নিউজটুনারায়ণগঞ্জঃ নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে বীরভূম জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের। দেওয়া হয়েছে মহিলা নিরাপত্তারক্ষী। যা নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক বিতর্ক।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা দিদির আদরের ভাই কেষ্টর উপরে হামলা চালানো হতে পারে। প্রাণের ভয় রয়েছে সেই কারণেই নাকি তাঁর নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। এমনই জানানো হয়েছে প্রশাসনের তরফ থেকে। এই হামলাকারীদের তালিকায় সন্দেহভাজনদের তালিকার শীর্ষে রয়েছে মাওবাদীরা।
যদিও প্রশাসনের এই দাবিকে উড়িয়ে দিয়েছে বিজেপি। তৃণমূল কংগ্রেসের গোষ্ঠী কোন্দলের কারণেই প্রাণনাশের আশংকা করছেন অনুব্রত মণ্ডল। আর সেই কারণেই এই বাড়তি নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এমনই দাবি করেছেন বিজেপির জাতীয় কার্য নির্বাহী কমিটির সদস্য জয় বন্দ্যোপাধ্যায়।
বেশ কিছুদিন ধরেই জেড ক্যাটাগরির নিরাপত্তা পেয়ে আসছেন অনুব্রত মণ্ডল৷ বীরভূম জেলার যেখানেই তিনি যান সেখানেই দেহরক্ষীরা তাঁর সঙ্গেই থাকেন৷ সম্প্রতি অনুব্রত মণ্ডলের নিরাপত্তায় চারজন সশস্ত্র মহিলা রক্ষীকে নিয়োগ করা হয়েছে৷ এই বিষয়ে জয় বলেছেন, “রাজ্যের সব জায়গায় সন্ত্রাস করছে তৃণমূল। পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জেতার পরেও নিজেদের মধ্যে মারামারি করেছে। সেই দলীয় কোন্দলেই আক্রান্ত হওয়ার ভয় পাচ্ছেন অনুব্রত। আর সেই কারণেই বাড়তি নিরাপত্তা দেওয়া হচ্ছে।”
বাড়তি নিরাপত্তা না হয় বোঝা গেল। তাই বলে মহিলারক্ষী! অনুব্রতর অনুগামীদের দাবি, ‘দাদার মহিলা ফ্যান অনেক বেড়ে গিয়েছে। সব জায়গায় সবাই দাদার সঙ্গে সেলফি তুলতে চাই। সেই সব মহিলাদের সামাল দেওয়ার জন্য মহিলা নিরাপত্তারক্ষী প্রয়োজন ছিল। সেটাই করেছে প্রশাসন।’
খুব স্বাভাবিকভাবেই এই দাবি উড়িয়ে দিয়েছেন জয়। তাঁর কথায়, “রাজনীতিতে আসার আগে আমি অভিনয় করতাম। সেই কারণে এখনও রাজনৈতিক সভাতে অনেক অরাজনৈতিক ব্যক্তিরাও আমার কাছে আসে। আমার কোনও নিরাপত্তা লাগে না।” একই সঙ্গে তিনি আরও বলেছেন, “অনুব্রতর সঙ্গে সেলফি যত জন মহিলা সেলফি তুলতে আসে তার ১০ গুণ বেশি মহিলা আমার সঙ্গে সেলফি তুলতে চাই।”
মহিলা নিরাপত্তারক্ষী রাখা নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের বীরভূমের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে কটাক্ষ করেছেন ওই জেলারই কংগ্রেসের বিধায়ক মিল্টন রশিদ৷ তিনি বলেন, “পুলিশ নিরাপত্তারক্ষীর পর আমার দাদা অনুব্রত মণ্ডল মহিলা নিরাপত্তারক্ষী নিয়েছেন৷ মনে হচ্ছে কয়েকদিন পর থেকে তিনি বোরখা পরবেন”৷
হাঁসনের বিধায়ক মিল্টন রশিদ বলেন, “অনুব্রত মন্ডল তো নিজেকে জননেতা বলেন তাহলে ওনার কেন এত নিরাপত্তারক্ষীর দরকার পড়ছে? যাঁরা সত্যিকারের জননেতা হন তাঁদের নিরাপত্তা তো জনতাই হয়৷ ওনার এত কীসের ভয়? তারউপর একজন জননেতার মহিলা নিরাপত্তারক্ষী সত্যিই বিস্ময়ের”৷
বাংলাদেশ সময়: ১৬:০৭:৫৩ ২৩৩ বার পঠিত