জেলার দেবীগঞ্জ উপজেলায় কৃষি ফসলের পাশাপাশি পেঁপে চাষে সফল ব্যক্তি উপজেলার গজপুরী গ্রামের শরবত আলী (৩৫)। পেঁপে চাষে জেলার একমাত্র উজ্জ্বল অনন্য দৃষ্টান্ত শরবত আলী। তিনিই প্রথম জেলায় বাণিজ্যিকভাবে নিজের জমিতে মিশ্র ফল বাগানে পেঁপে, থাই পেয়ারা চাষে এক সফল চাষি হিসেবে পরিচিত হয়েছেন। ইতোমধ্যে তিনি ৫ লাখ টাকার পেঁপে বিক্রি করেছেন। মাসখানেকের মধ্যে আরো ৪ লাখ টাকার পেঁপে বিক্রি করতে পারবেন বলে আশা করছেন।
কৃষক শরবত আলী জানান, দেবীগঞ্জ উপজেলাকৃষি কর্মকর্তা মোঃ আব্দুল-আল-মামুনের পরামর্শে রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকের ঋণ নিয়ে তিনি পেঁপের বাগান করেন ২৫ বিঘা জমিতে। ৭ হাজার পেঁপে চারা রোপণ করেন। রেডলেডি জাতের পেপেঁর চারা, বীজ, জৈবসার, জমি প্রস্তুত ইত্যাদি খাতে তার খরচ হয় প্রায় ৩ লাখ টাকা। ইতোমধ্যে তিনি জমি থেকে পেঁপে তুলে ৫ লাখ টাকা বিক্রি করেছেন।
এখন তার জমিতে অসংখ্য পেঁপে ধরেছে। প্রতিটি গাছে ২০/২৫ টি পেঁপে শোভা পাচ্ছে। একেকটি পেঁপের ওজন ২ থেকে আড়াই কেজি। প্রথমবারের মতো পেঁপে চাষ করে সফলতা পাওয়ায় কৃষক শরবত বেজায় খুশি। তার এ সফলতা দেখে গ্রামের অন্য কৃষকরাও পেঁপে চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন।
কৃষক শরবত আলী আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, তিনি এ জমি থেকে পেঁপে বিক্রি করে আরো ৪ লাখ টাকা আয় করতে পারবেন।
দেবীগঞ্জ কৃষি অফিস জানান, পেঁপে একটি লাভজনক ফসল। এটির চারা রোপণের মাত্র ৩ মাসের মধ্যেই ফল ধরে। ১৫/২০ দিন পর পর পেঁপে তোলা যায় এবং বিক্রি করা যায়। পেঁপে চাষ করে কৃষক লাভবান হতে পারেন বেশি।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ আব্দুল-আল-মামুন বাসসকে জানান, শরবত আলী কৃষি অফিসের পরামর্শ নিয়ে তিনি পেপের বাগান করেছেন। পেঁপের চাহিদা বাজারে বেশি থাকায় ভাল মূল্য মিলে। শরবত আলীর দেখাদেখি ওই এলাকার আরও অনেক চাষি আধুনিক পদ্ধতিতে চাষাবাদে এগিয়ে এসেছেন। শরবত আলী জমিতে ফসল ফলিয়ে নিজের ভাগ্য বদলেছেন। বাংলার কৃষকদের কাছে শরবত আলী সফল চাষির মডেল হতে পারেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬:১২:২০ ৩৪৯ বার পঠিত