নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্ত্রী আফরিন আক্তার রানীকে শ্বাসরোধে হত্যা করে থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করেছে স্বামী মেহেদী হাসান।
গতকাল শুক্রবার দুপুরে ফতুল্লার চাঁদনী হাউজিং এলাকার ওমর ফারুকের বাড়ির দ্বিতীয়তলা থেকে আফরিন আক্তার রানীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
ফতুল্লা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনজুর কাদের জানান, গেল দুই বছর আগে আফরিন আক্তার রানীকে বিয়ে করে মেহেদী হাসান।বিয়ের পর থেকে তারা ফতুল্লার চাঁদনী হাউজিং এলাকার ওমর ফারুকের বাড়ির দ্বিতীয়তলায় ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাস করে আসছিলেন। বৃহস্পতিবার রাতে মোবাইলের চার্জ দেয়া নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হয়।
শুক্রবার সকালেও এ নিয়ে ঝগড়ার একপর্যায়ে মেহেদী তার স্ত্রীকে গলায় গামছা পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করে। পরে ফতুল্লা থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করে পুলিশকে ঘটনার বিষয়ে জানান।
পুলিশ তাকে আটক করে এবং আফরিন আক্তার রানীর মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। নিহত আফরিন আক্তার রানী নাটোর জেলার বাঘাদিপাড়ার সরদীয়া এলাকার আব্দুর রহিমের মেয়ে। মেহেদী হাসান মুন্সীগঞ্জ জেলার কালিপুরা গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪:৩৬:৩৩ ৩২১ বার পঠিত