জাতীয় সংসদের বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির ৩৫ তম
বৈঠক আজ কমিটির সভাপতি সাবের হোসেন চৌধুরীর সভাপতিত্বে
সংসদভবনে অনুষ্ঠিত হয়।
বিজেএমসিকে কিভাবে লাভজনক করা যায় সে সম্পর্কে বৈঠকে
বিস্তারিত আলোচনা করা হয়। বিজেএমসি প্রতি বছর যে লোকসান দিয়ে
আসছে তার কারণ হিসেবে শ্রমিকদের মজুরি কাঠামোতে বৈষম্য, অপ্রচলিত
মেশিনারিজ দিয়ে পণ্য উৎপাদন, তহবিলের অভাবে সময় মতো পাট ক্রয় করতে না
পারার মতো কিছু কারণ চিহ্নিত করা হয়। বৈঠকে ৩০ নভেম্বর ২০১৮ সালের মধ্যে
বিজেএমসি এর বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তার সাথে ‘সোনালী ব্যাগ’ প্রকল্পবিষয়ক
চুক্তিসহ সকল লিগ্যাল ডকুমেন্টস চূড়ান্ত করার এবং ‘সোনালী ব্যাগ’
মূলপ্রকল্পের কাজ আগামী ৯ মাসের মধ্যে শুরু করার সুপারিশ করা হয়।
তাঁত শিল্পের পূর্ণ বিকাশে চূড়ান্ত খসড়া নীতিমালা প্রনয়ণের লক্ষ্যে
বাংলাদেশ তাঁত বোর্ডের সদস্যকে আহ্বায়ক করে ৬ সদস্য বিশিষ্ট একটি
কমিটি কাজ শুরু করেছে বলে বৈঠকে উল্লেখ করা হয়। এছাড়া রাজশাহী সিল্কের
হারানো ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে বাংলাদেশ রেশম উন্নয়ন বোর্ডের সংশ্লিষ্ট
সকল প্রতিষ্ঠানের প্রস্তাবনাকে সমন্বয় করে একটি যুগোপযোগী
বাস্তবভিত্তিক প্রকল্প প্রস্তাব তৈরির কাজ চলমান রয়েছে বলে বৈঠকে জানানো
হয়। বৈঠকে প্রকল্প প্রস্তাবটি আগামী ১৫ ডিসেম্বর ২০১৮ তারিখের মধ্যে
মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করার জন্য বাংলাদেশ রেশম বোর্ডের প্রতি সুপারিশ করা হয়।
বিটিএমসি এর বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে বৈঠকে আলোচনা করা হয়।
বিটিএমসি এর দায়িত্বপ্রাপ্ত মিলের সংখ্যা ২৫টি যার মধ্যে ভাড়ায় চালিত
৮টি এবং বন্ধ ১৭টি। বিটিএমসির ১৮টি মিলের জনবল দিয়ে ২৫টি মিলের
কার্যক্রম চালানো হচ্ছে এবং ১৯৯৩ সাল থেকে অদ্যাবধি ৩৬১ জন
দৈনিকভিত্তিক কর্মরত আছে। বৈঠকে বিটিএমসি এর অস্থায়ী দৈনিক ভিত্তিক
নিয়োগের ব্যাপারে সাময়িক অনুমতি প্রদানের জন্য মন্ত্রণালয়কে সুপারিশ
করা হয়।
কমিটির সদস্য বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী মুহাঃ ইমাজ উদ্দিন প্রামাণিক,
প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম, ফাহমী গোলন্দাজ বাবেল, কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা,
সাবিনা আক্তার তুহিন, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব, বিটিএমসি,
বিজেসি এবং তাঁত বোর্ডের চেয়ারম্যানগণ, বিজেএমসি এর ভারপ্রাপ্ত
চেয়ারম্যানসহ জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট ঊর্দ্ধতন কর্মকর্তাবৃন্দ
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬:২৩:২৫ ২৫৪ বার পঠিত