গভীর বঙ্গোপসাগরে সাঁড়াশি অভিযান চালিয়ে ১০ জলদস্যুকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। তাদের কবল থেকে উদ্ধার করা হয়েছে অপহৃত তিন মাঝিমাল্লাকে। এ সময় ৬টি অস্ত্র ও ৩৭ রাউন্ড গোলাবারুদ জব্দ করা হয়।
সোমবার ভোরে গ্রেপ্তারকৃত জলদস্যুরা তিনটি বাহিনীর সদস্য। দুপুরে গ্রেপ্তারকৃত জলদস্যু ও উদ্ধারকৃত মাঝিমাল্লাদের কক্সবাজার শহরের ৬নং ঘাটে নিয়ে আসেন র্যাব সদস্যরা। সেখান থেকে গাড়িতে করে সংস্থাটির কক্সবাজার ক্যাম্প কার্যালয়ে নিয়ে যান।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- আব্দুল গফুর, মো. সাইফুল ইসলাম, মো. তারেক, আবুল হোসেন, ছৈয়দুল আলম, মো. করিম, মো. জুয়েল ও নুরুল হক।
র্যাব সূত্র জানায়, রোববার রাত ১২টার দিকে গভীর সাগরে দুটি মাছ ধরার ট্রলারে ডাকাতি করে জলদস্যুরা। ডাকাতি শেষে জলদস্যুরা ওই দুই ট্রলারের তিনজন মাঝিমাল্লাকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। পরে অন্য জেলেদের কাছ থেকে অভিযোগ পেয়ে র্যাব সাগরে অভিযান চালায়। কক্সবাজার র্যাব ক্যাম্পের ইনচার্জ মেহেদী হাসান জানান, অভিযান চলাকালে তাদের উপস্থিতি টের পেয়ে আরও একটি ট্রলারে করে বেশ কয়েকজন জলদস্যু পালিয়ে যায়।
অপহরণের শিকার মাঝিমাল্লারা হলেন- মহেশখালী উপজেলার ঘটিভাঙা এলাকার আব্দুল মজিদ, রামু উপজেলার নুরুল আলম ও সদর উপজেলার চৌফলদন্ডী এলাকার বাচা রাখাইন।
তারা জানান, দুটি মাছ ধরার ট্রলার গভীর বঙ্গোপসাগরে পাশাপাশি অবস্থান করছিল। হঠাৎ দুটি ট্রলার তাদের দিকে তেড়ে আসে। ওই দুই ট্রলার থেকে গুলিবর্ষণ ও ভয় দেখানো হয়। জলদস্যুরা তাদের তিনজনকে জিম্মি করে ডাকাতি শেষে অপহরণ করে নিয়ে যায়। জিম্মিদশায়ও জলদস্যুরা তাদের ব্যাপক নির্যাতন চালায়। ভোরে র্যাব গিয়ে তাদের উদ্ধার করে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬:৫১:৩২ ২১৩ বার পঠিত