ইতিহাসের এই দিনে

প্রথম পাতা » ছবি গ্যালারী » ইতিহাসের এই দিনে
শনিবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০১৮



---

আজ (শনিবার) ২৯ ডিসেম্বর’২০১৮

(বিশ্ব জীববৈচিত্র্য দিবস)
বিশ্ব জীববৈচিত্র্য দিবস আজ । জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে ১৯৯৪ সালের ১৯ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত সভায় ২৯ ডিসেম্বরকে আন্তর্জাতিক জৈব বৈচিত্র্য দিবস হিসেবে ঘোষনা করা হয়। ১৯৯৪ সালে নাসাউতে অনুষ্ঠিত জীব-বৈচিত্র্য সংক্রান্ত কনভেনশনের পক্ষদের সম্মেলনের সুপারিশ অনুযায়ী সাধারণ পরিষদ উল্লিখিত সিদ্ধান্ত ঘোষণা করে। যে মানুষের অপরিণামদশী কর্মকা-ের ফলে পৃথিবীর জীব বৈচিত্র্য উল্লেখযোগ্য হারে অবাধে সংকুচিত হওয়ার প্রেক্ষাপটে বিশ্ববাসীর উদ্বেগের প্রেক্ষিতে জীব-বৈচিত্র্য সংরক্ষণ এবং তার টেকসই ও সুষম ব্যবহার নিশ্চিত করতে জাতিসংঘ পরিবেশ কর্মসূচির উদ্যোগে ১৯৯২ সালে জীব-বৈচিত্র্য কনভেনশন নামে একটি আন্তর্জাতিক দলিল চূড়ান্ত করা হয়। কনভেনশনের বিধান অনুযায়ী ৩০টি দেশ কর্তৃক তা অনুমোদিত হওয়ার পর ১৯৯৩ সালের ২৯ ডিসেম্বর তা কার্যকর হয়। বাংলাদেশ উক্ত কনভেনশনের অন্যতম অনুমোদনকারী দেশ। মানুষের জন্য অতি প্রয়োজনীয় সামগ্রী ও সেবার উৎস হচ্ছে পৃথিবীর বিভিন্ন জীবের জীন, প্রজাতি ও প্রতিবেশ ব্যবস্থা তথা ইকোসিস্টেম সমূহের প্রকারভেদ। পৃথিবীর জৈব-বৈচিত্র্য জেনেটিক, সামাজিক, অর্থনৈতিক, বৈজ্ঞানিক, শিক্ষাগত, সাংস্কৃতিক, বিনোদনগত ও সৌন্দৰ্য্যগত বিভিন্ন দিক থেকে অতি মূল্যবান। প্রাণের ক্রম বিবর্তন এবং পৃথিবীতে জীবের বিকাশ লাভের ক্ষেত্রে জৈব-বৈচিত্রের গুরুত্ব অপরিসীম। পৃথিবীর ক্রমবর্ধমান জনগোষ্ঠীর খাদ্য, ঔষধ ও অন্যান্য প্রয়োজন মেটাতে জীববৈচিত্র্যের সংরক্ষণ ও টেকসই ব্যবহার অতি গুরুত্বপূর্ণ অথচ জীব-বৈচিত্রের প্রতি মানুষেরই বিরূপ কর্মকা- যেভাবে অবাধে চলছে তাতে আশংকা হচ্ছে যে, ২০২৫ সালের মধ্যে ২০-২৫% প্রাণী ও উদ্ভিদ পৃথিবী থেকে নিশ্চিহ্ন হয়ে যেতে পারে। তাই জীব-বৈচিত্র্য সংরক্ষণে ও টেকসই ব্যবহারে তৎপর হওয়ার আহবানেই হচ্ছে আন্তর্জাতিক জীব-বৈচিত্র্য দিবসের আহবান । বাংলাদেশে জীব-বৈচিত্র্য প্রচুর ও তার সম্ভাবনাও অনেক। তবে তাও আজ হুমকির সম্মুখীন। জনসংখ্যার বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে প্রাণীর আবাসস্থল হচ্ছে সংকুচিত। তারা হারিয়েছে তাদের শিকারের ক্ষেত্র। এককালে বাংলাদেশের সর্বত্রই রয়েল বেঙ্গল টাইগার বা ডোরাকাটা বাঘ দেখা যেতো। এখন তাদের কেবল সুন্দরবনেই পাওয়া যায়। এই শতকের শুরুতেই ভাওয়াল ও মধুপুর অ লে হাতির দেখা মিলেছে। দিনে দিনে তারা সরে যাচ্ছে অন্যত্র। এখন কেবল পার্বত্য চট্টগ্রাম, সিলেট ও ময়মনসিংহের পাহাড়েই হাতি দেখা যায়। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে দিবসটির বেশ তাৎপর্য রয়েছে।

