গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন জানিয়েছেন, রাজধানীতে রাজউক কর্তৃক ৩২১টি ঝুঁকিপূর্ণ ভবন সনাক্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে ২৮টি ভবন মালিকপক্ষ পুনঃনির্মাণ করেছেন। অবশিষ্ট ভবনগুলো মালিকপক্ষ ভেঙ্গে ফেলেছেন। বিদ্যমান ২৫৫টি ঝুঁকিপূর্ণ ভবন বিশেষজ্ঞ কর্তৃক চূড়ান্তভাবে সনাক্তকরণপূর্বক ভবন মালিকদের সঙ্গে আলোচনা করে ভাঙ্গা/অপসারণের ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
রবিবার জাতীয় সংসদ অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে তিনি এতথ্য জানান। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অধিবেশনে এসংক্রান্ত প্রশ্নটি উত্থাপন করেন সরকার দলীয় সংসদ সদস্য এম আবদুল লতিফ।
সরকার দলীয় আরেক সদস্য কাজী নাবিল আহমেদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, জেলা শহর ও উপজেলাগুলোতে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় মূলত জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে আবাসনের ব্যবস্থা গ্রহণ করে থাকে। সরকারিভাবে স্বল্প ব্যয়ে ফ্ল্যাট নির্মাণের লক্ষ্যে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ ইতোমধ্যে ঢাকা জেলায় বিভিন্ন ফ্লাট প্রকল্প বাস্তবায়নের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। তিনি জানান, রাজউকের উত্তরা (৩য় পর্ব) প্রকল্পে ভবিষ্যতে স্বল্প আয়ের মানুষের জন্য ৮৫০ বর্গফুট আয়তনের এক হাজার ফ্লাট নির্মাণ করার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে স্বল্প আয়ের মানুষের জন্য প্রায় ৯০ একর জায়গা সংরক্ষণ করা হয়েছে যেখানে ভবিষ্যতে ক্ষুদ্র আয়তনের ফ্লাট নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে। আয়তন কম হওয়ায় এ সকল ফ্লাটের নির্মাণ ব্যয় অপেক্ষাকৃত কম হবে। ফলে নি¤œ ও মধ্যম আয়ের সকল শ্রেণী পেশার মানুষের সামর্থ্যরে ভিতরে এ সকল ফ্লাট বিতরণ করা যাবে বলে আশা করা যায়।
সংসদ সদস্য দিদারুল আলমের প্রশ্নের জবাবে গৃহায়ন মন্ত্রী জানান, রাজউক কর্তৃক রাজধানীর শান্তিনগর হতে মাওয়া রোড (ঝিলমিল) পর্যন্ত প্রস্তাবিত ফ্লাইওভারটি বর্তমান সরকারের পিপিপি পদ্ধদিতে নির্মাণের পরিকল্পনা আছে। অর্থনৈতিক মন্ত্রীসভা কমিটি গত ৯ জানুয়ারী, ২০১৩ তারিখে প্রকল্পটি পিপিপি পদ্ধতিতে বাস্তবায়নের নীতিগত অনুমোদন লাভ করে। প্রকল্পটি বাস্তবায়নের জন্য চলতি বছরের ২২ জুলাই হতে ২০২২ সালের জুন পর্যন্ত মেয়াদ নির্ধারণ করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯:৫৫:৫৩ ১৭১ বার পঠিত