সারাদেশে আয়োজিত ৪র্থ জাতীয় উন্নয়ন মেলার সাথে একাত্ম হয়ে
টোকিওস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস আজ শুক্রবার (৫ অক্টোবর) উন্নয়ন মেলার আয়োজন
করে। দূতাবাসের বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে বর্ণাঢ্য এই মেলার উদ্বোধন করেন
জাপানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা। মেলায় জাপান প্রবাসী
বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ ও বিপুল সংখ্যক বাংলাদেশি নাগরিক উপস্থিত ছিলেন। ‘৪র্থ
জাতীয় উন্নয়ন মেলা’ শীর্ষক এই আয়োজনে বাংলাদেশের সামগ্রিক
উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরা হয়।
উপস্থিত সকলের উদ্দেশে স্বাগত বক্তব্যে রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশের উন্নয়নের
ক্রমধারা বিশ্লেষণ করেন এবং বিভিন্ন খাতে বাংলাদেশের অগ্রগতি তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নদর্শন ও উন্নয়ন কৌশল আজো
আমাদের কাছে জাজ্বল্যমান এবং তাঁর নীতি, আদর্শ ও কর্মপদ্ধতি অবলম্বন করে
বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর মেধা ও গতিশীল নেতৃত্ব দিয়ে
দেশকে উন্নত আধুনিক রাষ্ট্র হিসাবে প্রতিষ্ঠায় কঠোর পরিশ্রম করে
যাচ্ছেন।
বাংলাদেশের অগ্রগতি ও উন্নয়নে জাপানের অবদান অনস্বীকার্য। এ
বিষয়ে রাষ্ট্রদূত বলেন জাপান বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় উন্নয়ন সহযোগী এবং
এশিয়ায় সর্ববৃহৎ রপ্তানি বাজার। বাংলাদেশে চলমান বেশিরভাগ বৃহৎ উন্নয়ন
প্রকল্প জাপানি অর্থায়ন ও সহযোগিতার মাধ্যমে হচ্ছে।
রাষ্ট্রদূত দু’দেশের সহযোগিতার ক্ষেত্র প্রসারে প্রবাসীদের গুরুত্বপূর্ণ
ভূমিকার কথা উল্লেখ করেন। তিনি জাপান প্রবাসী নাগরিকদের বঙ্গবন্ধুর
আদর্শে উদ্দীপ্ত হয়ে দেশের উন্নয়নে অধিকতর অবদান রাখার আহ্বান জানান।
ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ১০টি বিশেষ
উদ্যোগ ও টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট অর্জনে রাষ্ট্রদূত প্রবাসী সকলের
সহযোগিতা কামনা করেন।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের সাম্প্রতিক উন্নয়নের উপর প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন
ও বিশ্লেষণধর্মী উপস্থাপনা করা হয়। এছাড়া দেশের বিভিন্ন খাতভিত্তিক
উন্নয়ন তুলে ধরা হয়। পরে বাংলাদেশের উন্নয়নে প্রবাসীদের ভূমিকা নিয়ে
উন্মুক্ত আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। প্রাণবন্ত ও গঠনমূলক এ আলোচনায় প্রবাসী
নাগরিকগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করেন। এসময় তাঁরা দেশের উন্নয়নে
যেকোনো ত্যাগ স্বীকারে ও এই প্রক্রিয়ায় সক্রিয় অংশগ্রহণের আশ্বাস প্রদান
করেন।
মেলায় দেশের উন্নয়ন তথ্য সংবলিত বিভিন্ন পুস্তিকা, তথ্য কণিকা ও
প্রচার সামগ্রী অতিথিদের মাঝে বিতরণ করা হয়। পিআইডি
বাংলাদেশ সময়: ২০:২৩:১৩ ১৯৩ বার পঠিত