চাঁদপুরের পদ্মা ও মেঘনায় ইলিশের আকাল

প্রথম পাতা » চট্টগ্রাম » চাঁদপুরের পদ্মা ও মেঘনায় ইলিশের আকাল
মঙ্গলবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮



ভরা মৌসুমেও দেখা মিলছে না ইলিশের। চাঁদপুরের পদ্মা ও মেঘনায় ইলিশ না পেয়ে খালি হাতেই ফিরছেন জেলেরা। চাঁদপুর নৌ-সীমানায় কোনো বড়সাইজের ইলিশ ধরা পড়ছেনা বলে জানিয়েছেন তারা।

জেলেরা জানান, এখন চলছে ইলিশের ভরা মৌসুম। অন্যান্য বছরে এ সময়ে পদ্মায় অনেক ইলিশ পাওয়া গেলেও এবার তা নেই। চাঁদপুরের নদ-নদীতে সারাদিনেও তেমন ইলিশ পাওয়া যাচ্ছে না। সাগরে আহরিত মাছে ভরপুর এখন চাঁদপুর মাছঘাট। গত কয়েকদিন হাজার হাজার মণ ইলিশ বিক্রির জন্যে বিভিন্ন আড়তে আসছে। যার সবগগুলোই সাগরের।

সরেজমিনে জানা যায়, মাছের সাইজ, তাজা না বরফ দেয়া এ হিসেবে মাছের দাম উঠানামা করছে। ঘাটে মাছের দাম কম হবে এ আশায় অনেকে মাছ কিনতে এসে দাম শুনে হতাশ হয়ে বাড়ি ফিরছেন।

এখনও মধ্যম আকারের ইলিশের কেজি ৭০০থেকে ৮০০ টাকা। তবে আকারে ছোট কেজি সাড়ে ৩০০ থেকে সাড়ে ৪০০ টাকা। এক থেকে দেড় কেজি ওজনের ইলিশের কেজি এক হাজার ২০০ থেকে এক হাজার ৫০০ টাকা।

ছোট রব চোকদারের আড়তের কাছে মাছ বিক্রেতা খন্দকার মুকবুল হোসেন বলেন, ভর সিজন(ভরা মৌসুম) হওয়া সত্ত্বেও ইলিশের দাম তুলনামূলক কমে নাই। সোমবার দুপুরে চাঁদপুর ঘাটে প্রচুর ইলিশ দেখা যায়। হাজী আ. মালেক খন্দকার, মিজানুর রহমান কালু ভূঁইয়া, শবেবরাত হাজী, ইকবাল বেপারী, কুদ্দুছ খাঁ ও উত্তমদের আড়তে হাতিয়া ও দৌলত খাঁ এলাকার প্রচুর ইলিশ ক্রয়-বিক্রয় হয়েছে। নান্টু, কাদির, দেলু খাঁ, আনোয়ার গাজী, খালেক, ছানা, বাবুল হাজী, মালেক খন্দকারসহ আরও অনেক চালানি সেই মাছ আড়ত থেকে কিনে প্যাকেট করে দেশের বিভিন্ন স্থানে পাঠিয়ে দিচ্ছেন।

দৌলত খাঁর মাছের বেপারী ইউসুফ ও হাতিয়ার মফিজ মাঝি জানান, ১৩ থেকে ১৪ মণ মাছ খন্দকারের আড়তে দিয়েছেন এবং ১৯ হাজার টাকা মণ দরে বিক্রি করেছেন তিনি। এসব ইলিশ সাগরের। ভোলার নদীতে এখন তুলনামূলক ইলিশ মাছ নাই।

ভরপুর ইলিশ আমদানিতে কেন মাছের দাম কমছে না, এমন প্রশ্নের জবাবে চাঁদপুর মৎস্য বণিক সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক হাজী শবেবরাত সরকার জানান, গত শুক্রবার চাঁদপুর ঘাটে এক থেকে দেড় হাজার মণ ইলিশ ক্রয়-বিক্রয় হয়েছে। মাছের দামও কমেছে।

সোমবার ১৪ হাজার থেকে ১৬ হাজার টাকা মণ দরে অর্থাৎ ৪০০ থেকে সোয়া ৪০০টাকা কেজিতে ইলিশ বিক্রি হয়েছে। আগের চেয়ে ইলিশের দাম কমেছে বলে দাবি করেন তিনি।

সমিতির পরিচালক খালেক বেপারী জানান, লোকাল নদীর মাছ না পাওয়ায় চাঁদপুর ঘাট গোয়ালন্দ হয়ে গেছে। এখানের সব মাছ সাগরের। অভিযানের আগে সাগরের কিছু মাছ চাঁদপুর আসছে। আমরা ব্যবসায়ীরা সুবিধায় নেই।

বাংলাদেশ সময়: ১৬:১৬:৪২   ২৮৫ বার পঠিত  




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

চট্টগ্রাম’র আরও খবর


ফিরলেন লিটন, নতুন মাইলফলক সাকিবের
চট্টগ্রামে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ৩৩ হাজার ছাড়ালো
গুলির উৎস খুঁজতে গিয়ে মিলল অস্ত্রের কারখানা!
ফেনী শর্শদীর ইউপি চেয়ারম্যান সাময়িক বহিষ্কৃত
চট্টগ্রামের নির্বাচনেও মাঠে ছিল না বিএনপি - তথ্যমন্ত্রী
সহিংসতা-সংঘর্ষ-ইভিএম ভাঙচুর: ২ কেন্দ্রের ভোট স্থগিত
অপহরণের ৫ দিন পর মাদরাসাছাত্র উদ্ধার, আটক বাবুর্চি
চট্টগ্রামে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর স্ত্রীর ওপর বিএনপির হামলা
মধ্যরাতে বন্যহাতির তাণ্ডব, প্রাণ গেল ২ কিশোরের
বিত্ত কখনো রাজনীতি নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না - তথ্যমন্ত্রী

আর্কাইভ