সনাতন হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজার মহাষ্টমী ও কুমারী পূজা দেশব্যাপী পালিত হচ্ছে। বুধবার রাজধানীর রামকৃষ্ণ মিশনসহ সারাদেশে কয়েকটি স্থানে মহাষ্টমী দিনে কুমারীর পূজা হয়।
বেলা ১১টায় রামকৃষ্ণ মঠে কুমারী পূজা শুরু হয়। পূজা শেষে ভক্তরা মহাষ্টমীর পুষ্পাঞ্জলি দেন। বুধবার মহাষ্টমীতে সকাল ৯টা ৫৭ মিনিটের মধ্যে মহাষ্টমীর বিহিত পূজা অনুষ্ঠিত হয়।
দুপুরে মহাষ্টমীর মহাপ্রসাদ বিতরণ এবং কেন্দ্রীয় কারাগারে কারাবন্দিদের মধ্যে বেলা ১১টায় খাদ্য বিতরণ করা হয়।
বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি মিলন কান্তি দত্ত বলেন, সব নারী ভগবতীর একেকটি রূপ। শুদ্ধাত্মা কুমারীতে ভগবতীর বেশি প্রকাশ। কুমারী পূজার মাধ্যমে নারী হয়ে উঠবে পবিত্র ও মাতৃভাবাপন্ন। প্রত্যেকে আরও শ্রদ্ধাশীল হবেন নারীর প্রতি।
কুমারী পূজার প্রচলন করেন ধর্মপ্রচারক স্বামী বিবেকানন্দ। ১৯০১ সালে তিনি কলকাতার বেলুড় মঠে কুমারী পূজার প্রচলন করেন। তখন থেকে দুর্গাপূজার অষ্টমী তিথিতে কুমারী পূজা করা হচ্ছে। পূজার আগে কুমারীর পরিচয় গোপন রাখা হয়। নির্বাচিত কুমারী পরবর্তী সময়ে স্বাভাবিক জীবনযাপন, আচার-অনুষ্ঠান করতে পারেন। সাধারণত এক থেকে ১৬ বছরের সুলক্ষণা কুমারীকে পূজা করা হয়।
সরেজমিনে দেখা যায়, কুমারী পূজা উপলক্ষে রামকৃষ্ণ মাঠে নেওয়া হয়েছে ব্যাপক প্রস্তুতি। প্রতিটি মণ্ডপে পুলিশ, আনসার-ভিডিপির পাশাপাশি র্যাব-বিজিবি সদস্যদের নিরাপত্তা দিতে দেখা গেছে। সাদা পোশাকে গোয়েন্দা সদস্যরাও ছিলেন সতর্ক প্রহরায়।
১৫ অক্টোবর ষষ্ঠীপূজার মধ্য দিয়ে শুরু হয় দুর্গোৎসব। গতকাল ছিল মহাসপ্তমী। এ পূজা শেষ হবে আগামী ১৯ অক্টোবর।
বাংলাদেশ সময়: ১৪:৩৭:০১ ২১০ বার পঠিত