সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর বলেছেন, পশ্চিমবঙ্গের সাথে
আমাদের বন্ধন অনেক গভীর। এ বন্ধনের গভীরতা শুধু ভাষা নয়, এ বন্ধন সংস্কৃতির
বন্ধন। এ বন্ধন অভিন্ন বাঙালি সংস্কৃতির মেলবন্ধন। দুই বাংলার সংস্কৃতির
শিকড় একই জায়গায়। পৃথিবীর যে প্রান্তে যাই না কেন, আমরা পারস্পরিক
টান অনুভব করি।
মন্ত্রী আজ বিকালে রাজধানীর বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয়
নাট্যশালা মিলনায়তনে গঙ্গা-যমুনা সাংস্কৃতিক উৎসব পর্ষদ আয়োজিত ১১
দিনব্যাপী ‘গঙ্গা-যমুনা সাংস্কৃতিক উৎসব ২০১৮’ এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে
প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, সপ্তম বারের মতো এ উৎসব অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। গতবার এ
উৎসবের নাম ৩৯;গঙ্গা-যমুনা নাট্যোৎসব৩৯; থেকে ৩৯;গঙ্গা-যমুনা সাংস্কৃতিক
উৎসব৩৯; করার জন্য আহ্বান জানিয়েছিলাম। এর মাধ্যমে শুধু নাটকের আদান-
প্রদানই নয়, দুই বাংলার মধ্যে সংস্কৃতির অন্যান্য উপাদানও যেমন সংগীত,
আবৃত্তি, নৃত্য প্রভৃতি আদান-প্রদানের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। মন্ত্রী
বলেন, এ দেওয়া-নেওয়ার মাধ্যমে আমরা দুই বাংলার সংস্কৃতিকে আরো সমৃদ্ধ,
সুদৃঢ় ও বিকশিত করতে পারি।
গঙ্গা-যমুনা সাংস্কৃতিক উৎসব পর্ষদের আহ্বায়ক সাংস্কৃতিক
ব্যক্তিত্ব গোলাম কুদ্দুছের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে
উপস্থিত ছিলেন মঞ্চসারথি আতাউর রহমান, নাট্যব্যক্তিত্ব নাসিরউদ্দিন ইউসুফ
এবং বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশনের চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ শিল্পকলা
একাডেমির মহাপরিচালক সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব লিয়াকত আলী লাকী।
উল্লেখ্য, বাঙালি সংস্কৃতির শিকড় সন্ধান এবং সকল ধারার
সংস্কৃতিকর্মীদের যুথবদ্ধতা সৃজনের সাথে সংস্কৃতি পিপাসু মানুষের
মেলবন্ধন গড়ে তুলতে এ উৎসব আয়োজন করা হয়েছে। উৎসবে ভারত-বাংলাদেশের
৯৩টি দল নাটক, সংগীত, আবৃত্তি, নৃত্য, পথনাটক ও মূকাভিনয়ে অংশগ্রহণ
করবে।
বাংলাদেশ সময়: ২০:৫৯:৩১ ২২২ বার পঠিত