নিউজটুনারায়ণগঞ্জঃ নানা জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে ভোটের পথেই হাঁটছে বিএনপি। দলীয় প্রধান বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তিসহ সাত দফা দাবিতে আন্দোলনের অংশ হিসেবেই ভোটে থাকবে গত জাতীয় সংসদ নির্বাচন বর্জন করা এ দলটি। নির্বাচনে বিএনপির সঙ্গে থাকবে ২০-দলীয় জোটের অন্যান্য শরিক দল ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। তবে নির্বাচনী তফসিল আরও এক মাস পেছানোর দাবি জানানো হবে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের পক্ষ থেকে। নির্বাচনে যাওয়ার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিয়ে আজ জাতীয় প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করবেন ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ড. কামাল হোসেন। এ তথ্য জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। গতকাল বিকালে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসন কার্যালয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটি, সন্ধ্যায় ২০-দলীয় জোটও সর্বশেষ রাতে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের বৈঠকে নির্বাচনে যাওয়ার বিষয়টি চূড়ান্ত হয়। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। জানা যায়, শর্তসাপেক্ষে নির্বাচনে যাওয়ার ঘোষণা দেবে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। নির্বাচনে যাওয়ার পাশাপাশি তারা খোলা রাখছে আন্দোলনের পথও। লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড না থাকলে শেষ পর্যন্ত ভোট বর্জনও করতে পারে বিএনপি জোট ও ফ্রন্ট। তবে আজ বিএনপিসহ জোট ও ফ্রন্টের শরিক দলগুলো জোটবদ্ধ নির্বাচনের জন্য পৃথকভাবে চিঠি দেবে নির্বাচন কমিশনে। পরে আগামীকাল সোমবার নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে বৈঠকে বসবে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। সেখানে তারা নির্বাচনী তফসিল অন্তত এক মাস পেছানোর দাবি জানাবে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটি সূত্রে জানা যায়, নির্বাচনে যাওয়া না যাওয়া নিয়ে স্থায়ী কমিটি দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়ে। একটি অংশ বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অধীনে নির্বাচনে না যাওয়ার পক্ষে যুক্তি তুলে ধরেন। এক্ষেত্রে অতীতের সিটি করপোরেশন নির্বাচনসহ চলমান সমঝোতাহীন সংলাপের উদাহরণ টানেন তারা। তবে আরেক অংশ নির্বাচনে যাওয়ার পক্ষে অবস্থান নেন। বিএনপির অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখাসহ নেতা-কর্মীদের ভবিষ্যৎ রাজনীতির স্বার্থেই নির্বাচনে যাওয়া জরুরি বলে মনে করেন তারা। এ নিয়ে স্থায়ী কমিটিতে মৃদু হট্টগোল হলেও শেষ পর্যন্ত সবাই নির্বাচনে যাওয়ার ব্যাপারে নীতিগত সিদ্ধান্ত নেন।
জানা যায়, দলের প্রধান বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানও আন্দোলনের অংশ হিসেবে নির্বাচনে যাওয়ার ব্যাপারে ইতিবাচক বলে জানা গেছে। পুরনো কারাগারে বেগম জিয়ার সঙ্গে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাক্ষাৎ করলে তাঁকে জোট ও ফ্রন্ট নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়ার দিকনির্দেশনা দেন তিনি। তবে তিনি আন্দোলনের অংশ হিসেবে নির্বাচনে যাওয়ার ব্যাপারে ইতিবাচক মনোভাবও ব্যক্ত করেন বলে জানা গেছে।
