বাতিঘর সাংস্কৃতিক বিদ্যালয়ের তিন দিনব্যাপী ‘সম্প্রীতি-বাতিঘর নাট্য উৎসব ২০১৮’ রাজধানীর মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে শেষ হয়েছে শনিবার।
‘বিভাজন নয় সম্প্রীতি, সহিংসতা নয় ভালোবাসাÑ থিম নিয়ে উৎসবের শেষ দিনে তিনটি নাটক পরিবেশিত হয়। বাতিঘর সাংস্কৃতিক বিদ্যালয়ের মিরপুর শাখা ‘মানুষ’ ও উত্তরা শাখা ‘বাল্মীকি প্রতিভা’ এবং সবশেষে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় দল পরিবেশন করে ‘গ্রন্থিকগণ কহে’।
দ্বিতীয় দিন শুক্রবার মঞ্চায়িত হয় চারটি নাটক- বাতিঘর সাংস্কৃতিক বিদ্যালয়ের বনশ্রী শাখার ‘সুন্দরমন’, ওয়ারী শাখার ‘জুতা আবিষ্কার ও লালমাটিয়া শাখার ‘তাশের দেশ’ এবং ড্যাফোডিল রোটার্যাক্ট ক্লাবের ‘খুকির জীবন কাহিনি’।
গত বৃহস্পতিবার উৎসবের উদ্বোধনী দিনে পরিবেশিত চারটি হচ্ছে- বায়তুল মোশাররফ সিনিয়র মাদ্রাসার ‘কোরআন সূত্রের জিহাদিগণ’, ড্যাফোডিল অলস্টারসের ‘গাহি সাম্যের গান’, বঙ্গরঙ্গ নাট্যদলের ‘সৎপথ’ এবং জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘ওয়ার্ড নং ৬’।
নাট্য উৎসবের সমাপনী অনুষ্ঠানে নাটকগুলোর মূল্যায়ন করেন প্রখ্যাত নাট্যশিক্ষক বিপ্লব বালা। সমাপনী বক্তব্য দেন সম্প্রীতির ডেপুটি প্রোগ্রাম ম্যানেজার শাহাজাদি বেগম।
শুক্রবারের অতিথি ছিলেন খ্যাতিমান নাট্যকার ও নির্দেশক অলক বসু।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বৃহস্পতিবার অতিথি ছিলেন বিপ্লব বালা, বাংলা একাডেমির উপ-পরিচালক তপন বাগচী এবং মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের সম্প্রীতি প্রকল্পের প্রোগ্রাম ম্যানেজার শাহরিয়ার মান্নান। স্বাগত বক্তব্য দেন বাতিঘর সাংস্কৃতিক বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ মেহেদী হাসান শোয়েব।
মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের সম্প্রীতি প্রকল্পের আওতায় বাতিঘরের বাতায়ন প্রকল্পের প্রথম আয়োজন ছিল ‘সম্প্রীতি-বাতিঘর নাট্য উৎসব’। এই প্রকল্পের আওতায় এরপরে নারায়ণগঞ্জ ও গাজীপুরে নাট্য উৎসবসহ বৃহত্তর ঢাকার অন্যান্য জেলায় বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২০:২১:১১ ২৫৩ বার পঠিত