প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৩ নভেম্বর আয়কর মেলা উপলক্ষে নিম্নোক্ত বাণী
প্রদান করেছেন :
“জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের উদ্যোগে ১৩-১৯ নভেম্বর ২০১৮ ঢাকাসহ সকল
বিভাগীয় শহরে ৭ দিন, জেলা শহরগুলোতে ৪ দিন, ৩২টি উপজেলায় ২ দিনব্যাপী
আয়কর মেলা এবং ৭০টি উপজেলায় ১ দিনব্যাপী ভ্রাম্যমাণ আয়কর মেলা অনুষ্ঠিত
হতে যাচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত। এ বছর যে সকল করদাতা সর্বোচ্চ ও
দীর্ঘমেয়াদি করদাতা হিসেবে পুরস্কার পাচ্ছেন তাঁদের আমি আন্তরিক অভিনন্দন
জানাচ্ছি।
‘উন্নয়ন ও উত্তরণ, আয়করের অর্জন’- এ স্লোগানকে সামনে রেখে এই
বছর আয়কর মেলার প্রতিপাদ্য ‘আয়কর প্রবৃদ্ধির মাধ্যমে সামাজিক ন্যায়বিচার ও
ধারাবাহিক উন্নয়ন নিশ্চিতকরণ’ যথার্থ ও সময়োপযোগী হয়েছে বলে আমি
মনে করি।
আয়করকে জনগণের কাছে সহজবোধ্য করা, করবান্ধব পরিবেশ তৈরি, কর
সংস্কৃতির বিকাশ এবং কর সচেতনতা বৃদ্ধির মাধ্যমে অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ
দেশ গঠনের উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে আমরা ২০১০ সালে আয়কর মেলা চালু করি।
করদাতাগণ আয়কর মেলার বহুমাত্রিক সুফল পাচ্ছেন এবং এর মাধ্যমে দেশের রাজস্ব
আহরণও কাক্সিক্ষত মাত্রায় বৃদ্ধি পাচ্ছে। মেলায় করদাতাগণ আনন্দমুখর পরিবেশ ও
উৎসবের আমেজে স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করে প্রমাণ করেছেন যে, কর প্রদান
নাগরিক দায়িত্ব ও গর্বের বিষয়।
সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান
১৯৭২ সালে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড গঠন করেন। অভ্যন্তরীণ সম্পদ আহরণে জাতীয়
রাজস্ব বোর্ডকে অধিকতর দক্ষ, কার্যকর, গতিশীল এবং শক্তিশালী করার যাবতীয়
উদ্যোগ আমরা গ্রহণ করেছি। যথাযথ রাজস্ব আহরণের মাধ্যমে সরকারের রূপকল্প
২০২১ ও ২০৪১ সফলভাবে বাস্তবায়িত হবে বলে আমি বিশ্বাস করি।
আমি আশা করি, করদাতাগণের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণের মাধ্যমে আয়কর
মেলার সফল বাস্তবায়ন সামগ্রিকভাবে দেশের উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করার পাশাপাশি
করদাতাদের সঙ্গে কর বিভাগের সুসম্পর্ক আরো দৃঢ় হবে।
আমি ‘জাতীয় আয়কর মেলা ২০১৮’- এর সার্বিক সাফল্য কামনা করি।
জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু
বাংলাদেশ চিরজীবী
হোক।”
বাংলাদেশ সময়: ১৬:৫৭:৩২ ১৭৮ বার পঠিত