নিউজটুনারায়ণগঞ্জঃ ভিকারুননিসা নূন স্কুলের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী অরিত্রী অধিকারীর আত্মহত্যার ঘটনায় প্রতিষ্ঠানটির প্রভাতী শাখার প্রধান জিনাত আরাকে বরখাস্ত করা হয়েছে। একইসঙ্গে তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশও দেয়া হয়েছে।
ভিকারুননিসা নূন স্কুলের গভর্নিং বডির চেয়ারম্যান গোলাম আশরাফ তালুকদার এ তথ্য জানিয়েছেন।
ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নাজনীন ফেরদৌস বলেন, গতকাল রাতে জিনাত আরাকে ম্যানেজিং কমিটির বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তাকে অব্যাহতি দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
গতকাল সোমবার দুপুরে রাজধানীর শান্তিনগরের নিজ বাসায় ফ্যানের সঙ্গে ওড়না দিয়ে গলায় ফাঁস দেয় অরিত্রি। তাৎক্ষণিক মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল (ঢামেক) কলেজ হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
অরিত্রীর আত্মহত্যার কারণ সম্পর্কে গতকাল তারা বাবা দিলীপ অধিকারী বলেন, অরিত্রীর স্কুলের বার্ষিক পরীক্ষা চলছিল। রোববার সমাজবিজ্ঞান পরীক্ষা চলার সময় তার কাছে একটি মোবাইল ফোন পাওয়া যায়। এজন্য স্কুল কর্তৃপক্ষ আমাদের ডেকে পাঠায়। সোমবার স্কুলে গেলে কর্তৃপক্ষ আমাদের জানায়, অরিত্রী মোবাইল ফোনে নকল করছিল, তাই তাকে বহিষ্কারের (টিসি) সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। স্কুল কর্তৃপক্ষ আমার মেয়ের সামনে আমাকে অনেক অপমান করে। এই অপমান ও পরীক্ষা আর দিতে না পারার মানসিক আঘাত সইতে না পেরে সে আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়।
এ ঘটনার পর আজ শিক্ষামন্ত্রী ভিকারুননিসা স্কুলে গিয়ে শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে পড়েন। এরপর এই ঘটনার জন্য ক্ষমা চেয়েছেন প্রধান শিক্ষক নাজনীন ফেরদৌস। আজ মঙ্গলবার স্কুলে তার কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সামনে তিনি হাত জোর করে ক্ষমা চান।
এসময় নাজনীন ফেরদৌস বলেন, যে ঘটনা ঘটেছে তা অনাকাঙ্খিত। ঘটনাটি যে এতদূর গড়াবে তা অনুধাবন করতে পারিনি। এরই মধ্যে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পর কি ব্যবস্থা নেওয়া হবে তা মন্ত্রণালয় নির্ধারণ করে দেবে। আত্মহত্যার ঘটনায় আমি সবার কাছে ক্ষমা চাচ্ছি।
ইতোমধ্যে শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং ভিকারুননিসা নূন স্কুল ও কলেজ কর্তৃপক্ষ দুটি তদন্ত কমিটি করেছে। দুই কমিটিকে তিন দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬:৫০:৩৪ ২৩০ বার পঠিত