* একনেকে ৩ হাজার ৮২৫ কোটি টাকার প্রকল্প অনুমোদন
* পর্যায়ক্রমে ব্যবহারের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
* তিন ধাপে ক্রয় করা হবে এসব মেশিন
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার করা হবে। এজন্য ৩ হাজার ৮২৫ কোটি টাকা ব্যয়ে একটি প্রকল্প অনুমোদন হয়েছে। এর মাধ্যমে দেড় লাখ ইভিএম কেনা হবে। তবে এটি পর্যায়ক্রমে ব্যবহার করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রকল্পের অর্থ দিয়ে তিন ধাপে এসব মেশিন ক্রয় করা হবে।
মঙ্গলবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় প্রকল্পটি অনুমোদন করা হয়েছে। রাজধানীর শেরে বাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত আজকের সভায় সভাপতিত্ব করেন একনেক চেয়ারপারসন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সভা শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
নির্বাচন আইনের সংস্কার, রাজনৈতিক দলের মতামতসহ সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এক তৃতীয়াংশ আসনে ইভিএম ব্যবহার করতে চায় নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এজন্য প্রকল্প প্রস্তাব পরিকল্পনা কমিশনে পাঠায় তারা।
পরিকল্পনামন্ত্রী জানান, পর্যায়ক্রমে ব্যবহার হবে এসব ইভিএম। আগামী নির্বাচনে ব্যবহারের জন্য গণপ্রতিনিধিত্ব অধ্যাদেশ (আরপিও) সংশোধন করবে নির্বাচন কমিশন।
ইসির পাঠানো প্রকল্প প্রস্তাবনায় দেখা গেছে, ইসি সচিবালয়ের ৩ হাজার ১১০ জন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও কর্মচারীকে নির্বাচন প্রক্রিয়ার সামগ্রিক দক্ষতা বৃদ্ধি ও এ বিষয়ে জনসচেতনতা বৃদ্ধির জন্য প্রকল্পটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
প্রস্তাবনায় ইসি জানায়, বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন একটি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান। এই প্রতিষ্ঠানের মূল দায়িত্ব হলো জাতীয় সংসদ ও স্থানীয় সরকার নির্বাচন সম্পন্ন করা। এছাড়া ইভিএমের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দিক তুলে ধরা হয় এতে।
ইভিএম ব্যবহারের জন্য গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধনের সিদ্ধান্তের কথা গত ৩০ আগস্ট জানায় ইসি। এরই মধ্যে তাদের পক্ষ থেকে প্রকল্প অনুমোদনের আগেই এসব যন্ত্রপাতি আনতে ব্যাংকে এলসিও (ঋণপত্র) খোলা হয়েছে।
পরিকল্পনা কমিশন সূত্রে জানা গেছে, মাত্র দেড় লাখ ইভিএম সিস্টেম এবং সংশ্লিষ্ট যন্ত্রপাতি কেনার জন্য প্রকল্পের প্রস্তাবিত ব্যয় ধরা হয়েছে ৩ হাজার ৮২১ কোটি ৭ লাখ টাকা। এতে প্রতি ইউনিট ইভিএমের দাম পড়বে প্রায় দুই লাখ টাকা। প্রকল্প বাস্তবায়নের মেয়াদকাল ধরা হয়েছে চলতি বছর থেকে ২০২৩ সালের জুন পর্যন্ত। যদিও বর্তমান সরকারের মেয়াদ ২০১৯ সালের জানুয়ারিতে শেষ হবে। তার আগে ডিসেম্বরে নতুন সরকার গঠনের জন্য জাতীয় সংসদ নির্বাচন হওয়ার কথা। সেক্ষেত্রে ভোটের বাকি আছে মাত্র কয়েক মাস।
বাংলাদেশ সময়: ১৬:৩১:০৭ ২৩২ বার পঠিত