যুক্তরাষ্ট্র ও উত্তর ভিয়েতনামের শান্তি চুক্তি স্বাক্ষর
১৯৭৩ সালের এ দিনে প্যারিসে যুক্তরাষ্ট্র এবং উত্তর ভিয়েতনামের মধ্যে শান্তি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এই শান্তি চুক্তি নিয়ে এর আগে চার বছর ধরে আলোচনা হয়েছে এবং এ শান্তি চুক্তি প্যারিস চুক্তি হিসেবে পরিচিত। এ চুক্তি মোতাবেক ষাট দিনের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র ভিয়েতনাম থেকে সকল সৈন্য এবং উপদেষ্টা সরিয়ে নেবে এবং যুক্তরাষ্ট্রের সকল সেনা ঘাঁটি তুলে নিবে বলে ঘোষণা করে। এর বদলে উত্তর ভিয়েতনাম সকল মার্কিন বন্দিকে মুক্তি দিতে রাজী হয়। ভিয়েতনাম যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি জড়িয়ে পড়ে ১৯৬৪ সাল থেকে। তবে এর আগে সেখানে মার্কিন উপদেস্টাদের পাঠেেনা হয়েছিলো। ১৯৬৫ সালে যুক্তরাষ্ট্র ভিয়েনামের যুদ্ধ তৎপরতা জোরদার করে এবং সে সময় ভিয়েতনামে মার্কিন সৈন্য সংখ্যা ছিলো সাড়ে ৫ লক্ষের উপরে। যুদ্ধে কমপক্ষে ২০ লক্ষ ভিয়েনামবাসী এবং প্রায় ৬০ হাজার মার্কিন সৈন্য নিহত হয়। ১৯৭৫ সালের এপ্রিল মাসে দক্ষিণ ভিয়েতনাম উত্তর ভিয়েতনামের কাছে আত্মসমর্পণ করে এবং উত্তর ও দক্ষিণ ভিয়েতনাম একত্রীভূত হয় ।
কার্নিভালের রকেট উৎক্ষেপণ কেন্দ্রে অগ্নিকান্ড
১৯৬৭ সালের এ দিনে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যাপ কার্নিভালের রকেট উৎক্ষেপণ কেন্দ্রের এক অগ্নিকান্ডে নভোচারী গিরিসম,এডওয়ার্ড এইচ হোয়াইট টু এবং রজার বি চ্যাফি নিহত হয়। পরে তদন্তে প্রমাণিত হয় যে বিদ্যুৎবাহী ক্রটিপূর্ণ তারের জন্য এ্যাপলো ওয়ানের কমান্ড মডিউলের ভেতরে আগুন ধরেছিলো। নভোচারীর এই অগ্নিকান্ডের সময় এ্যাপলো ওয়ানের একটি উড্ডয়ন সংক্রান্ত মহড়ায় অংশ গ্রহণ করেছিলেন। নাসা ১৯৬১ সালে এ্যাপলো কর্মসূচি গ্রহণ করেছিলো। সে সময় বলা হয়েছিলো এক দশকের মধ্যে চাঁদে মানুষ প্রেরণ এবং তাদেরকে নিরাপদে ফিরিয়ে আনাই ছিলো এ কর্মসূচির উদ্দেশ্য। এ্যাপলো কর্মসূচির আওতায় ১৯৬৯ সালের ২০শে জুলাই প্রথম মার্কিন ২ নভোচারী,নীল আর্মস্টং এবং এডউইন অলড্রিন চাঁদে অবতরণ করেন।
রাশিয়ার অবরোধ ভংগ
১৯৪৪ সালের এ দিনে সোভিয়েত রাশিয়ার সৈন্যরা স্থায়ী ভাবে লেনিনগ্রাদ অবরোধ ভংগ করতে পেরেছিলো। জার্মান সৈন্যরা এ নগরী প্রায় ৯০০ দিনের মতো অবরোধ করে রেখেছিলো। এই অবরোধের ফলে লক্ষ লক্ষ রুশ নাগরিক প্রাণ হারিয়েছিলো। ১৯৪১ সালের ৮ই সেপ্টেম্বর এই অবরোধ শুরু হয়। সে সময় লেনিনগ্রাদের অধিবাসীরা ট্যাংক বিরোধী ব্যারিকেড সফল ভাবে গড়ে তুলতে পেরেছিলো। আর এর ফলে লেনিনগ্রাদের সাথে বাদবাকী সোভিয়েত ইউনিয়ন বিশেষ করে মস্কোর সাথে সকল যোগাযোগ ছিন্ন হয়ে যায়। ১৯৪২ সালের মধ্যে ক্ষুধা, রোগ-ব্যাধি এবং যুদ্ধের ফলে অন্তত সাড়ে ছয় লক্ষ লেনিনগ্রাদবাসী প্রাণ হারায়। ১৯৪৪ সালের ১২ই জানুয়ারী সোভিয়েত বাহিনী প্রথম লেনিনগ্রাদের অবরোধে ফাটল ধরাতে সক্ষম হয়। লেনিনগ্রাদে রসদ আসার রাস্তা খুলে যায়।
ইংল্যান্ডের তৃতীয় এডোয়ার্ড নিজেকে ফ্রান্সের রাজা ঘোষণা করেন। শুরু হয় শত বছরের যুদ্ধ (১৩৪০)
দ্বিতীয় আহমেদের মৃত্যুর পর দ্বিতীয় মোস্তফ তুরস্কের সুলতান নির্বাচিত (১৬৯৫)
বিদ্রোহের মুখে হাইতির প্রেসিডেন্ট ওরেস্টির পদত্যাগ (১৯১৪)
আনুষ্ঠানিকভাবে গ্রিসের স্বাধীনতা ঘোষণা (১৯২২)
চীনের সঙ্গে ফ্রান্সের কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন (১৯৬৪)
এ্যাপোলো নভোযানে পরীক্ষামূলক মহড়াকালে ৩ জন নভোচারী নিহত (১৯৬৭)
ভিয়েতনাম থেকে মার্কিন সৈন্য প্রত্যাহারে প্যারিসে চুক্তি স্বাক্ষর (১৯৭৩)। ফলশ্রুতিতে ৭৫ সালে দ: ভিয়েতনামের পতন । জাভা সমুদ্রে ইন্দোনেশিয়ার টেম্পো মাচ-২’ যাত্রীবাহী জাহাজে অগ্নিকা- । ৫৮০ যাত্রী নিহত (১৯৮১)
কোয়ালিশন সরকারের বিদ্রোহী কর্তৃক সোমালিয়ার ক্ষমতা দখল। প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ সাঈদ বারীর পলায়ন (১৯৯১)
নাইজেরিয়ার প্রথম নির্বাচিত গণতান্ত্রিক প্রেসিডেন্ট মোহামানি আউসমানি অভ্যুখানে ক্ষমতাচ্যুত। কর্নেল বারি রাষ্ট্র প্রধানের দায়িত্বে আসীন (১৯৯৬)
বাংলাদেশ সময়: ১০:৫০:০৪ ১৯৪ বার পঠিত