এ ব্যাপারে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ‘বিএনপি একটি নির্বাচনমুখী দল। কিন্তু গণতন্ত্রের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া এখন কারাগারে। তফসিল ঘোষণার পরও নেতা-কর্মীদের গ্রেফতার হয়রানি চলছে। সরকার আবারও একতরফা নির্বাচনের ষড়যন্ত্র করছে। রাজনৈতিক দলগুলোর মতামত উপেক্ষা করে নির্বাচন কমিশনকে দিয়ে একতরফা তফসিল ঘোষণা করানো হয়েছে। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বেগম খালেদা জিয়াকে জোর করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এ অবস্থায় নির্বাচনে যাওয়া খুবই কঠিন। ভোটের আগে সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশের নিশ্চয়তা চাই।’
বিএনপির সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, সরকারের সঙ্গে সংলাপ শেষ হলেও ছোট পরিসরে আলোচনা চালিয়ে যাবে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। শেষ পর্যন্ত দর কষাকষিতে থাকবে তারা। তবে বর্তমান তফসিলকে পেছানোর দাবি জানানো হবে। এর মধ্যে দেশি-বিদেশি কূটনীতিবিদদের সঙ্গেও যোগাযোগ রাখা হবে। সুষ্ঠু নির্বাচনে সরকারকে চাপ দিতেও অনুরোধ জানাবে বিএনপি ফ্রন্ট। দল, জোট ও ফ্রন্টের নেতারা মনোনয়ন ফরমও কিনবেন। মনোনয়নপত্র জমাও দেবেন। তবে ভোটের পরিবেশের ওপর সব কিছুই নির্ভর করবে। প্রতিকূল পরিবেশ না পেলে নির্বাচন বর্জনও করতে পারে বিএনপি জোট। বিএনপির স্থায়ী কমিটির একজন সদস্য জানান, ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির মতো আর ভুল করতে আমরা রাজি নই। সরকারকে এবার আর খালি মাঠে গোল দিতে দেব না। বিনা চ্যালেঞ্জে মাঠ ছেড়ে দেওয়া হবে না।
বিএনপি সূত্র জানায়, বিএনপি চেয়ারপারসন ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের পক্ষ থেকে এরই মধ্যে তৃণমূল পর্যায়ে বার্তা পাঠানো হয়েছে। নির্বাচনের সঙ্গে আন্দোলন প্রস্তুতিও নিতে বলা হয়েছে। তবে একাধিকবার জরিপ চালিয়ে বিএনপি প্রার্থী তালিকাও প্রায় প্রস্তুত করে রেখেছে। তবে কিছু প্রার্থী শেষ সময়ে পরিবর্তনও হতে পারে। প্রতিটি আসনে অন্তত তিনজন করে প্রার্থী বাছাই করা হয়েছে। ৩০০ আসনে প্রার্থী প্রস্তুত থাকলেও এরমধ্যে জোট ও ফ্রন্টের জন্য অন্তত ৮০ আসন ছেড়ে দেবে বিএনপি। নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ‘আমাদের দলে ৩০ জন প্রার্থী রয়েছে। আরও বেশি ছিল। তবে ঐক্যফ্রন্টগতভাবে নির্বাচন করলে ৩০টি আসন চাইব। প্রার্থীরাও প্রস্তুতি নিচ্ছে।’
বিএনপির সিনিয়র এক নেতা বলেন, দলের থিঙ্কট্যাংক ও সিনিয়র নেতারা নির্বাচনী ইশতেহারের খসড়াও করে রেখেছেন। কেন্দ্রের নির্দেশে গোপনে সারা দেশে প্রতিটি ওয়ার্ড কেন্দ্রিক নির্বাচন পরিচালনা কমিটিও গঠন করা হয়েছে। ওই কমিটি ভোটকেন্দ্রে পোলিং এজেন্ট হিসেবে একাধিক দক্ষ ও সাহসী কর্মীর নাম তালিকাভুক্ত করে রেখেছে।
