সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করতে শপথ নিলেন সারাদেশ থেকে আসা আওয়ামী লীগ ও বিএনপির ৪০০ জন নেতা। ছিলেন দুই দলের কেন্দ্রীয় নেতারাও।
অংশগ্রহণমূলক ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করতে বিশেষ প্রচারাভিযান ‘শান্তিতে বিজয় ক্যাম্পেইন’ এ এসে এই শপথ নেন তারা। সোমবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এর উদ্বোধন করা হয়।
শপথনামায় বলা হয়, ‘আমি বিশ্বাস করি, একমাত্র সহনশীল ও শান্তিপূর্ণ রাজনীতিই দেশের মানুষের কল্যাণ আনতে পারে। আমি বিশ্বাস করি, যারা শান্তিপূর্ণ রাজনীতি চর্চা করবে দেশের মানুষ তাদেরকেই সমর্থন করবে। তাই আমি অঙ্গীকার করছি, আমি সহনশীল ও শান্তিপূর্ণ রাজনীতির চর্চা করব।… শান্তি জিতলে জিতবে দেশ।’
মার্কিন সহযোগিতা সংস্থা ইউএসএআইডি ও যুক্তরাজ্যের সহযোগিতা সংস্থা ইউকে এইডের যৌথ অর্থায়নে ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনাল নামে একটি সংগঠনের ‘স্ট্রেংদিং পলিটিক্যাল ল্যান্ডস্কেপ’ প্রকল্পের আওতায় এই প্রচারাভিযান শুরু হয়েছে।
এ সময় আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম, ক্ষমতাসীন দলের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক হাছান মাহমুদ, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক শাম্মী আহমেদ, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান, সহসহভাপতি চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফ সেলিমা রহমান, চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফ, সাংগঠনিক সম্পাদক নজরুল ইসলাম মঞ্জু, বিলকিস জাহান শিরিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত মার্শা স্টিফেনস ব্লুম বার্নিকাট, যু্ক্তরাজ্যের হাইকমিশন অ্যালিসন ব্লেকও এ সময় বক্তব্য রাখেন। তারা সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন নিশ্চিত করতে সহযোগিতার আহ্বান জানান।
এইচ টি ইমাম বলেন, ‘সুষ্ঠু, অবাধ নির্বাচন আমাদের প্রতিজ্ঞা, আমরা আওয়ামী লীগ এটা করতে পিছপা হব না। বাংলাদেশের আগামী নির্বাচন হবে উৎসবমুখর।’
‘শান্তি না থাকলে, গণতন্ত্র না থাকলে, কোনো উন্নয়ন সম্ভব নয়। নির্বাচনের সময় ভয়ভীতি প্রদর্শন বন্ধ হয়ে গেছে। আমরা জনযুদ্ধ করে দেশ পেয়েছি। বঙ্গবন্ধুই আমাদের গণতন্ত্রের কথা শিখিয়েছে। শান্তির জন্য আমরা অনেক রক্ত দিয়েছি। আজ বাংলাদেশে যে উন্নয়ন হয়েছে তার নেতৃত্বের প্রশংসা করতে হয়।’
মঈন খান বলেন, ‘রাজনীতিতে শান্তি আসতে হলে রাজনীতিতে সুবিচার প্রয়োজন। আমরা রাজনীতিতে শান্তির কথা বলছি। শান্তি খুব প্রয়োজন। কিন্তু সুবিচার ছাড়া শান্তি সম্ভব না। আমরা একটা শান্তিপূর্ণ নির্বাচন চাই। শুধু তাই নয়, আমরা একটা শান্তিপূর্ণ নির্বাচনী পরিবেশ চাই। এটাই তো আমাদের স্বাধীনতার লক্ষ্য ছিল।’
‘গণতন্ত্র না থাকলে উন্নয়ন সম্ভব না। আমরা এ কথাই বলতে এসেছি। আমরা সামাজিক সুবিচার, রাজনৈতিক সুবিচার দাবি করি, এগুলো ছাড়া মুক্ত স্বাধীন বাংলাদেশের কথা ভাবা যায় না। আমরা রাজনৈতিক দল, সমাজের বিভিন্ন পর্যায়ের মানুষের হাতে হাত ধরে এগুতে চাই। কারণ, একসঙ্গে কাজ করলে আমরা গণতন্ত্র ও উন্নয়ন আনতে পারব।’
বার্নিকাট ও ব্লেক দুই জনই ভোটের আগে ও পরে সহিংসতা ত্যাগ করতে সব রাজনৈতিক দলের প্রতি আহ্বান জানান। বলেন, সহিংসতায় কেউ লাভবান হয় না।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, শান্তিপূর্ণ নির্বাচন ও সহনশীল রাজনীতির চর্চা বৃদ্ধিতে, এই প্রচারাভিযানে সব নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল, প্রার্থী এবং সাধারণ জনগণকে সচেতন করার চেষ্টা করা হবে। এতে ভোটে সবার অংশগ্রহণ করার সুযোগ তৈরি হবে বলে আশাবাদী উদ্যোক্তারা।
বাংলাদেশ সময়: ১৫:৩৫:৫৮ ২০৬ বার পঠিত