নির্বাচনে মহাজোট ২৪৮টি আসনে জয়ী হতে পারে - আরডিসি জরিপ

প্রথম পাতা » ছবি গ্যালারী » নির্বাচনে মহাজোট ২৪৮টি আসনে জয়ী হতে পারে - আরডিসি জরিপ
বুধবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০১৮



---

ঢাকা, ২৬ ডিসেম্বর, ২০১৮ (নিউজটুনারায়ণগঞ্জ) : আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট ২৪৮টি আসনে জয়ী হতে পারে। এছাড়াও জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ৪৯ এবং স্বতন্ত্রসহ অনান্য প্রার্থীরা ৩টি আসনে বিজয়ী হতে পারে।
রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট সেন্টার (আরডিসি)-র এক জরিপে এই পূর্বাভাসের কথা বলা হয়েছে। ডিসেম্বর মাসের শুরুতে ৯ থেকে ১৬ ডিসেম্বর দেশের ৫১টি সংসদীয় আসনে ২ হাজার ২৪৯ জন ভোটারের ওপর জরিপ চালিয়ে তারা এ পূর্বাভাস পেয়েছে।
আরডিসির অর্থনীতিবিদ ফরেস্ট ই কুকসন আজ বুধবার রাজধানীর গুলশানের ওয়েস্টিন হোটেলে এক অনুষ্ঠানে জরিপের ফলাফল তুলে ধরেন।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আগামী ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট ২৪৮টি আসনে, বিএনপিকে নিয়ে গঠিত জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ৪৯টি আসনে এবং বাকি তিনটি আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা জয়ী হতে পারে।
ফলাফলে দেখা গেছে, দেশের ভোটারদের ৬০ শতাংশ আওয়ামী লীগকে ভোট দিয়েছে। আর বিএনপি ও ঐক্যফ্রন্টকে ভোট দিয়েছে ২২ শতাংশ ভোটার। জাতীয় পার্টির পক্ষে ভোট পড়েছে ৪ শতাংশ। এই ভোটে ১০ শতাংশ মানুষ কাকে ভোট দেবেন, সে ব্যাপারে সিদ্ধান্ত জানাতে পারেননি। আর ৩ শতাংশ ভোটার ভোট দিতে অস্বীকৃতি এবং ১ শতাংশের কম ভোটার ভোট দেওয়ার অনিচ্ছা জানিয়েছে।
ফলাফলে আওয়ামী লীগকে ভাল বলেছে, ৬৪ দশমিক ৬ শতাংশ মানুষ এবং খারাপ বলেছে ৩ দশমিক ৫ শতাংশ মানুষ। বিএনপিকে ভাল বলেছে ২৭ দশমিক ৬ শতাংশ মানুষ এবং খারাপ বলেছে ১৮ দশমিক ২ শতাংশ মানুষ। জাতীয় পার্টিকে ভাল বলেছে ১৪ দশমিক ৯ শতাংশ এবং খারাপ বলেছে ১৫ দশমিক ৮ শতাংশ।
এ জরিপে ২০১১ সালের উপজেলা জনসংখ্যা শুমারির তথ্যকেই নমুনা হিসেবে নেয়া হয়। দৈবচয়িতভাবে উপজেলা বাছাই করে সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের জন্য শুমারীর তথ্যকেই ব্যবহার করা হয়।
এভাবে একবার উপজেলা বাছাইয়ের পর, গ্রামের সংখ্যা ও পাড়াগুলো সেই শুমারি থেকেই নির্বাচন করা হয়। ভোটার তালিকা ব্যবহারের মাধ্যমে আরডিসির নমুনা নির্ধারণ করা হয়েছে যাতে প্রতিটি ভোটারের সাক্ষাতকার দাতা হিসেবে নির্বাচিত হওয়ার সমান সম্ভাবনা থাকে।
আরডিসির তথ্য সংগ্রাহক উত্তরদাতাদের ধর্ম ও বয়স চিহ্নিত করেছিল। জরিপে লাল রঙের ব্যালট নারী এবং নীল পুরুষদের জন্য ব্যবহার করা হয়েছে।
এর আগে ২০০৮ সালের সংসদীয় নির্বাচনে যেখানে মহাজোট ভোট পেয়েছিল ৫৭ শতাংশ, বিএনপি গ্র্যান্ড অ্যালায়েন্স ৩৭ শতাংশ এবং অন্যান্য ৬ শতাংশ ভোট পেয়েছিলো এই ফলাফল অনেকটা তারই ধারাবাহিকতা।
মহাজোটের সমর্থন বড় শহর এবং গ্রামীণ এলাকার তুলনায় ছোট শহরে তুলনামূলকভাবে দুর্বল। জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট (জেওএফ)-এর সমর্থন বড় শহরের তুলনায় গ্রামাঞ্চল ও ছোট শহরে শক্তিশালী।
বিশ্লেষণটি বিগত ২৭ বছর ধরে নির্বাচনী এলাকার সীমানা পরিবর্তনের হিসাবকে মাথায় রেখে করা। এর আগে ২০০১ এবং ২০০৮ সালের জরিপের পূর্ববর্তী সংস্করণে জাতীয় নির্বাচনের পূর্বাভাস সঠিকভাবে দেয়া হয়েছিল বলে প্রতীয়মান হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ২৩:২২:২১   ২৩৪ বার পঠিত  




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

ছবি গ্যালারী’র আরও খবর


সিলেটের সঙ্গে সারাদেশের রেল যোগাযোগ বন্ধ
আজকের রাশিফল
আল কোরআন ও আল হাদিস
গুজব উপেক্ষা করে জনগণ ভ্যাকসিন নিচ্ছে
অর্পিত সম্পত্তি বিষয়ক চিহ্নিত সমস্যাগুলো যথাযথ সংশোধন করা হবে - ভূমি সচিব
৬টি সেক্টরকে শিশুশ্রমমুক্ত ঘোষণা করলো সরকার
ফসল উৎপাদন বাড়াতে অঞ্চল ভিত্তিক ‘জোন ম্যাপ’ প্রণয়নের ওপর গুরুত্বারোপ প্রধানমন্ত্রীর
দেশের সিটি কর্পোরেশন ও পৌরসভাগুলোতে জনস্বাস্থ্য নিয়ে কাজ করতে চায় যুক্তরাষ্ট্র - এলজিআরডি মন্ত্রী
হঠাৎ অজানা কারণেই বেড়ে গেলো পেঁয়াজের দাম
স্পীকারের সাথে বাংলাদেশে নিযুক্ত সুইডেনের রাষ্ট্রদূত অ্যালেজান্ড্রা বের্গ ভন লিনডে-র সৌজন্য সাক্ষাৎ

আর্কাইভ