দিনভর জোট-ফ্রন্টের সঙ্গে বৈঠক বিএনপির : গতকাল দিনভর বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার গুলশান কার্যালয়ে বৈঠক করে বিএনপি। আগামী নির্বাচন নিয়ে নানামুখী পরিকল্পনার অংশ হিসেবেই এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। দুপুরে বিএনপির কয়েকজন সিনিয়র নেতা বৈঠক করেন। এরপর বিকাল সোয়া ৫টার দিকে গুলশান কার্যালয়ে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্যদের সঙ্গে বৈঠক করেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এলডিপি চেয়ারম্যান অলি আহমদের সভাপতিত্বে সন্ধ্যায় গুলশান কার্যালয়ে ২০-দলীয় জোটের শরিক দলের শীর্ষ নেতাদের পৃথক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে অংশ নেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান। এরপর রাতে গুলশান কার্যালয়ে বৈঠকে বসে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। ভোটের পাশাপাশি আগামী দিনের আন্দোলন কর্মসূচি নিয়েও কথা বলেন নেতারা। গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠকে অংশ নেন মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, লে. জেনারেল (অব.) মাহবুবুর রহমান, ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া, মির্জা আব্বাস, ড. আবদুল মঈন খান ও নজরুল ইসলাম খান। স্থায়ী কমিটি বৈঠকের পরপরই বসে ২০-দলীয় জোটের বৈঠক।
জোটের বৈঠকেও নির্বাচনে যাওয়ার পক্ষে মত : ২০-দলীয় জোটের অধিকাংশ নেতাই ভোটে যাওয়ার পক্ষে মত দিয়েছেন। তবে তারা বিএনপির ওপর এ দায়িত্ব ছেড়ে দিয়েছেন। বৈঠকের পর সাংবাদিকদের জোট নেতা কর্নেল (অব.) অলি আহমদ জানিয়েছেন, ভোটে যাওয়া নিয়ে এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে বৈঠকে অংশ নেওয়া এক জোট নেতা বাংলাদেশ প্রতিদিনকে জানান, ‘ভোটে যাচ্ছি আমরা। জামায়াত জোটবদ্ধ না স্বতন্ত্রভাবে যাবে তা এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি।’ এলডিপি চেয়ারম্যান কর্নেল (অব.) অলি আহমদের সভাপতিত্বে জোটের বৈঠকে ২০ দলের সমন্বয়ক বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, জামায়াতে ইসলামীর আবদুল হালিম, বিজেপির সভাপতি আন্দালিব রহমান পার্থ, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম, জাগপার তাসমিয়া প্রধান, ডেমোক্রেটিক লীগের সাইফুদ্দিন আহমেদ মনি, খেলাফত মজলিসের মাওলানা মোহাম্মদ ইসহাক, লেবার পার্টির ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, সাম্যবাদী দলের কমরেড সাঈদ আহমেদ, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের নূর হোসাইন কাসেমী, ইসলামী ঐক্যজোটের মাওলানা আবদুর রকিব প্রমুখ বৈঠকে অংশ নেন। বৈঠকে থাকা একটি দলের চেয়ারম্যান জানান, বৈঠকের শুরুতে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি ব্যাখ্যা করেন। সেখানে তিনি বলেন, লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত হয়নি, জোট প্রধান কারাগারে, তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে, এই পরিস্থিতে জোটের করণীয় কী। প্রায় প্রতিটি দলের প্রতিনিধিই একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ব্যাপারে ইতিবাচক মনোভাব প্রকাশ করেন। বৈঠকে থাকা ২৩ দলের তিন দল