জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নির্বাচন কমিশন কর্তৃক নির্দেশকৃত নির্বাচনী প্রচারণা সম্বলিত ব্যানার ফেস্টুন নামানোর সময় বেধে দিলেও এখন পর্যন্ত দৃশ্যমান অগ্রগতি দেখা যায়নি। নির্ধারিত সময় থেকে আরো ৩ দিন বাড়ানো হলেও নেতাকর্মীদের এ নিয়ে মাথা ঘামাতে দেখা যায়নি। আগামী ১৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময় বেধে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। নির্ধারিত সময়ে ব্যানার ফেস্টুন অপসারণ না করলে আইনি পদক্ষেপ নেওয়ারও ঘোষণা দেওয়া হয়। তবে এখনো চলছে আচরণবিধি লঙ্ঘন।
শুক্রবার সরজমিনে শহরের ২নং রেলগেইট থেকে শিবু মার্কেট পর্যন্ত দেখা যায় শহর জুড়ে ব্যানার পোস্টারের ছড়াছড়ি। আওয়ামী লীগের একাধিক মনোনয়ন প্রত্যাশীদের প্রচারণা আর নৌকায় ভোট প্রদানের আহ্বান সম্বলিত পোষ্টারে ছেয়ে আছে সর্বত্র। দেয়াল, বৈদ্যুতিক পিলার, বাসের গায়ে, সরকারি বিজ্ঞাপনের উপর, বিভিন্ন কর্পোরেট বিজ্ঞাপনের উপর, গাছের ডালে, বাশের খুঁটিতে ছড়িয়ে আছে এসব প্রচারণাগুলো। শহরে এখন পর্যন্ত ক্ষমতাসীন দলের প্রচারণা ব্যতীত অন্য কোন দলের প্রচারণা লক্ষ্য করা যায় না।
বিএনপির গোটা নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবী সংবলিত পোষ্টার দেখা গেলেও নির্বাচনী কোন প্রচারণা নেই। অপরদিকে আওয়ামী লীগের একাধিক প্রার্থীর পোষ্টার ফেস্টুনে ছেয়ে আছে পুরো শহর। এসব প্রচারণায় আধিপত্য রয়েছে, নারায়ণগঞ্জ- ৪ আসনের সংসদ সদস্য শামীম ওসমান, আওয়ামী লীগের জাতীয় পরিষদের সদস্য ও আইনজীবী নেতা আনিসুর রহমান দিপু, অ্যাডভোকেট খোকন সাহা, শ্রমিক লীগ নেতা শুক্কুর মাহমুদ, যুবলীগ নেতা আলী রেজা উজ্জ্বল, জেলা মহিলা লীগের সভাপতি শিরিন বেগম, সোনারগাঁ মহিলা লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট নূর জাহান সহ অনেকেই। অন্যান্য দলগুলোর মধ্যে জমিয়তে উলামায়ে ও জাকের পার্টির প্রচারণা লক্ষ করা যায়।
প্রত্যক্ষদর্শী একজন জানান, নির্বাচন সামনে তারা প্রচারণা করতেই পারে। তবে এত পোষ্টার আর ফেস্টুনের ছড়াছড়িতে পুরো শহরের চিত্র বদলে তৈরি হয় বিজ্ঞাপনের নগরীতে। এভাবে যত্রতত্র পোষ্টার ছড়িয়ে শহরে সৌন্দর্যও নষ্ট হয়।
রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টরা মনে করেন, নির্বাচনী পরিবেশ বজায় রাখতে ইসির নির্দেশনা দ্রুততার সহিত মান্য করা উচিৎ। এতে করে সকল দলের কাছে সঠিক বার্তা পৌঁছায়। তা নাহলে একক আধিপত্য নিজেদের জন্যেই ইমেজ নষ্ট করে। এছাড়া সিটি কর্পোরেশন ও প্রশাসনের কঠোর ভূমিকা রাখাও অতীব জরুরী।
বাংলাদেশ সময়: ২৩:২২:০৬ ৫৫৭ বার পঠিত