২০০৮ থেকে ২০১৮ সাল। এই দশ বছরে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদের অস্থাবর সম্পদ বেড়েছে সাতগুণ। তিনি লাখপতি থেকে এখন কোটিপতি হয়েছেন।
২০০৮ সালে নবম সংসদ নির্বাচনের সময় নির্বাচন কমিশনে জমা দেয়া হলফনামায় আওয়ামী লীগ নেতা নাহিদ নিজের অস্থাবর সম্পদ ২১ লাখ ৫৭ হাজার ১১ টাকার বলে উল্লেখ করেন। মাত্র দশ বছরের ব্যবধানে নাহিদের অস্থাবর সম্পদ প্রায় সাত গুণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ কোটি ৫৮ লাখ ৫৭ হাজার ৯১১ টাকা।
এই ১০ বছর সিলেট-৬ আসনের সংসদ সদস্য নুরুল ইসলাম নাহিদ শিক্ষামন্ত্রীর দায়িত্বে ছিলেন। এবারও একই আসনে প্রার্থী হয়েছেন আওয়ামী লীগের এই নেতা ।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে নির্বাচন কমিশনে জমা দেয়া হলফনামা থেকে নুরুল ইসলাম নাহিদের সম্পদ বৃদ্ধির এ তথ্য পাওয়া গেছে।
এই ১০ বছরে নাহিদের ব্যাংক-ব্যালেন্স, শেয়ার, নগদ টাকার পরিমাণ বেড়েছে। ১০ বছর আগে হলফনামায় নাহিদ নিজের পেশা কৃষি হিসেবে উল্লেখ করেন। তখন তার বার্ষিক আয় ছিল ৩ লাখ ৬৯ হাজার ৯৩৫ টাকা। এবার নিজের পেশা ‘রাজনৈতিক কর্মী’ উল্লেখ করা নাহিদের বার্ষিক আয় বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৬ লাখ ৩০ হাজার ২০৫টাকা।
২০০৮ সালের হলফনামায় স্ত্রীর নামে ১ লাখ ৬০ হাজার টাকার স্বর্ণের কথা উল্লেখ করলেও এবারের হলফনামায় স্ত্রীর স্বর্ণের মূল্য তার জানা নেই বলে উল্লেখ করেছেন। ২০০৮ সালে নাহিদের হাতে নগদ টাকা ছিল ৪৭ হাজার। এবার আছে ৩৫ লাখ ৬৪ হাজার ৭০৫ টাকা। ২০০৮ সালে নাহিদের ব্যাংকে ছিল ৭ লাখ ৪৬ হাজার ৪৯৯ টাকা। বর্তমানে ব্যাংকে আছে ৩৯ লাখ ৭২ হাজার ৯৮৩ টাকা।
২০০৮ সালে সঞ্চয়পত্র ছিল নিজ নামে ১২ লাখ ৪৪ হাজার ৪১২ টাকা ও নির্ভরশীলদের নামে ৩ লাখ ৪৭ হাজার ২৫৮ টাকার। এবার আছে নিজ নামে ২০ লাখ ও স্ত্রীর নামে ৫০ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র। ২০০৮ সালে কোনো গাড়ির কথা উল্লেখ না থাকলেও এবার ৫৯ লাখ ৩৩ হাজার ৩২১ টাকার গাড়ি রয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। ২০০৮ সালের সমপরিমাণ ৭৫ হাজার টাকার স্বর্ণালংকার এবারও আছে নাহিদের।
দশ বছর আগে এই আওয়ামী লীগ নেতার ইলেকট্রনিক সামগ্রী ছিল ১ লাখ টাকার। এবার বেড়ে হয়েছে ২ লাখ ২৫ হাজার টাকার ইলেকট্রনিক সামগ্রী।
তবে বৃদ্ধি পায়নি আসবাবপত্রের পরিমাণ। ২০০৮ সালে যা ছিল তাই আছে। উভয় হলফনামায় উল্লেখ করেছেন নাহিদের নামে ৪৫ হাজার ও স্ত্রীর নামে ১ লাখ ৬০ হাজার টাকার আসবাবপত্র রয়েছে। ২০০৮ সালে ঢাকায় ৫ লাখ টাকা মূল্যের ৩ কাঠা জমি রয়েছে উল্লেখ করেছিলেন। এবার উল্লেখ করেছেন ৫ কাঠা বা ০.০৮২৫ একর, যার মূল্য ২১ লাখ ৮ হাজার ৪৪০ টাকা।
২০০৮ সালের হলফনামায় নাহিদ উল্লেখ করেছিলেন, বিভিন্নজনের কাছ থেকে ১০ লাখ টাকা স্বেচ্ছাপ্রণোদিত দান হিসেবে পেয়েছিলেন। এর মধ্যে ছিল স্ত্রী কে ইউ জোহরা জেসমিনের কাছ থেকে ১ লাখ, যুক্তরাজ্য প্রবাসী ভাই ডা. নজরুল ইসলামের কাছ থেকে ৫ লাখ, যুক্তরাজ্য প্রবাসী চাচা হাজি মাহমুদ আলীর কাছ থেকে ১ লাখ, ড. আহমদ আল কবীরের কাছ থেকে ২ লাখ ও কামাল আহমদের কাছ থেকে ১ লাখ টাকা পেয়েছিলেন।
এবারও তিনি বিভিন্ন আত্মীয়স্বজন ও নিজ থেকে নির্বাচনী ব্যয় নির্বাহের কথা হলফনামায় উল্লেখ করেছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৩:৩৫:০০ ২২৯ বার পঠিত