জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড অধ্যাদেশ, ১৯৮৩ রহিত করে সময়ের চাহিদার প্রতিফলনে নতুন আইন প্রণয়ন করতে প্রয়োজনীয় বিধান করে আজ সংসদে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড বিল, ২০১৮ পাস করা হয়েছে।
শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বিলটি পাসের প্রস্তাব করেন।
বিলে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড অধ্যাদেশ, ১৯৮৩ এর অধীন প্রতিষ্ঠিত জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড বহাল রাখার বিধান করা হয়। বোর্ডের প্রধান কার্যালয়, ঢাকায় এবং প্রয়োজনে দেশের যে কোন স্থানে এর আঞ্চলিক বা শাখা কার্যালয় স্থাপন করার বিধান করা হয়।
বিলে একজন চেয়ারম্যান করে ৮ সদস্যের বোর্ড গঠনের বিধান করা হয়।
বিলে বোর্ডের চেয়ারম্যান নিয়োগ এবং তার দায়িত্ব ও কর্তব্য, বোর্ডের সভা, বোর্ডের কার্যাবলী, শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যসূচি প্রণয়ন কমিটি, পাঠ্যপুস্তক কমিটি গঠন, বোর্ডের কর্মচারী নিয়োগ, বোর্ডের তহবিল, বাজেট, হিসাবরক্ষণ ও নিরীক্ষা, প্রতিবেদন, বিদ্যালয় পাঠ্যপুস্তক, প্রকাশকদের নিকট থেকে তথ্য ও প্রতিবেদন, বিধি-প্রবিধি প্রণয়নের ক্ষমতাসহ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে সুনির্দিষ্ট বিধান করা হয়।
জাতীয় পার্টির ফখরুল ইমাম, নূরুল ইসলাম ওমর, বেগম নূর-ই-হাসনা লিলি চৌধুরী, পীর ফজলুর রহমান, রুস্তম আলী ফরাজী, বেগম মাহজাবীন মোরশেদ, ডা. আককাছ আলী সরকার, সেলিম উদ্দিন, আব্দুল মুনিম চৌধুরী, শামীম হায়দার পাটোয়ারী ও বেগম রওশান আরা মান্নান বিলের ওপর জনমত যাচাই, বাছাই কমিটিতে প্রেরণ ও সংশোধনী প্রস্তাব আনলে তা কন্ঠভোটে নাকচ হয়ে যায়।
এছাড়া সংসদে কস্ট এন্ড ম্যানেজমেন্ট অ্যাকাউন্ট্যান্টস বিল, ২০১৮ ও বাংলাদেশ রিহ্যাবিলিটেশন কাউন্সিল বিল, ২০১৮ উত্থাপন করা হয়। বিলটি দু’টি উত্থাপন করেন যথাক্রমে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ ও সমাজ কল্যাণ মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন।
পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে ৩ দিনের মধ্যে সংসদে রিপোর্ট প্রদানের জন্য বিল দু’টি যথাক্রমে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি ও সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়।
বাংলাদেশ সময়: ২২:৩৩:৪৩ ১৭৪ বার পঠিত