দরজা খুলতে দেরি হওয়ায় স্ত্রী নুরজাহান বেগমকে (৪৫) ছুরিকাঘাত করে মারাত্মক জখম করেছে মাদকাসক্ত স্বামী মোহর আলী।
এ সময় নুরজাহান চিৎকার করলে প্রতিবেশীরা ছুটে এসে মোহর আলীকে বাধা দেয়। পরে মোহর আলী নিজেই আহত নুরজাহানকে শহরের খানপুর ৩০০ শয্যা হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে যায়। পরে হাসপাতালের চিকিৎসক নুরজাহানকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণে করেন।
ঘটনাটি ঘটে সদর উপজেলার ফতুল্লার দক্ষিণ সস্তাপুর এলাকার টিটু মিয়ার ভাড়া বাড়িতে বৃহস্পতিবার (১০ জানুয়ারি) রাত ১১টার দিকে।
খবর পেয়ে ফতুল্লা মডেল থানার এসআই দেবব্রুত দাস ঘটনাস্থলে ছুটে যান। তবে তিনি ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর আগেই মোহর আলী আহত নুরজাহানকে নিয়ে হাসপাতালের উদ্দ্যেশ্যে বের হয়ে যায়।
মোহর আলী মাদকাসক্ত এবং চিহ্নিত চোর হিসেবে এলাকায় পরিচিত। সে প্রায় সময়ই বাসায় মাদক সেবন করে স্ত্রীকে মারধর করে নির্যাতন চালায়।
এ বিষয়ে বাড়ির অন্যান্য ভাড়াটিয়ারা বাড়িওয়ালার কাছে অভিযোগ করেও কোনো প্রতিকার পায়নি বলে জানান।
নুরজাহানের মা আনোয়ারা বেগম জানান, দরজা খুলতে দেরি হওয়ায় মোহর আলী ক্ষিপ্ত হয়ে ধারালো ছুরি দিয়ে নুরজাহানের পাজরে একবার আঘাত করে।
এরপর আরেকটি আঘাত করলে সেটি হাত দিয়ে আটকানোর কারণে পাজরের অনেকটা ভেতরে ছুরি ঢুকে যায় এবং ডান হাতের মুঠের মাঝখানে অনেকটা কেটে যায়।
ফতুল্লা মডেল থানার এসআই দেবব্রুত দাস এলাকাবাসীর বরাত দিয়ে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ঘটনাস্থলে গিয়ে কাউকে পাওয়া যায়নি। হাসপাতালে খোঁজ নেয়া হচ্ছে।
এদিকে, নারায়ণগঞ্জ ৩০০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎক নাজনীন আক্তার জানান, রোগীর অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। রোগীর স্বামী তাকে নিয়ে গেছে।
বাংলাদেশ সময়: ২১:০৫:১১ ৩১৩ বার পঠিত