ইতিহাসের এই দিনে

প্রথম পাতা » ছবি গ্যালারী » ইতিহাসের এই দিনে
রবিবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০১৮



---

আব্বাস উদ্দীনের জন্ম ১৯০১ সালের ২৭ অক্টোবর কুচবিহারে । পিতা জাফর আহমদ ছিলেন তুফানগঞ্জ আদালতের উকিল। বিএ পরীক্ষায় অকৃতকার্য হওয়ার পর তিনি আর পড়ালেখায় মনোযোগী হননি। সঙ্গীত সাধনা নিয়েই থাকেন। কলকাতায় সরকারের রেকর্ডিং এক্সপার্ট এবং পরে অতিরিক্ত সংপাবলিসিটি অফিসার পদে দায়িত্ব পালন করেন। কোনো ওস্তাদ ধরে গান শেখেননি তিনি। সঙ্গীতাঙ্গনে তার প্রতিষ্ঠার পেছনে ছিলো কবি নজরুলের অবদান । প্রথম দিকে নজরুলের অধিকাংশ গান তিনিই গেয়েছিলেন । নজরুলকে দিয়ে ইসলামী গান লিখিয়ে তাতে কণ্ঠ দিতেন। সে সময় অধিকাংশ মুসলমান ছিল সঙ্গীতের প্রতি বীতশ্রদ্ধ। গান গাওয়া-শোনা দুটাকেই মনে করা হতো পাপ । সেই সময়ে আব্বাসউদ্দীন নজরুলের ও মন রমজানের ওই রোজার শেষে, ত্রিভূবনের প্রিয় মোহাম্মদ, তোরা দেখে যা আমিনা মায়ের কোলে এ ধরনের ইসলামী গান শুনিয়ে মুসলমান সমাজকে গানের প্রতি আগ্রহী করে তুলেছিলেন। তবে আব্বাসউদ্দীন জনপ্রিয়তার শিখরে ওঠেছিলেন ‘ওকি গাড়িয়াল ভাই, ফান্দে পড়িয়া বগা কান্দেরে, ও সুখের ময়নারে, নদীর কূল নাই-কিনার নাই ইত্যাদি ভাটিয়ালি গানের মাধ্যমে। তিনি সঙ্গীতকে গ্রহণ করেছিলেন গণমানুষের কল্যাণ সাধনের মানসে। পাশাপাশি লেখালেখিও করতেন। আমার শিল্পী জীবনের কথা তার আত্মজীবনীমূলক গ্রন্থ। সঙ্গীতে অবদান রাখায় পাকিস্তান সরকার তাকে ১৯৬০ সালে মরণোত্তর প্রাইড অব পারফরমেন্স পুরস্কার দেয়। বাংলাদেশ সরকারের মরণোত্তর স্বাধীনতা দিবস পুরস্কার পেয়েছেন ১৯৮১ সালে।

ফার্সী ১২৯০ সালের ১০ই দেই ইরানের বিশিষ্ট আলেম ও বিপ্লবী নেতা মীর্জা আলীঅগ সেকাতুল ইসলাম তাব্রিজী আগ্রাসী রুশ বাহিনীর হামলায় শহীদ হন। তিনি ইরানের উত্তর পশ্চিমা লীয় তাব্রিজ এলাকার স্বাধীনতাকামী একজন সাহসী যোদ্ধা ছিলেন। ইরানের সাংবিধানিক আন্দোলনেও তিনি অসামান্য অবদান রাখেন এবং রাশিয়ার তৎকালীন জার শাসকদের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে পরিচালিত আন্দোলনে নেতৃত্ব দেন। এসময় রুশ সরকার যখন দেখল যে, মীর্জা সেকাতুল ইসলাম তাদের আগ্রাসী তৎপরতার বিরুদ্ধে জনগণকে জাগিয়ে তুলছে এবং তাদের তৎপরতার ক্ষেত্রে বড়ধরণের বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে তখন তারা তাকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারের পর ফার্সী ১২৯০ সালের এই দিনে কয়েকজন সঙ্গীসহ তাকে ফাঁসি দেয়া হয়। রাশিয়ার এ পদক্ষেপ ইরানী জনগণকে জার শাসকদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহী করে তোলে।

