আজ থেকে শুরু হচ্ছে বাংলাদেশ ও জিম্বাবুয়ের মধ্যেকার তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচ। মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে দিবা-রাত্রির ম্যাচটি শুরু হবে দুপুর আড়াইটায়। সিরিজে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তিনটি ওয়ানডে এবং দুটি টেস্টে লড়বে টাইগাররা। আরব আমিরাতে এশিয়া কাপের পর এক মাসের মধ্যেই হোম সিরিজ খেলতে নামছে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা।
হেড টু হেড চ্যালেঞ্জ-
৭০তম ওয়ানডেতে মুখোমুখি হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ ও জিম্বাবুয়ে। এর আগে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে বাংলাদেশ ৬৯টি ওয়ানডে ম্যাচ খেলেছে, তার মধ্যে ৪১টি জিতেছে। বাকি ম্যাচগুলো জিতেছে জিম্বাবুয়ে।
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ওয়ানডেতে সর্বশেষ দশ ম্যাচের দশটিতেই জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। ২০১৪ সালে পাঁচ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ এবং ২০১৫ সালে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে জিম্বাবুয়েকে হোয়াইটওয়াশ করে টাইগাররা। আর গত জানুয়ারিতে ত্রিদেশীয় ওয়ানডে সিরিজে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দুইটি ম্যাচ খেলে দুইটিতেই বাংলাদেশ জয় পায়।
নজর থাকবে যাদের দিকে-
ওপেনার লিটন কুমার দাস। চোটের কারণে দলে নেই দেশ সেরা ওপেনার তামিম ইকবাল। যার জন্য ওপেনিং ব্যাটসম্যান লিটন কুমারের দিকেই থাকবে বাড়তি নজর। তাছাড়া সদ্য শেষ হওয়া এশিয়া কাপে দারুণ ছন্দে ছিলেন এই ব্যাটসম্যান। এশিয়া কাপ শেষে ঘরোয়া ক্রিকেটেও রানের ফোয়ারা ছুটিয়েছেন ব্যাটে।
বোলিংয়ে মেহেদী হাসান মিরাজ আর মোস্তাফিজুর রহমানের উপরই থাকবে বাংলাদেশে দলের মূল দায়িত্ব। পাশাপাশি অধিনায়ক মাশরাফি তো আছেনই!
জিম্বাবুয়ে দলের হ্যামিলটন মাসাকাদজা। প্রস্তুতি ম্যাচে সেঞ্চুরি করেছেন এই ওপেনার। তাছাড়া দলে ফিরেছেন অলরাউন্ডার সিকান্দার রাজা। তার উপস্থিতি সফরকারি দলের শক্তি বাড়িয়েছে। বাংলাদেশের বিপক্ষে তার অতীত রেকর্ডও বেশ ভালো।
উইকেট কেমন হতে পারে-
শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামের পিচ সাধারণত ধীর গতির হয়। আজ তেমনটাই হবে বলে আশা করা যায়। দুপুরে আড়াইটায় খেলা শুরু হলে, প্রথম ৯০ মিনিট গরম আবহাওয়া সহ্য করতে হবে। ধীরে ধীরে সন্ধ্যায় স্বাভাবিক হয়ে উঠতে পারে।
সম্ভাব্য স্কোর-
মিরপুরের উইকেট নিয়ে আগেই কোনো কথা বলা যায়না। যেকোনো সময় রূপ পাল্টে যেতে পারে। তবে এই উইকেটে ২৫০-২৬০ রান তুলতে পারলে সেটা হবে উইনিং স্কোর।
রুবেল হোসেন জ¦রে ভুগছেন। তবে তাকে পাওয়ার আশা একেবারে ছেড়ে দিচ্ছেনা বাংলাদেশ। উদ্বোধনী জুটিতে লিটন কুমার দাসের সঙ্গে দেথা যেতে পারে ইমরুল কায়েস অথবা নাজমুল হোসেন শান্তকে। ব্যাটিং লাইনআপের শক্তি বাড়াতে আরিফুলকে নেয়া হতে পারে। আর যদি অলরাউন্ডিংয়ের কথা চিন্তা করা হয় তাহলে তার জায়গায় সুযোগ পেতে পারেন নতুন ডাক পাওয়া ফজলে রাব্বি।
বাংলাদেশের একাদশ(সম্ভাব্য): লিটন কুমার দাস, নাজমুল হোসেন শান্ত, ইমরুল কায়েস,মুশফিকুর রহিম, মোহাম্মদ মিথুন, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, ফজলে রাব্বি/আরিফুল হক, মেহেদী হাসান মিরাজ, মাশরাফি বিন মর্তুজা (অধিনায়ক), রুবেল হোসেন, মোস্তাফিজুর রহমান।
জিম্বাবুয়ের ওপেনিংয়ে মাসাকাদজার সঙ্গে থাকবেন সলোমন মায়ার। ছয় বা সাত নম্বরে দেখা যেতে পারে অলরাউন্ডার সিকান্দার রাজাকে। আর বোলিং আক্রমণে কাইল জারভিস-চাতারা তো আছেনই।
জিম্বাবুয়ের একাদশ(সম্ভাব্য): হ্যামিলটন মাসাকাদজা (অধিনায়ক), সলোমন মায়ার, ক্রেগ আরভিন, ব্রেন্ডন টেইলর (উইকেট রক্ষক), শন উইলিয়ামস, সিকান্দার রাজা, এলটন চিগুম্বুরা, ওয়েলিংটন মাসাকাজা, ব্র্যান্ডন মাভুতা, কাইল জারভিস, তেন্ডাই চাতারা।
বাংলাদেশ সময়: ১১:৪৬:১৬ ১৯৭ বার পঠিত