বাণিজ্য মন্ত্রণালয়াধীন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের বিভিন্ন
বিভাগীয় ও জেলা কার্যালয়ের নেতৃত্বে গতকাল ঢাকা মহানগর, রাজশাহী, খুলনা,
হবিগঞ্জ, ময়মনসিংহ, কুষ্টিয়া, মাগুরা, কুমিল্লা, নরসিংদী, বগুড়া, বরিশাল, সিলেট,
নীলফামারী, নেত্রকোণা, কিশোরগঞ্জ, শরীয়তপুর, নোয়াখালী, সিরাজগঞ্জ, সুনামগঞ্জ ও
কক্সবাজারে বাজার তদারকি করা হয়।
ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয় ও ঢাকা জেলা কার্যালয়ের নেতৃত্বে ঢাকা
মহানগরীর ধানমন্ডি ও মিরপুর এলাকায় বাজার তদারকি পরিচালনা করা হয়। বাজার
তদারকিকালে পণ্যের মোড়কে এমআরপি লেখা না থাকার অপরাধে ধানমন্ডি
ফার্মেসিকে ১৫ হাজার টাকা, রস মিষ্টিকে ৪০ হাজার টাকা, ইউসুফ
কনফেকশনারিকে ২০ হাজার টাকা, মীনা সুইটসকে ৫০ হাজার টাকা ও বনলতা
সুইটস এন্ড বেকারীকে ২০ হাজার টাকা এবং মেয়াদোত্তীর্ণ পণ্য বা ঔষধ বিক্রির
অপরাধে ধানমন্ডি ফার্মেসিকে ১৫ হাজার টাকাসহ মোট ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা
জরিমানা আরোপ ও আদায় করা হয়।
এছাড়া দেশব্যাপী ২২টি জেলায় অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাদ্যপণ্য তৈরি, পণ্যের
মোড়কে এমআরপি লেখা না থাকা, মেয়াদোত্তীর্ণ পণ্য বা ঔষধ বিক্রয়, খাদ্যপণ্যে
নিষিদ্ধ দ্রব্যের মিশ্রণ, প্রতিশ্রুত পণ্য বা সেবা যথাযথভাবে বিক্রয় বা সরবরাহ না
করা, ভেজাল পণ্য বা ঔষধ বিক্রয়, বাটখারা বা ওজন পরিমাপক যন্ত্রের কারচুপি,
ধার্য্যকৃত মূল্যের অধিক মূল্যে পণ্য বিক্রয়, সেবাগ্রহীতার জীবন বা নিরাপত্তা
বিপন্নকারী কার্য, অবহেলা দ্বারা সেবাগ্রহীতার অর্থ, স্বাস্থ্য, জীবনহানি
ঘটানো, পণ্যের মূল্যের তালিকা প্রদর্শন না করার অপরাধে ৫৭টি প্রতিষ্ঠানকে ২ লাখ
৪৮ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা আরোপ ও আদায় করা হয়।
অন্যদিকে লিখিত অভিযোগ নিষ্পত্তির মাধ্যমে ধার্য্যকৃত মূল্যের অধিক
মূল্যে পণ্য বিক্রি, পণ্যের মোড়কে এমআরপি লেখা না থাকা ও মেয়াদোত্তীর্ণ পণ্য বা
ঔষধ বিক্রির অপরাধে ৬টি প্রতিষ্ঠানকে ২৩ হাজার টাকা জরিমানা আরোপ ও আদায়
এবং ৬ জন অভিযোগকারীকে জরিমানার ২৫ শতাংশ হিসেবে ৫ হাজার ৭৫০ টাকা
প্রদান করা হয়।
গত ৯ ডিসেম্বর ২৪টি বাজার তদারকি ও ৬টি লিখিত অভিযোগ নিষ্পত্তির
মাধ্যমে ৬৮টি প্রতিষ্ঠানকে মোট ৪ লাখ ৩১ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা আরোপ ও
আদায় করা হয়। আদায়কৃত জরিমানা হতে ৬ জন অভিযোগকারীকে ৫ হাজার ৭৫০
টাকা প্রদান করা হয়।
সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসন, আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ান ও জেলা পুলিশ, সিভিল
সার্জন, মৎস্য কর্মকর্তা, পরিবেশ অধিদপ্তরের প্রতিনিধি, বাজার কর্মকর্তা,
স্যানিটারি ইন্সপেক্টর, শিল্প ও বণিক সমিতির প্রতিনিধি এবং কনজিউমারস
এসোসিয়েশন অভ্ধসঢ়; বাংলাদেশ (ক্যাব) এসব তদারকি কার্যে সহায়তা প্রদান করেন।
বাংলাদেশ সময়: ২০:৩৪:৪২ ২৩০ বার পঠিত