নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে নাসরিন আক্তার (২৪) নামে এক গৃহবধূকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে তার স্বামী এবং দেবরের বিরুদ্ধে। উপজেলার ব্রাহ্মন্দী ইউনিয়নের লষ্করদী গ্রামে এই ঘটনাটি ঘটে।
রবিবার রাতে এই ঘটনার পর সোমবার ভোরে তার লাশ নিজ ঘর থেকে উদ্ধার করে পুলিশ। লাশটি নারায়ণগঞ্জ মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।
নিহতের পিতা নরসিংদীর পলাশ থানার ঘোড়াশাল গ্রামের বাসিন্দা শফিকুল ইসলাম। তিনি অভিযোগ করে বলেন, তার মেয়েকে গত প্রায় ২ বছর আগে বিয়ে করে ঘরে তোলে আড়াইহাজার উপজেলার লষ্করদী গ্রামের খেজমত আলীর ছেলে মঞ্জুর হোসেন (৩০)। তার মেয়েটি দেখতে সুন্দরী ছিল। তাই বিয়ের পর থেকেই দেবর দেলোয়ার হোসেন তার পিছু লাগে। সে বিভিন্ন সময়ে তাকে উত্যক্ত করতো। নাসরিন এর প্রতিবাদ করলে দেবর নিজেও তাকে মারপিট করতো এবং স্বামী মঞ্জুরকে দিয়েও মিথ্যা অভিযোগ সাজিয়ে অত্যাচার নির্যাতন করা হতো। রবিবার রাত ৮টার দিকে নিহতের শ্বশুরবাড়ী থেকে ফোন করে নিহতের পিতাকে জানানো হয় তার মেয়ে মারা গেছে।
তিনি সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে এসে দেখেন তার মেয়ের লাশ ঘরের মেঝেতে পড়ে আছে এবং নিহতের নাক মুখ এবং হাত, পাসহ দেহের বিভিন্ন স্থানে রক্তাক্ত চিহ্ন এবং নির্যাতনের ছাপ। স্বামীর পরিবারের সকল সদস্য এরই মধ্যে বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে গেছে।
ভোরে পুলিশকে সংবাদ দিলে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ঘটনাস্থল থেকেই মর্গে পাঠিয়ে দেয়।
নিহতর পিতার অভিযোগ, তার মেয়েকে নির্যাতন করে হত্যা করা হয়েছে। তিনি বলেন, আমি দোষীদের বিচার চাই।
এ দিকে আড়াইহাজার থানার উপরিদর্শক (এসআই) হুমায়ুন কবির জানান, লাশের সুরত হাল রিপোর্ট তৈরি করার সময় হত্যা করার মতো কোন আলামত পাইনি। তাই আপাতত একটি ইউডি মামলা নিচ্ছি। ময়না তদন্তের পর নিশ্চৎ হতে পারলে হত্যা মামলা নিবো।
আড়াইহাজার থানার ওসি এম এ হক বলেন, ময়না তদন্তের আগে কিছ্ইু বলা যাচ্ছে না।
বাংলাদেশ সময়: ১৫:৫৯:০৪ ৩৩৮ বার পঠিত