নির্বাচনে যাওয়ার বিষয়ে নেতিবাচক মনোভাব প্রকাশ করেছে। দল তিনটি হচ্ছে— বিজেপি, ইসলামী ঐক্যজোট ও ডেমোক্রেটিক লীগ। পরে ২০-দলীয় জোটের বৈঠক শেষে এলডিপির সভাপতি অলি আহমদ সাংবাদিকদের বলেন, আজকের বৈঠকে দেশের নির্বাচন ও দেশে সার্বিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। নির্বাচনে যাব কি যাব না এই ব্যাপারে আমরা কোনো সিদ্ধান্ত নেইনি। আগামী দুই দিনের মধ্যেই ২০-দলীয় ঐক্যজোট আমাদের মূল দল বিএনপি ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গে কথা বলে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জাতির সামনে উপস্থাপন করব।
তিনি বলেন, জোট নেত্রী খালেদা জিয়ার মুক্তি হলো আমাদের প্রধান, তাকে মুক্তি দিতে হবে। তা হলেই নির্বাচনের পরিবেশ ফিরে আসবে। ২০ দলের অনেক নেতা-কর্মী গ্রেফতার হয়েছে। যদিও সরকার বলছে, সবার জন্য নির্বাচনের সমান সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। আমরা মনে করি এটা কাগজে কলমে সীমাবদ্ধ, পত্রিকার মধ্যে সীমাবদ্ধ। এখনো সব দলের জন্য সমান সুযোগ সৃষ্টি হয়নি।
সোমবার ইসিতে যাবে ঐক্যফ্রন্ট : নির্বাচনে সার্বিক পরিস্থিতি তুলে ধরতে আগামীকাল সোমবার নির্বাচন কমিশনে যাবে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের বৈঠকে এমন সিদ্ধান্ত হয়েছে। সেখানে নেতারা আলোচনা করেন, বর্তমান পরিস্থিতি ও তাদের দাবি দাওয়া তুলে ধরতে ঐক্যফ্রন্টের নেতারা নির্বাচন কমিশনে যাবে এবং একটি চিঠি হস্তান্তর করবেন। সেই চিঠির বিষয়বস্তু সম্পর্কে বিএনপির স্থায়ী কমিটির এক নেতা বলেন, নির্বাচন পেছানোর ব্যাপারে এই চিঠিতে বলা হবে। নির্বাচন এক মাস পেছানোর দাবি করা হবে। গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন শারীরিক অসুস্থতার কারণে রাতের এই বৈঠকে ছিলেন না। তার অনুপস্থিতিতে মির্জা ফখরুল বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন।
কূটনীতিকদের ব্রিফ করবে বিএনপি : দেশের চলমান ইস্যু নিয়ে ঢাকায় নিযুক্ত কূটনীতিকদের ব্রিফ করবে বিএনপি। দলটির কূটনৈতিক উইংয়ের সূত্রগুলো বলছে, গত ১ নভেম্বর ও ৭ নভেম্বর ক্ষমতাসীনদের সঙ্গে সংলাপের বিষয়বস্তু ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেওয়া প্রতিশ্রুতির বিষয়গুলো গুরুত্ব দিয়ে উত্থাপন করা হবে। কূটনীতিকদের ব্রিফিংয়ের বিষয়টি বিএনপির ফরেন অ্যাফেয়ার্স কমিটির নিয়মিত কার্যক্রমের অংশ। গুলশানের বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এ ব্রিফ অনুষ্ঠান হওয়ার কথা রয়েছে।
সূত্রগুলো বলছে, দুই দফা সংলাপে ক্ষমতাসীনদের পক্ষ থেকে যেসব প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে, বিশেষ করে রাজনৈতিক মামলা প্রত্যাহার, নতুন মামলা না করা এবং নেতা-কর্মীদের গ্রেফতারের বিষয়টির ওপর জোর দেবে বিএনপি। এক্ষেত্রে তথ্যপ্রমাণসহ কিছু কাগজপত্র কূটনীতিকদের হাতে তুলে দেওয়া হবে। জানতে চাইলে বিএনপির ফরেন অ্যাফেয়ার্স কমিটির আহ্বায়ক ও দলটির ভাইস চেয়ারম্যান ইনাম আহমেদ চৌধুরী জানান, আমরা নিয়মিত কূটনীতিকদের ব্রিফ করি। আগামী সোমবারও ব্রিফ করব। চলমান রাজনৈতিক ইস্যুগুলো নিয়ে কথা বলব।
বাংলাদেশ সময়: ১১:৫৫:৩৮ ২৬১ বার পঠিত