আদমজী সোনামিয়া বাজার রেললাইন এলাকায় দু’পক্ষের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে উভয়পক্ষের ৬ জন আহত হয়েছে। জমি ক্রয় বিক্রয় সংক্রান্ত বিষয়ের জের ধরে মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) দুপুরে দু’দফা এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে সেলিম ও আরজু নামে ২ জনকে আটক করেছে। থানায় পাল্টা-পাল্টি অভিযোগ দায়ের করার প্রস্তুতি চলছে।
জানা গেছে, আদমজী সোনামিয়া বাজার এলাকার মোঃ সুমন খান নামে এক ব্যক্তি ৯ পয়েন্ট জমি বিক্রি করার ইচ্ছা পোষন করেন। একই এলাকার হানিফ খার ছেলে সাহেব আলী ও শহিদুল ইসলামের ছেলে সাজু ওই জমি কিনার জন্য মরিয়া হয়ে উঠে। সাজু গং ৪ লাখ টাকা দরদাম করে ১ লাখ ৭০ হাজার টাকা বায়না করে। এ খবর জেনে সাহেব আলী বিক্রেতাকে পটিয়ে সাড়ে ৫ লাখ টাকা দরদাম করে গত সোমবার ২ লাখ টাকা বায়না করে। এ বিষয়টি জানার পর এনিয়ে গতকাল মঙ্গলবার সকালে সাহেব আলী ও সাজু গংদের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হয়। খবর পেয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার একটি টিম ঘটনাস্থলে গিয়ে দু’পক্ষকে শান্ত করে চলে আসেন। পুলিশ চলে আসার কিছুক্ষণ পর বেলা ১২ টায় আবার বিরোধ সৃষ্টি হয়। বৃদ্ধ হানিফ ও তার ছেলে সাহেব আলী, সেলিম খা, জাফর খা ও জাফর খার মেয়ের জামাই আরজু লাঠি সোটা নিয়ে হামলা করে। তারা চাপাতি দিয়ে শহিদুল ইসলামের ছেলে সাজুকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে। তখন সাজুর ভাই সজিব, বোন সাথি,বিথি ও মা মর্জিনা বেগম ওরফে (ব্যালী) লাটি-সোটা নিয়ে পাল্টা হামলা করে। শুরু হয় দু’পক্ষের মধ্যে তুমুল মারামারি। লাঠির আঘাতে সাহেব আলীর মাথা ফেটে গিয়ে গুরুতর আহত হয়। এসময় আরো আহত হয় সাহেব আলীর পিতা বৃদ্ধ হানিফ খা, অপর পক্ষের সজিব, স্কুল ছাত্র হৃদয়, সাজুর বোন সাথি ও বিথি।
খবর পেয়ে আবার এসআই রফিকুল ইসলাম ও রেজাউল সঙ্গীয় ফোর্সসহ দ্রুত ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়ে সাহেব আলী পক্ষের সেলিম খা ও তার ভাতিজি জামাই আরজুকে আটক করে। গুরুতর আহত সাহেব আলী ও সাজুকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠায় পুলিশ। গুরুতর আহত সাজু ও সাহেব আলীকে প্রথমে নারায়ণগঞ্জ খানপুর হাসপাতালে নিয়ে গেলেও অবস্থা আশংকা জনক হওয়ায় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়েছে বলে আহতদের স্বজনরা জানায়।
এ সংঘর্ষের ঘটনায় সন্ধা পর্যন্ত কোন পক্ষ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেনি বলে পুলিশ জানায়। তবে পাল্টা পাল্টি অভিযোগ দায়ের করার প্রস্তুতি চলছে বলে জানা গেছে।
বাংলাদেশ সময়: ২০:৪৪:৪৯ ৫১৭ বার পঠিত