(মোনাজাত উদিনের সলিল সমাধি)
চারণ সাংবাদিক মোনাজাত উদিনের মৃত্যুদিবস আজ। ১৯৯৫ সালের এই দিনে একটি দুর্লভ ছবি তোলার লক্ষ্যে তিস্তায় ফেরির ছাদে উঠলে পা ফসকে নদীতে পড়ে যান। নিমিষেই নদীর ঘূর্ণাবর্তে তলিয়ে যান। সেখানেই ঘটে তার সলিল সমাধি । এদেশে গ্রামীণ বা মফস্বল সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে নতুন ধারার প্রবর্তন করেছিলেন তিনি। দেশের উত্তরা লের ১৬টি জেলা ছিলো তার প্রধান কর্মক্ষেত্র। উত্তরবঙ্গ ঘুরে ঘুরে মানুষের দুঃখ-দুর্দশা নিজস্ব একটি ঢংয়ে রিপোর্ট করেছেন পত্রিকায়। বাস্তব জীবনভিত্তিক অনেক চা ল্যকর রিপোটের শ্রষ্টা মোনাজাত উদিনের সর্বশেষ চা ল্যকর রিপোর্টটি ছিলো মুক্তিযোদ্ধা তারামন বিবি বীর প্রতীককে নিয়ে। তার সাংবাদিকতা জীবন শুরু ষাটের দশকে সান্ধ্য দৈনিক আওয়াজ দিয়ে । ‘৬৬ তে আসেন দৈনিক আজাদ-এ। স্বাধীনতার পর দৈনিক সংবাদে । দীর্ঘদিন সংবাদে কাজ করার পর ৯৪ তে যোগ দেন দৈনিক জনকণ্ঠে । তার রচিত গ্রন্থ পথ থেকে পথে, সংবাদ নেপথ্য, কানসোনার মুখ। পায়রাবন্দের শেকড় সংবাদ বেশ সাড়া জাগিয়েছে। সাংবাদিকতায় অবদানের জন্যে তিনি জহুর হোসেন চৌধুরী স্বর্ণপদক, ফিলিপস পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন। মোনাজাত উদ্দিনের জন্ম ১৯৪৫ সালের ১৮ জানুয়ারি রংপুরে ।

১৯৩৭ সালের ২৯ নভেম্বর আইরিশ রিপাবলিকান নেতৃবৃন্দ ও বৃটিশ সরকার আয়ারল্যান্ডের স্বাধীনতা চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। কিন্তু দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হয়ে যাওয়ার কারণে বৃটিশ সরকার ঐ চুক্তি বাস্তবায়ন থেকে বিরত থাকে। ঐ যুদ্ধ শেষ হওয়ার পর ১৯৪৯ সালে দক্ষিণ আয়ারল্যান্ড বৃটিশদের কাছ থেকে স্বাধীনতা অর্জন করে। ৭০ হাজার বর্গকিলোমিটার আয়তনের দেশ দক্ষিণ আয়ারল্যান্ড সম্পূর্ণ আয়ারল্যান্ডের একটি বড় অংশ জুড়ে বিস্তৃত এবং বৃটেনের সীমান্ত থেকে সামান্য দূরে অবস্থিত।

