রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী আগামী নির্বাচনেই বুঝে যাবেন কত ধানে কত চাল হয়। আর পরের বিধানসভা নির্বাচনে ওনাকে আর নবান্নে আসতে হবে না কালীঘাটের টালির বাড়িতে রামায়ন পাঠ করবেন তিনি।”
রাজ্যে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার দাবিতে জেলা বিজেপির ডাকা বিক্ষোভ সমাবেশে যোগ দিয়ে এভাবেই রাজ্য সরকারের দিকে বিক্ষোভ উগরে দিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ৷ বৃহস্পতিবার রায়গঞ্জের চন্ডিতলার মাঠে আয়োজিত বিক্ষোভ সভায় যোগদিয়ে আগামী নির্বাচনে কড়া চ্যালেঞ্জ জানান, বিজেপির রাজ্য সভাপতি।
এদিনের সভায় দাঁড়িয়ে রাজ্যের শাসকদলকে আক্রমণ করে বিজেপি রাজ্য সভাপতি বলেছেন, “উত্তরবঙ্গের জেলাগুলির মধ্যে কোচবিহারের পরেই উত্তর দিনাজপুর সবচেয়ে সন্ত্রাস কবলিত জেলা। এখানে প্রশাসন বলে কিছু নেই। পুলিশ তোলা তুলছে৷ পঞ্চায়েত নির্বাচনে অবাধে গুলি বোমা চলেছে৷ এর বিরূদ্ধে প্রতিবাদ করতে গিয়ে বিজেপির জেলা প্রেসিডেন্টকে দীর্ঘদিন জেলার বাইরে থাকতে হয়েছে।”
তৃণমূল জামানায় রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি খুব খারাপ হয়েছে বলে দাবি করেছেন দিলীপ। বঙ্গ বিজেপির রাজ্য সভাপতির কথায়, “রাজ্যে কন্যাশ্রীরা খুন হচ্ছে, ধর্ষিতা হচ্ছে। এরাজ্যের মহিলারা সবচেয়ে অসুরক্ষিত। ব্যার্থতাকে ঢাকতেই ক্ষতিপূরণ দিয়ে মুখবন্ধ করতে চাইছে মুখ্যমন্ত্রী।” দাড়িভিট প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “দারিভিট স্কুলে ছাত্র ছাত্রীরা বাংলা বিশয়ের শিক্ষক চেয়ে উর্দু বিষয়ের শিক্ষক পাচ্ছে৷ টেটের রেজাল্ট প্রকাশ হচ্ছে না। শুভেন্দু অধিকারিকে দাড়িভিটে ঢুকতে দিচ্ছেনা গ্রামবাসীরা”
রাজ্য পরিচালনার ক্ষেত্রে মমতা বন্দ্যপাধ্যায় সম্পূর্ণ ব্যর্থ বলেও দাবি করেছেন দিলিপ। খড়গপুরের সাংসদ বলেছেন, “এরাজ্যে পড়াশোনা, চাকরি সবকিছুতেই টাকা দিতে হচ্ছে৷ অনাহারে আট জন সবর জাতির মানুষ মারা যাচ্ছে, আর দিদি বলছে কিছুই হয়নি৷”
একই মঞ্চে দাঁড়িয়ে কেন্দ্রের মোদী সরকারের প্রসঙ্গে ভূয়সি প্রশংসা শোনা গিয়েছে দিলীপের গলায়। তিনি বলেছেন, “যে ধান চাষ করেনি সে টাকা পাচ্ছে আর যে ধান চাষ করছে সে সর্বস্বান্ত হয়ে যাচ্ছে৷ আজ পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি সহায়ক মূল্য দিচ্ছে মোদি সরকার৷ রাজ্য সরকারের ব্যার্থতার জন্য চাষীরা টাকা পাচ্ছেনা৷ দালাল চক্রের হাতে পরে সর্বস্বান্ত চাষীরা।”
বাংলাদেশ সময়: ২২:১৪:৫৩ ২৫৪ বার পঠিত