আওয়ামী লীগ ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের দ্বিতীয় দফা সংলাপেও দুই পক্ষ বিরোধ মিটিয়ে একমত হতে পারেনি। সংলাপে ঐক্যফ্রন্ট নেতারা সংসদ ভেঙে দিয়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আদলে ১০ জন উপদেষ্টাকে নিয়ে নির্বাচনকালীন সরকার গঠনের প্রস্তাব দেন। অন্যদিকে আওয়ামী লীগ সরাসরি নাকচ করে দিয়েছে।
বুধবার বেলা ১১টায় গণভবনে হয় এই দ্বিতীয় দফা সংলাপ। এর আগে ১ নভেম্বর দুই পক্ষ বসে সংলাপে।
আগের রাতে ঐক্যফ্রন্টের নেতা ড. কামাল হোসেন অসুস্থ হয়ে পড়ায় তার দ্বিতীয় দফা সংলাপে আসা অনিশ্চিত ছিল। আর তিনি না আসলে শেখ হাসিনাও বৈঠকে যোগ দেবেন না বলে সিদ্ধান্ত হয়েছিল।
তবে শেষ পর্যন্ত কামাল হোসেন বৈঠকে আসেন এবং টেবিলের উল্টোপাশে আওয়ামী লীগ নেতারা বসেন শেখ হাসিনাকে নিয়েই।
সংবিধান অনুযায়ী সংসদের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগের ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন হতে হবে। তবে ঐক্যফ্রন্ট সংসদ ভেঙে দিয়ে পরবর্তী ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচনের প্রস্তাব দেয়।
বৈঠক শেষে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের জানান, এই প্রস্তাব তারা নাকচ করেছেন। বলেছেন, ‘উই উইল নট গো বিয়ন্ড কনস্টিটিউশন।’
ঐক্যফ্রন্টের প্রস্তাবকে নির্বাচন পিছিয়ে দেয়ার কৌশল হিসেবে দেখছেন কাদের। বলেন, এতে অসাংবিধানিক সাংবিধানিক শূন্যতা সৃষ্টি হবে আর এ সুযোগে তৃতীয় পক্ষ ঢুকে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
বৈঠকে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে অংশ নেয়া দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম গণভবন থেকে বের হয়ে সাংবাদিকদের বলেন, ‘নির্দিষ্ট কোন সমাধান হয়নি। আরো সংলাপের প্রস্তাব দিয়েছে ঐক্যফ্রন্ট। দুই পক্ষই তাদের অবস্থানে অনড়।’
আরও আসছে…
বাংলাদেশ সময়: ১৫:১৮:৫৭ ২১২ বার পঠিত