কল্পতরু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ বৃহস্পতিবার উত্তর ২৪ পরগনার ঠাকুরনগরে দাঁড়িয়ে মতুয়া সমাজের জন্য দরাজ হলেন মুখ্যমন্ত্রী৷ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শুরু করে বঙ্গবিভূষণ, ঘোষণা করলেন আরও অনেক কিছুর৷
মতুয়া মহাসঙ্ঘের বড়মা বীণাপানি দেবীর জন্মশতবর্ষের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে মুখ্যমন্ত্রী এদিন ঠাকুরনগরে গিয়েছিলেন৷ সেখানে মতুয়া সমাজের একগুচ্ছ ঘোষণা করলেন তিনি৷
পাশাপাশি জানালেন, তিনিও মতুয়া সঙ্ঘের সদস্য৷ তাঁর দলের বেশ কয়েকজন নেতাও মতুয়া সঙ্ঘের সদস্য বলে জানালেন তিনি৷ যা শুনে করতালি দিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে স্বাগত জানালেন মতুয়া সমাজের সদস্যরা৷
আর সেই রেশ কাটতে না কাটতেই মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করলেন বড়মাকে বঙ্গবিভূষণ সম্মান দেবে রাজ্য সরকার৷ যদিও তার আগে মতুয়াদের জন্য একাধিক ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী৷ কিন্তু অনুষ্ঠানের শেষে এই সম্মান ঘোষণা করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মতুয়াদের প্রাপ্তির ভাঁড়ার পূর্ণ করলেন বলেই মনে করছেন সঙ্ঘের সদস্যরা৷
মুখ্যমন্ত্রী এদিন মতুয়াদের প্রাপ্তির ভাঁড়ারে যোগ করেছেন একটি বিশ্ববিদ্যালয়৷ যা তৈরি হবে হরিচাঁদ-গুরুচাঁদ ঠাকুরের নামে৷ মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, ঠাকুরনগরের কাছেই চাঁদপাড়ায় জমিও দেখা হয়ে গিয়েছে৷ ৮.৮ একর কৃষি জমির উপর ওই বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে উঠবে৷
তাঁর কথায়, সব তৈরি৷ শুধু বাড়িটা বানানো হয়ে গেলেই শুরু হয়ে যাবে পঠনপাঠন৷ তাই এদিনই ওই জমিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড লাগিয়ে দেওয়ার জন্য জেলা প্রশাসনকে নির্দেশ দেন মমতা৷
একই সঙ্গে তিনি জানান, ঠাকুরনগরকে আন্তর্জাতিক মানচিত্রে তুলে ধরতে বদ্ধপরিকর রাজ্য সরকার৷ তাই ঠাকুরনগরের সৌন্দর্যায়ন করা হবে৷ আলোয় সাজিয়ে দেওয়া হবে এই এলাকা৷ সঙ্গে দু’টি গেটও নির্মাণ করা হবে বলে তিনি জানিয়েছেন৷
মতুয়া ও নমশূদ্রদের জন্য তাঁর সরকার কী কী করছে, সেকথাও এদিন তুলে ধরেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ পাশাপাশি তোপ দাগেন বিজেপির বিরুদ্ধে৷ অসমে বাঙালি খেদাও অভিযান চলছে বলে অভিযোগ করেন তিনি৷ তবে অসমের বাঙালিদের অন্যায় ভাবে তাড়িয়ে দেওয়া হলে, তাদের বাংলায় ঠাঁই দেওয়ার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী৷
বাংলাদেশ সময়: ০:০৬:৪৬ ২২২ বার পঠিত