(দুনীতি বিরোধী আন্তর্জাতিক দিবস)
৯ ডিসেম্বর দুনীতি বিরোধী আন্তর্জাতিক দিবস। আন্তর্জাতিক দিবস হিসেবে এটি নতুন হলেও গুরুত্ব অপরিসীম। বিশেষত বাংলাদেশসহ তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলে জন্যে দিবসটি বেশ তাৎপর্যপূর্ণ। জাতিসংঘের উদ্যোগে ২০০৩ সালে মেক্সিকোর মেরিদা শহরে অনুষ্ঠিত হয় দুনীতি বিরোধী এক কনভেনশন। ওই কনভেনশনে প্রতিবছর দিবসটি পালনের সিদ্ধান্ত হয়। দুনীতির বিরুদ্ধে জনমত গড়ে তুলে বিশ্ব অর্থনীতিকে দুনীতিমুক্ত রাখাই এর উদ্দেশ্য। বাংলাদেশে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের উদ্যোগে প্রথম এ দিবসটি পালিত হয়।
(রোকেয়া দিবস)
৯ ডিসেম্বর বেগম রোকেয়া দিবস। তার জন্ম এবং মৃত্যু এ দিবসেই। মুসলিম নারী জাগরণের অগ্রদূত মহীয়সী নারী বেগম রোকেয়া ১৮৮০ সালের এই দিনে রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার পায়রাবন্দ গ্রামের এক সন্ত্রান্ত রক্ষণশীল মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। আবার ১৯৩২ সালের এই দিনেই কলকাতায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। সরকারিভাবে এ দিবসটি রোকেয়া দিবস হিসেবে স্বীকৃত। এ উপলক্ষে পালন করা হয় বিভিন্ন কর্মসূচি। বেগম রোকেয়া যে পরিবারে জন্মেছিলেন সেই পরিবারের মেয়েদের লেখাপড়া তো দূরের কথা অসূর্যস্পশী অন্তঃপুরবাসিনী করে রাখা হতো। তার পিতার নাম আবু আলী সাবের। বড় ভাইয়ের নাম ইব্রাহিম বের ও বড় বোনের নাম করিমুন্নেসা। বড় ভাই ও বোনের কাছে তিনি শৈশবে বাংলা ও ইংরেজি শিক্ষা লাভ করেন। নারী সমাজের প্রতি অত্যাচার ও অবিচার তার মনে বিদ্রোহের সুর ধ্বনিত হতো। ১৮৯৭ সালে মাত্র ১৬ বছর বয়সে বিয়ের পর মুক্ত মনের অধিকারী স্বামীর সংস্পর্শে এসে আরো ভালো করে বাংলা ও ইংরেজি শিক্ষা লাভ ও চিত্ত বিকাশের সুযোগ ঘটে বেগম রোকেয়ার। তার স্বামী সৈয়দ সাখাওয়াত হোসেন ছিলেন ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট। স্বামীর মৃত্যুর পর তিনি সমাজ সংস্কার ও সমাজ গঠনমূলক কাজে আত্মনিয়োগ করেন। তিনি মুসলমান মেয়েদের আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত করার জন্য সাখাওয়াত মেমোরিয়াল গার্লস হাইস্কুল প্রতিষ্ঠা করেন। সমাজের কুসংস্কার ও জড়তা দূর করার জন্য তিনি লেখনী শুরু করেন। তার সমস্ত লেখাই জীবনের বেদনা বোধের দ্বারা অনুপ্রাণিত। বেগম রোকেয়ার উল্লেখযোগ্য গ্রন্থের মধ্যে রয়েছেÑ মতিচুর, সুলতানার স্বপ্ন, পদ্মরাগ, অবরোধবাসিনী ।
১৭৪২ সালের এ দিনে সুইডেনের বিখ্যাত রসায়নবিদ কার্ল উইলহেম শিল জন্মগ্রহণ করেন। কার্ল উইলহেম শিল গ্লিসারিন, ক্লোরিন ও ম্যাঙ্গানিজ আবিষ্কার করেছিলেন।
১৭৪৮ সালের এ দিনে ফরাসী রসায়নবিদ ক্লাউড লুই বার্থোলে জন্ম গ্রহণ করেন। তিনি দূর্গন্ধ দূর করার ক্ষেত্রে ক্লোরিনের বিশেষ বৈশিষ্ট্যটি আবিষ্কার করেন। ক্লাউড লুই বিভিন্ন ধরনের লবনের ব্যাপারে গবেষণা করেছেন। বার্থোলে ১৮২২ সালে মারা যান।
১৭৫৮ সালের এ দিনে ভারতের মাদ্রাজকে নিয়ে উপনিবেশবাদী বৃটেন ও ফ্রান্সের মধ্যে ১৮ মাসের যুদ্ধ শুরু হয়। ফরাসীরা বৃটেনের দখলে থাকা মাদ্রাজ বন্দরে হামলার মধ্য দিয়ে এ যুদ্ধ শুরু করে। ফরাসীদের পক্ষে সাহায্যকারী সেনা না পৌঁছায় তিন হাজার ফরাসীর সাথে ২২ হাজার ইংরেজ সেনার এ লড়াইয়ে ইংরেজ উপনিবেশবাদীরাই জয়ী হয়। ১৮৬১ সালের জানুয়ারী মাসে ফরাসী সেনারা আত্মসমর্পণ করে। ফলে ভারত উপমহাদেশে বৃটেনের উপনিবেশবাদী কর্তৃত্ব পাকাপোক্ত হবার পথ আরও সুগম হয়।
