সেদিনের সদ্যজাত তৃণমূলকে ‘আয়ারাম-গয়ারাম’ ভেবেছিলেন জ্যোতিবাবু

প্রথম পাতা » আন্তর্জাতিক » সেদিনের সদ্যজাত তৃণমূলকে ‘আয়ারাম-গয়ারাম’ ভেবেছিলেন জ্যোতিবাবু
মঙ্গলবার, ১ জানুয়ারী ২০১৯



---

তিনি পাত্তা দিতে চাননি সেদিনের নবজাতককে। ক্ষমতার মধ্যগগনে তাঁর দল। মুখ্যমন্ত্রী তিনি নিজে। নবজাতককে কেনই বা পাত্তা দিতে যাবেন রাজনীতির দশ ঘাটে জল খেয়ে আসা দুদে রাজনীতিবিদ জ্যোতি বসু? সেদিনের সেই নবজাতকই ভেঙে দেয় বাংলায় জমিয়ে বসা বামদুর্গ।

তৃণমূল কংগ্রেসের ২২তম জন্মদিবস। কিন্তু ১৯৯৮ সালের পয়লা জানুয়ারির সকালে তখন এক নবজাতক ছাড়া আর কি ওই ঘাস ফুল চিহ্নের তৃনমূল কংগ্রেস। জ্যোতি বসু রাজনৈতিক দূরদৃষ্টি সম্পন্ন ব্যক্তিত্ব। কিন্তু তিনিও হয়তো চিনতে ভুল করেছিলেন। নয়তো বা বুঝেও বরাবরের আত্মবিশ্বাসি ভঙ্গিতে উড়িয়ে দিয়েছিলেন বাম নেতা। বলেছিলেন, “নতুন দল! ওকে নিয়ে ভাবার কোনও কারণ নেই।”

এদিকে একত্রিশ ডিসেম্বর ১৯৯৭ নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে এআইসিসি’র সম্মেলন। তিন বছর অন্তর সভা। এমন এক হেভিওয়েট সভায় বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর প্রচুর অনুগামীকে নিয়ে দল ছেড়ে বেরিয়ে আসার কথা ঘোষণা করে দেন। সভায় উপস্থিত প্রণব মুখোপাধ্যায়, প্রিয়রঞ্জন দাসমুন্সির মতো হেভিওয়েট কংগ্রেস নেতৃত্ব। সেখানেই বোমা ফাটালেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

ঘনিষ্ঠ মহলে প্রিয়রঞ্জন দাসমুন্সি তাঁর পরিচিত দলবেবাগীদের বলেছিলেন, ‘এতে ভুল নেই, কিন্তু যেটা করবে সেটা যেন মন দিয়ে করা হয়’। ১৯৯৮ গঠন হল তৃণমূল কংগ্রেস। দলের প্রতীক আঁকলেন অজিত পাঁজা। এমন দিনে জ্যোতিবাবুর অদ্ভূত প্রতিক্রিয়া। তিনি সদ্যজাতকে পাত্তা তো দিতেই চান না।সঙ্গে এও বললেন, “শুনেছি একটা নতুন দল তৈরি হয়েছে। ওইসব দল অনেক তৈরি হয়। অনেক আসে যায়। ভাবা বা বলার জায়গাতেই নেই।”

দল গঠনের সময় থেকেই রাজ্যের ক্ষমতাসীন বাম সরকারকে গদিচ্যুত করতে উদ্যত হয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রথম থেকেই তাঁর লক্ষ্য ছিল মুখ্যমন্ত্রীর পদ। ২০০১ এবং ২০০৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে মেলেনি সাফল্য। বিরোধী দলের মর্যাদা জোটাতেও হিমশিম খেতে হয়েছিল।

খেলা ঘুরতে শুরু করে ২০০৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময় থেকে। রাজ্যের অনেক জায়গায় বোর্ড গঠন করে তৃণমূল। বাংলা জুড়ে পরিবর্তনের হাওয়া ওঠে। ২০০৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে সেই হাওয়া ঝড়ে পরিণত হয়। পতনের স্পষ্ট আভাস পায় বামেরা।

এরই মাঝে ২০১০ সালের জানুয়ারি মাসের ১৭ তারিখে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন জ্যোতি বসু। এরপরে ২০১১ সালের মে মাসে দীর্ঘ ৩৪ বছরের বাম দুর্গের পতন হয়। তখন মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ারে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। দলের এমন হারের দিনে জ্যোতিবাবু কি মন্তব্য করতেন? সেটা কেউ হয়তো ভাবেনি।

বাংলাদেশ সময়: ১৭:৩৮:৫১   ২১৭ বার পঠিত  




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আন্তর্জাতিক’র আরও খবর


কানাডায় এলোপাথাড়ি গোলাগুলি, চার বাংলাদেশি আহত
মিয়ানমারের সামরিক অভ্যুত্থান ব্যর্থ করতে চায় জাতিসংঘ - গুতেরেস
ব্রাজিলে করোনায় ২ লাখ ২৭ হাজার ৫৬৩ জনের মৃত্যু
করোনায় বিশ্বে মৃত্যুর সংখ্যা ২২ লাখ ৭৬ হাজার ছাড়াল
ঘরের মাঠে টানা দ্বিতীয় হার লিভারপুলের
ফেসবুক বন্ধ করল মিয়ানমারে সামরিক জান্তা
করোনার বিরুদ্ধে ৯২ শতাংশ কার্যকর স্পুটনিক ভি
করোনার ছোবলে থামছে না প্রাণহানি, মৃত্যুর সংখ্যা ২২ লাখ ৪৭ হাজার
মিয়ানমার ইস্যুতে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠক আজ
তুর্কি নিয়ন্ত্রিত উত্তর সিরিয়ায় গাড়ি বোমা বিস্ফোরণে ১২ জন নিহত

আর্কাইভ