ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন,
রাষ্ট্রের অর্থ সাশ্রয় করতে উন্নয়ন প্রকল্পের দ্বৈততা পরিহার করা আবশ্যক। তিনি
বলেন, উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে গিয়ে অনেক ক্ষেত্রে দ্বৈততা পরিহার করা
সম্ভব হয় না। সেক্ষেত্রে বিভিন্ন পর্যায়ের উন্নয়ন প্রকল্পের দ্বৈততা যাচাই না
করার কারণে উন্নয়ন কাজে বিলম্ব ও অপচয় হয়। কিন্তু ডিজিটাল প্রযুক্তির যথাযথ
ব্যবহারের মাধ্যমে খুব সহজেই নতুন প্রকল্প গ্রহণের সময় দ্বৈততা পরিহার করে
কার্যক্রম সম্পাদন করা যাবে এবং এ লক্ষ্যে ব্যবহত পুরাতন প্রকল্পসমূহের তথ্য
যাচাই করা সম্ভব হবে। এর ফলে জনগণের অর্থ সাশ্রয় হবে এবং দেশ হবে
উপকৃত ।
মন্ত্রী আজ তাঁর আগারগাঁওস্থ তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের
কার্যালয়ে একসেস টু ইনফরমশন (এটুআই)-এর উদ্যোগে ভিডিও কনফারেন্সের
মাধ্যমে পাবনার ফরিদপুর উপজেলায় ‘উন্নয়ন প্রকল্পের দ্বৈততা পরিহার শীর্ষক
পাইলট প্রকল্প’ উদ্বোধন উপলক্ষে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের
দায়িত্বপ্রাপ্ত সচিব এ বিএম আরশাদ হোসেন এবং এটুআই-এর প্রকল্প পরিচালক
মোঃ মোস্তাফিজুর রহমানসহ পাবনা ফরিদপুর প্রান্তে অতিরিক্ত বিভাগীয়
কমিশনার, জেলা প্রশাসক, জনপ্রতিনিধি ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণ।
পরে মন্ত্রী আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকল্পের উদ্বোধন করেন।
উল্লেখ্য, এই অনলাইন ব্যবস্থার মাধ্যমে যখনই বাংলাদেশের কোনো উপজেলায়
নতুন প্রকল্পের প্রস্তাব উত্থাপিত হবে, সফটওয়ারটি খুব সহজেই সেটি পুরোনো
কোনো প্রকল্পের সাথে নতুন প্রকল্পটির দ্বৈততা রয়েছে কিনা তা যাচাই করে
প্রয়োজনীয় তথ্য প্রদান করবে যা বিদ্যমান পদ্ধতিকে অনেকাংশে সহজ করে তুলবে
এবং স্বল্প সময়ে, নূন্যতম খরচে কাজটি করা সম্ভব হবে। এটি বাস্তবায়নের মধ্য
দিয়ে দুর্নীতি হ্রাস পাওয়ার পাশাপাশি ৪৯২ টি উপজেলায় সঠিক ডেটাবেইজ
ব্যবস্থাপনা এবং প্রশাসনিক ব্যবস্থাপনায় দক্ষতা উন্নয়নে ব্যাপক ভূমিকা রাখবে।
এই ব্যবস্থার মাধ্যমে উন্নয়ন খাতে সরকারের খরচ প্রতিবছর আনুমানিক ২৪৬
মিলিয়ন ডলার হ্রাস পাবে।
বাংলাদেশ সময়: ২১:৩৩:৫০ ২৩৩ বার পঠিত