কুমিল্লায় মনিরুল হকের রিমান্ড ও জামিন নামঞ্জুর

প্রথম পাতা » আইন আদালত » কুমিল্লায় মনিরুল হকের রিমান্ড ও জামিন নামঞ্জুর
শুক্রবার, ২৩ নভেম্বর ২০১৮



---বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের অন্যতম সমন্বয়ক এবং আসন্ন সংসদ নির্বাচনে কুমিল্লা ৬ ও ১০ আসন থেকে দলের মনোনয়ন প্রত্যাশী সাবেক এমপি মনিরুল হক চৌধুরীর জামিন ও পুলিশের দাখিল করা রিমান্ড আবেদন নামঞ্জুর করেছেন আদালত। বৃহস্পতিবার দুপুরে কুমিল্লার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের ৯নং আমলী আদালতের বিচারক গোলাম মাহাবুব খান এ আদেশ দেন।

পরে মনিরুল হক চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, তাকে নির্বাচন থেকে দূরে রাখার জন্য ষড়যন্ত্র করে মিথ্যা ও গায়েবী মামলায় জড়িত করা হচ্ছে।

জানা গেছে, গত ১৩ সেপ্টেম্বর জেলার সদর দক্ষিণ মডেল থানায় পুলিশের দায়ের করা সন্ত্রাসবিরোধী আইনের একটি মামলায় মনিরুল হক চৌধুরীকে গ্রেপ্তার দেখানোর জন্য গত ৪ নভেম্বর পুলিশ কুমিল্লার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আবেদন করে। গত ১৪ নভেম্বর আদালত তাকে ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখায় এবং বিশেষ ক্ষমতা আইনের অপর একটি মামলায় পুলিশের রিমান্ড আবেদন ও জামিন নামঞ্জুর করে। পরে পুলিশ সন্ত্রাসবিরোধী আইনের ওই মামলায় তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য একই আদালতে ৭ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করে।

মনিরুল হক চৌধুরীর পক্ষের আইনজীবী রিমান্ড আবেদন নামঞ্জুরসহ তার জামিন চেয়ে আদালতে আবেদন করেন। বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে কারাগার থেকে কড়া পুলিশ পাহারায় কালো রং এর একটি গাড়িতে করে মনিরুল হক চৌধুরীকে আদালতে নিয়ে আসা হয়। আদালত প্রাঙ্গণে গাড়ি থেকে নামানোর সময় তাকে খুব অসুস্থ দেখাচ্ছিল। এ সময় পুলিশের কাঁধে ভর করে সিঁড়ি বেয়ে তিনি চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ভবনের পাঁচ তলায় উঠার সময় চতুর্থ তলায় গিয়ে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। একপর্যায়ে সেখানে তাকে টেবিলে শুইয়ে রাখা হয়। এ সময় মনিরুল হক চৌধুরীর পক্ষের আইনজীবীরা ডা. আলী আশরাফকে এনে চিকিৎসা দিলে ঘন্টাখানেক পর তিনি কিছুটা সুস্থ হন। পরে ৯নং আমলী আদালতের বিচারক ওই ভবনের ৫ম তলা হতে ৪র্থ তলায় নেমে ২নং জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে মামলার কার্যক্রম শুরু করেন।

মনিরুল হক চৌধুরীর পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট কাজী নাজমুস সা’দাত জানান, আদালত আমাদের দাখিলকৃত তার জামিনের আবেদন ও পুলিশের রিমান্ড আবেদন নামঞ্জুর করেছেন।

তিনি বলেন, এসব মামলার এজাহারে মনিরুল হক চৌধুরীর নাম নেই। তিনি বয়স্ক ও গুরুতর অসুস্থ। আসন্ন সংসদ নির্বাচনে তিনি কুমিল্লা-৬ ও ১০ আসন থেকে বিএনপি দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী এবং উভয় আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার লক্ষ্যে তার পক্ষে দলীয় মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন দলের স্থানীয় নেতাকর্মীরা। বিষয়টি বিজ্ঞ আদালতকে অবহিত করা হয়েছে। সহসাই উচ্চ আদালতে আমরা তার জামিন চাইব।

এদিকে, আদালত থেকে কারাগারে নিয়ে যাওয়ার আগে মনিরুল হক চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমার জনপ্রিয়তায় সরকার দলের স্থানীয় নেতারা চাইছেন আমি যেন নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে না পারি। সেজন্য একটার পর একটা মিথ্যা ও গায়েবী মামলায় আমাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে অমানবিকভাবে হয়রানি করা হচ্ছে। সম্প্রতি সড়ক দুর্ঘটনায় আমার হাতের হাড় ভেঙ্গে গেছে। এছাড়া আমি দীর্ঘ বছর ধরে হৃদরোগে ও মেরুদণ্ডের ব্যথায় আক্রান্ত। এভাবে আমাকে মামলায় জড়িয়ে টানাহেঁচড়া করে মেরে ফেলার ষড়যন্ত্র হচ্ছে।’

উল্লেখ্য, ২০১৫ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি জেলার চৌদ্দগ্রামে দুর্বৃত্তদের পেট্রোল বোমা হামলায় বাসের ৮ যাত্রী নিহতের ঘটনায় দু’টি মামলায় মনিরুল হক চৌধুরী হাইকোর্ট থেকে অন্তর্বর্তীকালীন জামিনে ছিলেন। গত ২৪ অক্টোবর জেলা জজ আদালত তার জামিন বাতিল করে কারাগারে প্রেরণ করেন। পরে ওই দুটি মামলায় গত ৪ নভেম্বর হাইকোর্ট থেকে তার জামিন আদেশ হয়। এরপর সন্ত্রাস বিরোধী ও বিশেষ ক্ষমতা আইনের পৃথক দুটি মামলায় গ্রেফতার দেখানোর কারণে তিনি জেলহাজতে আছেন।

বাংলাদেশ সময়: ২২:৩৩:১৮   ১৯১ বার পঠিত  




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আইন আদালত’র আরও খবর


এমসি কলেজে দলবেঁধে ধর্ষণ: আদালত পরিবর্তন চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন
পিকে হালদারের সহযোগী শঙ্খ ব্যাপারী কারাগারে
নির্বাচন কমিশনারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ফের রাষ্ট্রপতির কাছে চিঠি
আর্থিক বিচারে এখতিয়ার বাড়লো সিভিল কোর্টের
সাবেক বিচারক শাহবাগ থানায় মেয়ের বিরুদ্ধে জিডি করলেন
কারাগারে ফরিদপুরের দুই ইউপি চেয়ারম্যান
নারী সাক্ষীর সঙ্গে অশোভন আচরণ করায় বিচারক প্রত্যাহার
রাজধানীতে মা-ছেলে হত্যা মামলায় স্বামীসহ ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড
বিকৃত যৌন আচরণের শিকার হচ্ছে নারী ও শিশুরা
মাদক মামলায় পাপিয়া ও তার স্বামীর বিচার শুরু

আর্কাইভ