে কথা চলছিলেন নাহিদ।
বর্তমান সরকারের আমলে মাদ্রাসা শিক্ষার বিষয়টি আলোচিত দুই কারণে। কওমি মাদ্রসা শিক্ষার সনদের স্বীকৃতির সিদ্ধান্ত হয়েছে এই আমলেই। আবার আলিয়া মাদ্রাসায় ব্যাপক অবকাঠামোগত উন্নতি হয়েছে।
সম্প্রতি এক হাজার আটশ মাদ্রাসার উন্নয়নে পাঁচ হাজার ৯১৮ কোটি টাকার একটি প্রকল্পও অনুমোদন দিয়েছে সরকার। প্রতিটি মাদ্রাসায় খরচ হবে তিন কোটি টাকার বেশি।
আলোচনায় এই বিষয়গুলোর উল্লেখের পাশাপাশি শিক্ষা বিস্তারে বর্তমান সরকারের আমলে নেয়া নানা উদ্যোগ এবং ভবিষ্যত পরিকল্পনার কথা তুলে ধরেন। বিশেষ করে কারিগরি শিক্ষায় অগ্রগতির কথা জানান তিনি।
নাহিদ বলেন, ‘উন্নত দেশে কারিগরি শিক্ষাকেই বেশি প্রধান্য দেয়া হয়। সেদিক থেকে আমরা অনেক পিছিয়ে রয়েছি। তবে আমাদের কারিগরি শিক্ষার হার আগে ছিল এক শতাংশ। সেটা থেকে ইতোমধ্যে আমারা ১৪ শতাংশে এ আনতে সক্ষম হয়েছি এবং ২০২০ সালের মধ্যে এটা ২০ শতাংশ হবে বলে আশা করি।’
৯৯.২৭ শতাংশ ছেলেমেয়ে প্রাথমিকে স্কুলে যাওয়া এবং ঝরে পড়ার হার কমিয়ে আনার কথাও তুলে ধরেন শিক্ষামন্ত্রী। বলেন, ‘শিক্ষা খাতে অগ্রগতির জন্য জাতিসংঘ আমাদের ছয় বছরের একটা টাইমলাইন দিয়েছিল। কিন্তু আমারা সেটা দুই বছরে অর্জন করে বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দিয়েছি।’
‘আজ বহিঃবিশ্বের অনেক দেশই তাদের শিক্ষার বিস্তারের লক্ষ্যে আমাদের কাছে টিপস চাচ্ছে। তারা আমাদের শিক্ষার তরিৎ উন্নতি দেখে আশ্চর্য হচ্ছে।’
এর পরেও কিছু মহলের নেতিবাচক কথাবর্তায় হতাশার কথাও বলেন মন্ত্রী। বলেন, ‘বর্তমানে কিছু মহল আমাদের এবং আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থাকে হেয় প্রতিপন্ন করার লক্ষ্যে প্রশ্নপত্র ফাঁসের মিথ্যা প্রচারণা চালায়। তারা সমাজ ও দেশের শত্রু।’
আওয়ামী লীগের শিক্ষা মানবসম্পদ উপ-কমিটির চেয়ারম্যান জনাব আব্দুল খালেক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক বজলুল হক, আব্দুস সামাদ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মিজানুর রহমান প্রমুখ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬:২২:০৭ ১৯৩ বার পঠিত