১৯৪৭ সালের ৩০ ডিসেম্বর দুটি ইহুদীবাদী সশস্ত্র সংগঠন ফিলিস্তিনের বালাদুশ শেইখ গ্রামে হামলা চালায়। তারা নিরীহ ফিলিস্তিনীদের বাড়ীঘরে অগ্নিসংযোগ করে এবং এসময় ৬০জন ফিলিস্তিনী অগ্নিদ্বগ্ধ হয়ে মারা যান। একই দনি ইরগুন নামে অপর ইহুদীবাদী সন্ত্রাসী গোষ্ঠী ফিলিস্তিনের দুটি জায়গায় বোমা হামলা চালায়। এতে ১৭জন শহীদ ও অসংখ্য মানুষ আহত হয়। ইহুদীবাদি ইসরাইল ১৯৪৮ সালের মে মাসে ফিলিস্তিনী ভূখ-ে ইসরাইলী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ১৯৪৭ সালের শেষের দিক থেকে ১৯৪৮ সালের প্রথমদিকে ফিলিস্তিনীদের ওপর ব্যাপক দমন অভিযান শুরু করে যাতে ফিলিস্তিনীরা মাতৃভূমি ছেড়ে অন্যত্র চলে যেতে বাধ্য হয়।

২০০৬ সালের ৩০ ডিসেম্বর ইরাকের সাবেক একনায়ক সাদ্দামকে মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের দায়ে ফাঁসি দেয়া হয় ৷ সাদ্দাম ১৯৩৭ বাগদাদের ১৪০ কিলোমিটার উত্তরে তিকরিত শহরে জন্মগ্রহণ করেন এবং ২০ বছর বয়সে বাথ পার্টির সদস্য হন। ১৯৬৮ সালে জেনারেল আহমেদ হাসান আল বাকেরের নেতৃত্বে ইরাকে সামরিক অভূত্থান হলে সাদ্দাম হোসেন উপ-রাষ্ট্রপতি মনোনীত হন। এর ঠিক এক বছর পর সাদ্দাম ইরাকের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। ইরাকের প্রেসিডেন্ট ও বার্থ পার্টির প্রধান নির্বাচিত হবার পর সাদ্দাম এক দলীয় শাসন কায়েম করেন। সাদ্দাম ১৯৮০ সালে আমেরিকা ও পাশ্চাত্যের সহায়তায় ইরানে আগ্রাসন চালায় এবং লক্ষাধিক ইরানী তরুণ ও যুবক এ আগ্রাসনে শহীদ হয় ৷ সাদ্দাম ইরান ও এমনকি ইরাকী জনগণের বিরুদ্ধেও প্রাণঘাতি রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার করেছেন ৷

১৯৮৮ সালে ইরাক-ইরাক যুদ্ধ শেষ হবার দু বছর পর ১৯৯০ সালে সাদ্দাম কুয়েত আক্রমন করে। এসময় সাদ্দাম ইরাকের শিয়া মুসলমানসহ সুন্নী সম্প্রদায়ভুক্ত কুর্দী মুসলমানদের অভ্যুত্থান দমনের নামে লক্ষ লক্ষ ইরাকী শিয়া ও কূর্দী মুসলমানকেও হত্যা করেছেন ৷ ২০০৩ সালের ইঙ্গ-মার্কিন বাহিনী ইরাক দখলের পর সাদ্দাম আত্মগোপন করেন এবং একই বছরের ১৩ ডিসেম্বর সাদ্দাম হোসেন মার্কিন সেনাদের কাছে ধরা পড়েন। প্রায় তিন বছর বিচার চলার পর ২০০৬ সালের পাঁচই নভেম্বর ইরাকের আদালত ৮০’র দশকে বাগদাদের উত্তরে দুজাইল গ্রামে ১৪৮ জন ইরাকীকে হত্যার দায়ে সাদ্দামকে মৃত্যুদন্ড দেয়। সাদ্দামের বিরুদ্ধে ছিল মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ। ২০০৬ সালের ৩০ ডিসেম্বর ইরাকি সময় সকাল ৬.০৬ মিনিটে ইরাকে সাদ্দাম হোসেনের ফাঁসি কার্যকর হয়।