ফার্সি ১৩৫৭ সালের ৯ দেই ইরানের ইসলামী বিপ্লবের চূড়ান্ত দিনগুলোতে জেনারেল আযহারির সামরিক সরকার বিপ্লবী জনতাকে দমন করতে ব্যর্থ হওয়ার পর ইরানের তৎকালীন শাহ মোহাম্মাদ রেজা- শাপুর বখতিয়ারকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দেন। শাহ ও তার পৃষ্ঠপোষক মার্কিন সরকার ভেবেছিল বখতিয়ার জাতীয়তাবাদী শ্লোগান ও কিছু সংস্কারপন্থী নীতি ঘোষণা করে সর্বস্তরের জনগণকে বিপ্লবী তৎপরতা থেকে বিরত রাখতে পারবে। কিন্তু মার্কিন সরকার ও রেজা শাহ’র চক্রান্ত সম্পর্কে ইরানের জনগণ ভালোভাবে অবহিত ছিল এবং তারা বখতিয়ার সরকারকে প্রত্যাখ্যান করে। ইসলামী বিপ্লবের স্থপতি মরহুম ইমাম খোমেনি (রহঃ) এক ঘোষণায় বখতিয়ার সরকারকে অবৈধ ঘোষণা করেন এবং তার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর জন্য জনগণের প্রতি আহবান জানান।

মহানবী (সাঃ) এর হিজরতের ৬ বছর আগে আজকের দিনে রাসূলে খোদা ও তাঁর অনুসারীদের ওপর অর্থনৈতিক অবরোধ আরোপের জন্য মক্কার কুরাইশ অধিপতিরা চুক্তিবদ্ধ হয়। ইসলামের প্রচার ও প্রসারে মারাত্মকভাবে উদ্বিগ্ন কাফেররা ইসলাম প্রচারে বাধা দেয়ার জন্য নানা রকম ফন্দি ফিকির করতে থাকে। এ লক্ষ্যে তারা রাসূলুল্লাহ (সাঃ) ও তার সাহাবীদের অবরোধ করার সিদ্ধান্ত নেয়। তাদের চুক্তির মূল বিষয় ছিল, মুসলমানদের সাথে কেউ কোন ধরনের লেনদেন করা ও সম্পর্ক রক্ষা করা থেকে বিরত থাকবে। অবরোধের শিকার হয়ে বিশ্বনবী ও তার সাহাবীগণ তিন বছর মক্কা থেকে কিছু দূরে শোয়াবে আবি তালিব উপত্যকায় মারাত্মক সংকট ও অর্থনৈতিক চাপের মধ্যে দিন কাটাতে বাধ্য হন। এ সময়ে রাসূলের সহধর্মিনী বিবি খাদিজা সালামুল্লাহি আলাইহা ও রাসূলের চাচা আবু তালেব ইন্তেকাল করেন। কিন্তু মারাত্মক সংকটের মধ্যে থেকেও মুসলমানরা ইসলাম ত্যাগ করতে রাজী হন নি। অবশেষে কুরাইশ নেতাদের অনেকে মুসলমানদের দুঃখ কষ্ট দেখে অনুতপ্ত হয়ে ঐ অবরোধ প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেন। কারণ, কুরাইশ বংশের কাফেরদের অধিকাংশই নও মুসলিমদের আত্মীয় স্বজন ছিলেন। এরপর তারা তাদের চুক্তিপত্রের কাছে গিয়ে অবাক হয়ে দেখলেন, সেখানে আল্লাহর নাম ছাড়া বাকি পুরো কাগজ পিপড়ায় খেয়ে ফেলেছে। যাই হোক, মুসলমানদের ওপর কুরাইশ গোত্রের কাফেরদের ঐ অর্থনৈতিক অবরোধ হিজরতের তিন বছর আগে রজব মাসের মাঝামাঝি সময়ে শেষ হয়।

