“আমার কাছে গর্ব আমি সঠিক লাইনে আছি, দিদির গোটা পুলিশ ও তৃণমূল এবং বাংলার দিদি আমাকে টাইট করেছে, এটা আমি আগে থেকেই জানি। মুর্শিদাবাদের সব থানা, পুলিশ সুপার, দিদির নবান্ন থেকে অধীর চৌধুরীকে হারাতে সব রকম চেষ্টা চলবে৷ আমি এটাকে চ্যালেঞ্জ হিসাবে গ্রহণ করছি, আমি তৃণমূলের চ্যালেঞ্জ কে গ্রহন করছি।” শুক্রবার বহরমপুরে জেলা কংগ্রেস কার্যালয়ে সাংবাদিক বৈঠকে তৃণমূলকে চ্যালেঞ্জ ও কটাক্ষ করলেন বহরমপুর কংগ্রেস সাংসদ অধীর চৌধুরী।
অধীর চৌধুরী বলেন, ‘‘ভোটের দিন প্রমান হবে মানুষ কি চাইছেন। যারা উড়ে এসে জুড়ে বসে তাদের পর্যবেক্ষন সাথে আমার পর্যবেক্ষণ এক হবে না। বিধায়ক থেকে নেতা সবাই কে ধমকি দেওয়া হবে, পুলিশের ধমককে আমরা পরোয়া করি না৷’’
এভাবে পাল্টা তৃণমূলকেও চ্যালেঞ্জ দিলেন অধীর চৌধুরী। রাহুল গান্ধী নেতৃত্ব যখন রাফেল দুর্নীতি নিয়ে আওয়াজ তুলেছেন তখন মোদী বিরোধী বাংলার মুখ্যমন্ত্রী নীরব, রাফায়েল নিয়ে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী চুপ করে আছেন। মুখ্যমন্ত্রী রাফায়েল ইসুতে নরেন্দ্র মোদী বিরুদ্ধে মুখ খুলছেন না কেন তাহলে রাফায়েল কী কোনও দুনীতি নয়?’’ প্রশ্ন তুলেছেন অধীর৷
তিনি আরও বলেন, ‘‘বাংলার মুখ্যমন্ত্রী কিছু বলা উচিত। দিদি Antarctica তে কিছু হলেই ফেসবুকে লেখেন তাহলে রাফেল ইসুতে দিদির ফেসবুক এখনও নীরব। দিদির নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে কথা বলতে ভয় লাগছে আর হিন্দুদের চটাতে চাইছেন না বলে কটাক্ষ করেন অধীর চৌধুরী ।
লোধা-শবর মৃত্যু প্রসঙ্গে এদিন অধীর চৌধুরী বলেন, লোধা শবররা মদ খাচ্ছে তাই তাদের মৃত্যু হয়। তাহলে মুখ্যমন্ত্রী আরও দুহাজার গ্রামে মদের দোকান খোলার লাইসেন্স দিচ্ছেল, মুখ্যমন্ত্রী মানুষকে বলছে মদ খেতে আর মদ খেয়ে মৃত্যু হলে বলছেন মদ খেয়ে মারা গেছে, সারা বাংলার ভবিষ্যত প্রজন্মকে লিভার অসুখে ভুগতে হবে৷
অধীর চৌধুরী দাবি করেন, পাহাড়ে যদি আলাদা আলাদা প্রত্যেক উপজাতি জন্য বিকাশ পরিষদ গড়তে পারেন তাহলে লোধা শবরদের জন্য আলাদা বিকাশ পরিষদ গড়া হোক৷ ভোট আসছে তাই খুশি করার প্রতিযোগিতা শুরু করেছেন দিদি ।
পাশাপাশি এদিন গরু পাচার প্রসঙ্গে রাজ্য সরকার ও কেন্দ্র সরকারকে আক্রমন করেন অধীর চৌধুরী। তিনি বলেন, দিল্লির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ঘরের লোক। যারা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আত্মীয় তারা মুখ্যমন্ত্রী আত্মীয় তাই মুর্শিদাবাদ জেলাতে এত গরু পাচার করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ২৩:৫৪:৫৯ ২৩৪ বার পঠিত