নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে খালি জমিতে নানা নামের আবাসন প্রকল্পের বিজ্ঞাপন গুণে শেষ করা কঠিন। তবে যেসব জমিতে সাইনবোর্ড বসানো হয়েছে, সেগুলোর একটি বড় অংশ সরকারি।
কয়েকশ একর সরকারি জমিতে সাইনবোর্ড স্থাপনের পাশাপাশি ও বালু ভরাট করে তা দখলে করে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে বিভিন্ন প্রকল্পের নামে। পরে প্রায় ২০০ বিঘা জমি উদ্ধারও করেছে প্রশাসন। তবে আরও বহু জমি এখনও দখলে রয়ে গেছে।
স্থানীয় কৃষকদের অভিযোগ, রূপগঞ্জ ইউনিয়নে অবৈধভাবে গড়ে উঠা বেশ কয়েকটি আবাসন প্রকল্প সরকারি জমি জবরদখল করে রেখেছে। এসব জমিতে আগে কৃষকরা ফসল ফলাতেন। আর এসব দখলে সহযোগিতা করছেন ভূমি কর্মকর্তারা।
এলাকাবাসী জানায়, আনন্দ পল্লী, ঢাকা ভিলেজ, আশালয়, সী-শেল আবাসন প্রকল্প সরকারি জমিতে অবৈধভাবে সাইনবোর্ড স্থাপন ও বালু ভরাট করেছে। আর এসব জমি বিক্রিও করা হচ্ছে। মাসিক কিস্তিতে বা এককালীন টাকায় নিবন্ধন করিয়ে দেয়া হচ্ছে জমি।
তবে যারা জমি কিনছেন, তারা শেষ পর্যন্ত জমি পাবেন কি না, এ নিয়ে সংশয় আছে কারণ, প্রশাসন যদি শেষ পর্যন্ত উদ্যোগী হয়ে অবৈধ দখল উচ্ছেদ করে, তাহলে সে জমি আবার সরকারের হেফাজতেই যাবে।
বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় পর্যায়ে নানা আলোচনার পর সহকারী ভূমি কর্মকর্তা মোক্তার হোসেন ও উপ-সহকারী ভূমি কর্মকর্তা ফরিদ আহাম্মেদকে রূপগঞ্জ ইউনিয়ন এলাকায় অবৈধভাবে গড়ে উঠা বিভিন্ন আবাসন প্রকল্পের তালিকা প্রদান ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে নির্দেশনাও দেয়া হয়। তবে গত ছয় মাসে তারা কোন পদক্ষেপ নেননি।
স্থানীয়দের অভিযোগ, এই দুই সরকারি কর্মকর্তা ভূমি দখলকারীদের সঙ্গে সম্পর্ক রেখে চলেন। তাই তারা প্রশাসনের নির্দেশ পালনেও গড়িমসি করছেন।
তবে সহকারী ভূমি কর্মকর্তা মোক্তার হোসেন ও উপ-সহকারী ভূমি কর্মকর্তা ফরিদ আহাম্মেদ বলেন, তাদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। তারা তাদের ওপর আসা নির্দেশ পালনে ব্যবস্থা নিচ্ছেন।
জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবুল ফাতে মোহাম্মদ সফিকুল ইসলাম ঢাকাটাইমসকে বলেন, রূপগঞ্জ ইউনিয়নসহ যেখানে যেখানে সরকারি অর্পিত জমি রয়েছে, পর্যায়ক্রমে সবগুলো উদ্ধার করা হবে। ইতিমধ্যে প্রায় ২০০ বিঘা জমি উদ্ধার করা হয়েছে।
‘সরকারি জমিতে সাইনবোর্ড স্থাপন ও বালু ভরাট করতে দখলদারদের ভূমি অফিসের কেউ কেউ সহযোগিতা করেছে বলে আমি শুনেছি, এগুলোর ব্যাপারেও ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।’
বাংলাদেশ সময়: ১২:২২:২১ ২৮০ বার পঠিত