১৯ হিজরির আজকের দিনে মুসলিম বাহিনী মিশর জয় করে। সে সময়ে মিশর রোম সা¤্রাজ্যের অন্তর্গত ছিল। মিশরের জনগণ রোম স¤্রাটের অত্যাচারে জর্জরিত ছিল। মুসলিম বাহিনী মিশর আক্রমন করার পর দেশটির জনগণ মনে প্রাণে চাইছিল মুসলমানরা মিশর অধিকার করুক। শেষ পর্যন্ত রোম বাহিনী মিশরের প্রতিটি ফ্রন্টে মুসলিম বাহিনীর কাছে পরাজিত হয় এবং মিশর মুসলিম সা¤্রাজ্যের অন্তর্ভূক্ত হয়।

১৪০০ হিজরির আজকের দিনে ৩০০ সশস্ত্র ব্যক্তি পবিত্র মক্কা নগরীর ক্বাবা শরীফের মসজিদুল হারাম দখল করে ক্ষমতাসীন সৌদ পরিবারের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ শুরু করে। সৌদি আরবের নাগরিক জুহাইমান আল ওতাইবি হজ অনুষ্ঠান শেষ হওয়ার পরপরই সংঘটিত ঐ বিদ্রোহের নেতৃত্ব দেন। ঐ বিদ্রোহ দুই সপ্তাহ স্থায়ী হয়। সৌদি সেনারা ফ্রান্সের কমান্ডো বাহিনীর সহযোগিতায় মসজিদুল হারামে ট্যাংকসহ অন্যান্য ভারী অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে প্রবেশ করে। এ সময় হারাম শরীফের ভেতরে প্রচন্ড সংঘর্ষে উভয়পক্ষের ২৪৪ ব্যক্তি নিহত হয় এবং বিদ্রোহের সমাপ্তি ঘটে। ঐ ঘটনার প্রায় দেড় মাস পর বিদ্রোহের সাথে জড়িত অপর ৩৬ জনের শিরোচ্ছেদ করা হয়।

ভলকানাইজড রাবারের উদ্ভাবন চার্লস গুডইয়ারের জন্ম (১৮০০)
ব্রিটেনের প্রথম লৌহবৃত্ত জাহাজ ওয়ারিয়র সাগরে ভাসে (১৮৬০)
সাহিত্যিক, সংগীতশিল্পী ইন্দিরা দেবী চৌধুরানীর জন্ম (১৮৭৩)
শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদীনের জন্ম (১৯১৪)
লন্ডনে বোমা হামলা (১৯৪০)
মার্কিন পত্রিকা লাইফের প্রকাশনা বন্ধ (১৯৭২)
ভাকলাভ হাভেল চেকোশ্লোভাকিয়ার রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত (১৯৮৯)
কেনিয়ায় ২৫ বছর পর রাষ্ট্রপতি ও সংসদ নির্বাচন (১৯৯২)

বাংলাদেশ সময়: ১০:০৯:১০   ২৮৯ বার পঠিত  




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

ছবি গ্যালারী’র আরও খবর


সিলেটের সঙ্গে সারাদেশের রেল যোগাযোগ বন্ধ
আজকের রাশিফল
আল কোরআন ও আল হাদিস
গুজব উপেক্ষা করে জনগণ ভ্যাকসিন নিচ্ছে
অর্পিত সম্পত্তি বিষয়ক চিহ্নিত সমস্যাগুলো যথাযথ সংশোধন করা হবে - ভূমি সচিব
৬টি সেক্টরকে শিশুশ্রমমুক্ত ঘোষণা করলো সরকার
ফসল উৎপাদন বাড়াতে অঞ্চল ভিত্তিক ‘জোন ম্যাপ’ প্রণয়নের ওপর গুরুত্বারোপ প্রধানমন্ত্রীর
দেশের সিটি কর্পোরেশন ও পৌরসভাগুলোতে জনস্বাস্থ্য নিয়ে কাজ করতে চায় যুক্তরাষ্ট্র - এলজিআরডি মন্ত্রী
হঠাৎ অজানা কারণেই বেড়ে গেলো পেঁয়াজের দাম
স্পীকারের সাথে বাংলাদেশে নিযুক্ত সুইডেনের রাষ্ট্রদূত অ্যালেজান্ড্রা বের্গ ভন লিনডে-র সৌজন্য সাক্ষাৎ

আর্কাইভ