জনস্বাস্থ্য সংক্রান্ত জরুরি অবস্থা মোকাবেলা এবং স্বাস্থ্যগত ঝুঁকি হ্রাস করার লক্ষ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি, সংক্রামক রোগ প্রতিরোধ ও নির্মূলের উদ্দেশ্যে প্রয়োজনীয় বিধানের প্রস্তাব করে আজ সংসদে সংক্রামক রোগ (প্রতিরোধ, নিয়ন্ত্রণ ও নির্মূল) বিল, ২০১৮ পাস করা হয়েছে।
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বিলটি পাসের প্রস্তাব করেন।
বিলে ম্যালেরিয়া, কালাজ্বর, ফাইলেরিয়াসিস, ডেঙ্গু, ইনফ্লুয়েঞ্জা, এভিয়ান ফ্লু, নিপাহ, অ্যানথ্রাক্স, মারস-কভ, জলাতংক, জাপানিস এনকেফালাইটিস, ডায়রিয়া, যক্ষ্মা, শ্বাসনালির সংক্রমণ, এইচআইভি, ভাইরাল হেপাটাইটিস, টিকার মাধ্যমে প্রতিরোধযোগ্য রোগসমূহ, টাইফয়েড, খাদ্যে বিষক্রিয়া, মেনিনজাইটিস, ইবোলা, জিকা, চিকুনগুণিয়া এবং সরকার কর্তৃক, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, ঘোষিত কোনো নবোদ্ভূত বা পুনরুদ্ভূত রোগসমূহ সংক্রামক রোগ অর্থে অন্তর্ভুক্ত করার করা হয়।
বিলে স্বাস্থ্য অধিপ্তরের দায়িত্ব ও কার্যাবলী, দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী বা প্রতিমন্ত্রী অথবা উপ-মন্ত্রীকে চেয়ারম্যান করে উপদেষ্টা কমিটি গঠন, কমিটির দায়িত্ব ও কার্যাবলী, কমিটির সভা, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বিধি-বিধানের অনুসরণ, সংক্রামক রোগের তথ্য প্রদান, সংক্রমিত এলাকা ঘোষণা, প্রবেশ নিয়ন্ত্রণ, নমুনা সংগ্রহ ও পরীক্ষা, রোগাক্রান্ত ব্যক্তির ব্যবহৃত দ্রব্যাদি, রোগাক্রান্ত ব্যক্তিকে সাময়িক বিচ্ছিন্নকরণ, পরিদর্শন, সংক্রমিত স্থান বা স্থাপনা জীবানু মুক্তকরণ বা বন্ধকরণ,স্থাপনা ধ্বংসকরণসহ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে সুনির্দিষ্ট বিধান করা হয়।
এছাড়া বিলে যানবাহন জীবানুমুক্তকরণের আদেশ প্রদানের ক্ষমতা, জীবানুমুক্ত যানবাহন, দ্রব্যাদি জব্দ, মৃতদেহের সৎকার, আন্তঃমন্ত্রণালয় সমন্বয়, আমদানি-রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা, সরকারি ব্যয়ের অর্থ ফেরত গ্রহণসহ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে বিধান করা হয়।
বিলে সংক্রামক রোগের বিস্তার এবং তথ্য গোপনের অপরাধে সুনির্দিষ্ট দন্ডের বিধান করা হয়। এ অপরাধে অনূর্ধ্ব ৬ মাস বা অনূর্ধ্ব ১ লাখ টাকা অর্থদন্ডে, অথবা উভয় দন্ডে দন্ডিত করার বিধান করা হয়েছে। এছাড়া দায়িত্ব পালনে বাধা প্রদান ও নির্দেশ পালনে অসম্মতি, মিথ্যা বা ভুল তথ্য প্রদান সংক্রান্ত অপরাধের জন্য ভিন্ন ভিন্ন মেয়াদের দন্ড ও অংকের টাকা অর্থদন্ড বা উভয় দন্ডের বিধান করা হয়েছে।
জাতীয় পার্টির ফখরুল ইমাম, নূরুল ইসলাম ওমর, বেগম নূর-ই-হাসনা লিলি চৌধুরী, পীর ফজলুর রহমান, রুস্তম আলী ফরাজী, বেগম মাহজাবীন মোরশেদ, ডা. আককাছ আলী সরকার, সেলিম উদ্দিন, আব্দুল মুনিম চৌধুরী, শামীম হায়দার পাটোয়ারী ও বেগম রওশান আরা মান্নান বিলের ওপর জনমত যাচাই, বাছাই কমিটিতে প্রেরণ ও সংশোধনী প্রস্তাব আনলে তা কন্ঠভোটে নাকচ হয়ে যায়।
বাংলাদেশ সময়: ২২:২৮:৫৪ ২৬৯ বার পঠিত