শেষ ৪ ওভারে ৪৪ রান দরকার ছিল চিটাগংয়ের জয়ের জন্য। রায়ান টেন ডেশকাটের করা ১৭তম ওভার থেকে ১৭ রান তুলে নিলেন সিকান্দার রাজা। পরের ৩ ওভারে দরকার ছিল ২৭ রান। দুটো ওভার মোটামুটি কাটলো। শেষ ওভারে দরকার ছিল ১৩ রান। আর এই ওভার করতে এসেই আবার জাদু দেখালেন মুস্তাফিজুর রহমান। মাত্র ৫ রান ব্যয় করে তুলে নিলেন ২ উইকেট।
আরেকবার মুস্তাফিজ জাদুতে ম্যাচ জিতল রাজশাহী কিংস। সেই সাথে এবারের বিপিএলের সেরা চারে ওঠার সম্ভাবনা টিকে রইলো তাদের। শনিবার দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে থাকা চিটাগংকে ৭ রানে হারাল রাজশাহী। আগে ব্যাট করা রাজশাহী ৫ উইকেটে তুলেছিলো ১৯৮ রান। জবাবে চিটাগং ৮ উইকেটে ১৯১ রান করতে পারলো।
এই ম্যাচ জিতলে সবার আগে সেরা চার নিশ্চিত করে ফেলতে পারতো চিটাগং। সেটা হয়নি। বিশাল রান তাড়া করতে গিয়ে তারা মাঝপথে খেই হারিয়ে ফেলেছিলো। শুরুতে ক্যামেরন ডেলপোর্তের উইকেট হারানোর পর মোহাম্মদ শাহাজাদ এবং ইয়াসির আলী দারুণ শুরু এনে দেন চিটাগংকে। শাহাজাদ ২২ বলে ৪৯ ও ইয়াসির ৩৮ বলে ৫৮ রান করেন। এরপর মুশফিক ২২ রান করে ফিরে আসেন। তারপরও চিটাগংয়ের আশা জিইয়ে রেখেছিলেন ২৯ রান করা সিকান্দার রাজা; কিন্তু মুস্তাফিজের শেষ ওভারেই রাজশাহীর পক্ষে চলে যায় খেলা। মুস্তাফিজ ২৮ রানে নেন ৩ উইকেট।
এর আগে ব্যাট করা রাজশাহীকে বড় স্কোরের ভিত গড়ে দেন দুই ওপেনার জনসন চার্লস ও সৌম্য সরকার। এই ম্যাচ দিয়ে আবার একাদশে ফেরা সৌম্য ২০ বলে ২৬ রান করেন। তিনি আউট হওয়ার আগে ৬ ওভারে ৫০ রানের উদ্বোধনী জুটি হয়ে গেছে। এরপর চার্লস আরেকটা জুটি করেন লরি ইভান্সের সাথে।
ইভান্স ২৯ বলে ৩৬ রান করে খালেদ আহমেদের দ্বিতীয় শিকার হয়ে ফেরেন। অন্য প্রান্তে চার্লসের ব্যাট চলেছে। শেষ পর্যন্ত ৪৩ বলে ৫টি চার ও ২টি ছক্কায় ৫৫ রান করে আউট হন তিনি।
এরপর রানটাকে বড় করে তোলে ক্রিস্টিয়ান জোঙ্কার ও রায়ান টেন ডেশকাট। জোঙ্কার ১৭ বলে করেন ৩৭ রান। অন্য দিকে ডেশকান ১২ বলে ২৭ রান করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১১:০২:০৭ ২১৯ বার পঠিত