৬১ হিজরীতে রাসূলেখোদার দৌহিত্র হযরত ইমাম হোসেইন (আঃ) পরিবার-পরিজন ও কতিপয় সঙ্গীসাথী নিয়ে ইরাকের কুফায় পৌঁছেন। তিনি এর কয়েকমাস আগে আমির মুয়াবিয়ার পুত্র ইয়াজিদের ক্ষমতা গ্রহণের প্রতিবাদে মদীনা থেকে মক্কায় যান এবং সেখান থেকেই তিনি ইরাকের কুফায় গমন করেন। যদিও কুফার জনগণ ইমাম হোসেইনকে সহযোগিতার কথা বলে তাঁকে কুফায় আসার আমন্ত্রণ জানিয়েছিল কিন্তু ইয়াজিদের ভয় এবং কুফার গভর্ণরের মিথ্যা প্রতিশ্রুতির কারণে তারা রাসূলের দৌহিত্রকে সহযোগিতা করা থেকে বিরত থাকতে বাধ্য হয়। ইমাম হোসেইন (আঃ) কুফায় পৌঁছার পর ইয়াজিদ বাহিনীর দলনেতা হুর ইবনে ইয়াজিদ রিয়াহী ইমামের বাহিনীর পথরোধ করেন। ইতিহাস থেকে জানা যায়, পরবর্তীতে সেনাপতি হুর নিজের ভুল বুঝতে পেরে ইমামের বাহিনীতে যোগ দেন এবং কারবালার যুদ্ধে শহীদ হন।

মুসলমানদের রাজনৈতিক অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে ১৯০৬ সালের ৩০শে ডিসেম্বর ঢাকায় নিখিল ভারত মুসলিম লীগ প্রতিষ্ঠিত হয়। ঐ দিন ঢাকায় অনুষ্ঠিত নিখিল ভারত শিক্ষা সম্মেলনে মুসলমানদের রাজনৈতিক অধিকার আদায়ের জন্য নবাব স্যার সলিমুল্লাহ একটি রাজনৈতিক দল গঠনের প্রস্তাব দেন। এই দলের বিশিষ্ট নেতাদের মধ্যে মুহাম্মদ আলী জিন্নাহ, লিয়াকত আলি খান, খাজা নাজিমুদ্দিন, নবাব স্যার সলিমুল্লাহ, শেরে বাংলা এ. কে. ফজলুক হক অন্যতম।

পন্ডিচেরি প্রথম ফরাসি গভর্নর জেনারেল ফ্রান্সিস মার্টিনের জীবনাবসান (১৭০৬)
গোয়ালিয়রের মহারাজ সিদ্ধিয়ার ব্রিটিশ বাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ (১৮০৩)
ঢাকায় মুসলিম লীগ প্রতিষ্ঠা (১৯০৬)
বলশোভিক বিপ্লবের ঢেউয়ে জার সারাজ্যের পতন। সোভিয়েত ইউনিয়ন প্রতিষ্ঠিত (১৯২২)
– জাতিসংঘের প্রথম মহাসচিব হ্যালডান লীর মৃত্যু (১৯৬৮)
স্বাধীন বাংলাদেশের হাইকোর্ট উদ্বোধন (১৯৭২)
বোরহানউদ্দিন রব্বানি আফগানিস্তানের রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত (১৯৯২)
ইরাকের ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট সাদ্দামের ফাঁসি কার্যকর (২০০৬)

বাংলাদেশ সময়: ১২:৫৬:২০   ২১৮ বার পঠিত  




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

ছবি গ্যালারী’র আরও খবর


সিলেটের সঙ্গে সারাদেশের রেল যোগাযোগ বন্ধ
আজকের রাশিফল
আল কোরআন ও আল হাদিস
গুজব উপেক্ষা করে জনগণ ভ্যাকসিন নিচ্ছে
অর্পিত সম্পত্তি বিষয়ক চিহ্নিত সমস্যাগুলো যথাযথ সংশোধন করা হবে - ভূমি সচিব
৬টি সেক্টরকে শিশুশ্রমমুক্ত ঘোষণা করলো সরকার
ফসল উৎপাদন বাড়াতে অঞ্চল ভিত্তিক ‘জোন ম্যাপ’ প্রণয়নের ওপর গুরুত্বারোপ প্রধানমন্ত্রীর
দেশের সিটি কর্পোরেশন ও পৌরসভাগুলোতে জনস্বাস্থ্য নিয়ে কাজ করতে চায় যুক্তরাষ্ট্র - এলজিআরডি মন্ত্রী
হঠাৎ অজানা কারণেই বেড়ে গেলো পেঁয়াজের দাম
স্পীকারের সাথে বাংলাদেশে নিযুক্ত সুইডেনের রাষ্ট্রদূত অ্যালেজান্ড্রা বের্গ ভন লিনডে-র সৌজন্য সাক্ষাৎ

আর্কাইভ