১৯১৭ সালের এ দিনে প্রথম মহাযুদ্ধে তুরস্কের ওসমানীয় সরকারের সেনারা ফিলিস্তিনে ইংরেজ সেনাদের কাছে পরাজিত হয়। ফলে উপনিবেশবাদী বৃটেন ফিলিস্তিন দখল করে নেয়। এর পরের বছর অক্টোবর মাসে তুরস্ক ও বৃটেনের মধ্যে সন্ধি হয় এবং এক শান্তি চুক্তির আওতায় তুরস্ক মধ্যপ্রাচ্যের এক বিশাল অংশ বৃটেনের কাছে ছেড়ে দেয়। ফিলিস্তিনের ওপর বৃটেনের দখলদারিত্বের কারণে কূখ্যাত বেলফোর ঘোষণা বাস্তবায়নের পথ সুগম হয়। তৎকালীন বৃটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী এই ঘোষণা দিয়েছিলেন। এই ঘোষণায় বৃটেন ফিলিস্তিনে ইহুদিবাদীদের মাধ্যমে ইসরাইল প্রতিষ্ঠার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল।
১৯৮৭ সালের এ দিনে অধিকৃত ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীর ও গাজায় ফিলিস্তিনী জনগণের ইন্তিফাদা গণ-জাগরণ শুরু হয়। এ ইন্তিফাদা ফিলিস্তিনীদের প্রথম ইন্তিফাদা হিসেবে হিসেবে খ্যাত। ফিলিস্তিনে ইহুদিবাদীদের হত্যাযজ্ঞ, দখলদারিত্ব ও দমন-অভিযান অব্যাহত থাকার প্রেক্ষাপটে এ আন্দোলন গড়ে ওঠে। ফিলিস্তিনীদের অধিকার আদায়ের ব্যাপারে আরব দেশগুলোর নির্লিপ্ততায় হতাশ হয়ে পড়া ফিলিস্তিনীরা এই আন্দোলনের মাধ্যমে নিজ অধিকার আদায়ের জন্য দিনকে দিন সক্রিয়তর হতে থাকে। অবশ্য এক পর্যায়ে কয়েকজন ফিলিস্তিনী নেতার আপোসকামীতার কারণে ইন্তিফাদা কয়েক বছর শিথিল হয়ে পড়ে। এরপর ২০০০ সালের ডিসেম্বর মাসে আবারও এ আন্দোলনের আগুন প্রদীপ্ত হয়ে ওঠে। গণমূখিতা, মুক্তির একমাত্র পথ হিসেবে ইসলামের ওপর নির্ভরতা এবং অন্য দেশগুলোর ওপর নির্ভরহীনতা আলআকসা- ইন্তিফাদা নামে পরিচিত এ আন্দোলনের কয়েকটি বৈশিষ্ট্য। এ আন্দোলন ফিলিস্তিনীদের জন্য বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সাফল্য এবং মুসলমানদের প্রথম কেবলার দখলদার ইহুদিবাদী ইসরাইলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি সাধনে সক্ষম হয়েছে।
৩২৮ হিজরীর এ দিনে বিখ্যাত লেখক ও মুফাসসির এবং ভাষাবিদ আবুবকর আনবারি ইন্তেকাল করেন। অত্যন্ত প্রখর স্মরণশক্তি এবং সৎ ও সুন্দর ব্যবহার ছিল আনবারির খ্যাতির অন্যতম ভূষণ। তিনি সাধারণতঃ বই-পুস্তক থেকে না পড়িয়ে স্মৃতিশক্তি ব্যবহার করেই ক্লাস নিতেন। জামায়েরুল কোরআন, আল আদ্বদাদ ও আদাবুল কিতাব আনবারির লেখা তিনটি গুরুত্বপূর্ণ বই।
দৃষ্টিহীন বিখ্যাত হিন্দি কবি সুরদাসের জন্ম (১৪৮৪)
বিশ্বখ্যাত ইংরেজ কবি মিল্টনের জন্ম (১৬০৮)
ভবতারিনী (মৃণালিনী) দেবীর সঙ্গে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বিয়ে (১৮৮৩)
ভারতের বেলুড়ে গঙ্গা তীরে রামকৃষ্ণ মঠ প্রতিষ্ঠা (১৮৯৮)
ফ্রান্সে চার্চকে রাষ্ট্র থেকে বিমুক্ত করে আইন পাস (১৯০৫)
ফিনল্যান্ডের স্বাধীনতা লাভ (১৯১৭)
বিভাগোত্তর ভারতের গণপরিষদের প্রথম অধিবেশন শুরু (১৯৪৬)
ইন্দোনেশিয়ায় প্রজাতন্ত্র প্রতিষ্ঠা (১৯৪৯)
আলবেনিয়ার সঙ্গে রাশিয়ার সম্পর্কোচ্ছেদ (১৯৬১)
লেচ ওয়ালেস পোল্যান্ডের রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত (১৯৯০)
বাংলাদেশ সময়: ১১:০১:১৯ ১৯৮ বার পঠিত