মেজর জেনারেল (অব.) কেএম শফিউল্লাহ বীর উত্তম বলেছেন, ‘আগামী নির্বাচন আমাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কোনভাবেই যেন স্বাধীনতা বিরোধীচক্র ও তাদের এ দেশীয় দালালরা ক্ষমতায় আসতে না পারে। আগামী নির্বাচনে আমাদের একটাই লক্ষ্য থাকবে সেটা হলো শেখ হাসিনাকে আবারো ক্ষমতায় আনা।’
১৯৭১-এর মহান মুক্তিযুদ্ধের কথা স্মরণ করে তিনি বলেন, ’৭০-এর নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিশাল বিজয়ের পর
হানাদার পাকিস্তান সেনাদের চাহিদা ছিল ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টকে নিরস্ত্র
করা। আমরা বাঙালিরা সেটা জানতাম বলেই তারা আমাদের নিরস্ত্র করতে পারেনি। ৭১-এর একটাই স্লোগান ছিল জয় বাংলা,জয় বঙ্গবন্ধু। আজ আমাদের বিভেদ ভুলে নৌকার পক্ষে যাকেই প্রার্থী করা হোক না কেন তার জন্য ঘরে ঘরে শেখ হাসিনার উন্নয়ন চিত্র তুলে ধরে ভোট চাওয়া। এবারের নির্বাচনের পেক্ষাপট ভিন্ন। সেজন্য আমাদের সতর্ক থাকতে হবে।’
শনিবার সকালে জেলা পরিষদের ভাষা শহীদ আব্দুল জব্বার মিলনায়তনে জেলা ও মহানগর সেক্টর কমান্ডারস ফোরাম- মুক্তিযুদ্ধ ৭১ ময়মনসিংহ শাখা আয়োজিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সভায় আরো বক্তব্য রাখেন সেক্টর কমান্ডারস ফোরাম মুক্তিযুদ্ধ ৭১ এর মহাসচিব হারুন হাবিব, সহ-সভাপতি মো. নুরুল আলম, সহ-সভাপতি ম. হামিদ, সাংগঠনিক সম্পাদক মেজর জেনারেল (অব.) মোহাম্মদ আলী শিকদার, জেলা সেক্টর কমান্ডারস ফোরামের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. নুরুল ইসলাম মোমেন প্রমুখ।
সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা সেক্টর কমান্ডারস ফোরাম-মুক্তিযুদ্ধ ৭১-এর সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ রফিক-উজ-জামান।
মেজর জেনারেল (অব.) মোহাম্মদ আলী শিকদার বলেন, ‘আমরা মুক্তিযুদ্ধে বিশ্বাসী, বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশে বিশ্বাসী। সামনে অত্যন্ত কঠিন ও জটিল নির্বাচন হতে যাচ্ছে। সেই নির্বাচনে মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তিকে বিজয়ী করতে হবে।’
বিটিভির সাবেক মহাপরিচালক ও সেক্টর কমান্ডারস ফোরামের সহ-সভাপতি ম. হামিদ বলেন, ’৭১-এর কুলাঙ্গার পাকিস্তানিরা বুঝতে পারেনি, বাঙালিরা কত শক্তিশালী। ২৫ মার্চ কাপুরুষের মত রাতের অন্ধকারে বাঙালিদের হত্যা করে ভেবেছিল বাঙালিদের নিশ্চিহ্ন করে দেবে। কিন্তু বীর বাঙালিরা নয় মাস যুদ্ধ করে তাদের সেই আশা পূরণ করতে দেয়নি। গত ১০ বছরে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে যে উন্নয়ন হয়েছে, সেই ধারা অব্যাহত রাখতে সবাইকে সকল ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে নৌকার বিজয় নিশ্চিত করতে হবে।’
এর আগে সকালে পবিত্র কোরআন তেলওয়াত, গীতাপাঠ ও জাতীয় সংগীতের মধ্যদিয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা করা হয়।
অনুষ্ঠানে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ইউসুফ খান পাঠান, মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এহতেশামুল আলম, জেলা আ’লীগ নেতা কাজী আজাদ জাহান শামীম, বীর মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউদ্দিন আহম্মদ, সেলিম সাজ্জাদ ছাড়াও জেলা এবং মহানগরের মুক্তিযোদ্ধারা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৯:২৪:২৫ ১৯৯ বার পঠিত