ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আখতারুজ্জামান বলেছেন, শিক্ষা ও সংস্কৃতির মেলবন্ধনের গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস ধারণ করে আছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।
শিক্ষার সঙ্গে সংস্কৃতির বন্ধন অবিচ্ছেদ্য বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন, শিল্পকলার যতগুলো ধারা বর্তমান তার মধ্যে সঙ্গীত অন্যতম শ্রেষ্ঠধারা।
উপাচার্য রোববার বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে সঙ্গীত বিভাগের উদ্যোগে আয়োজিত দুই দিন-ব্যাপী ‘সঙ্গীত উৎসব ২০১৮’-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন।
ড. মো. আখতারুজ্জামান প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে প্রদীপ প্রজ্বলনের মাধ্যমে এই সঙ্গীত উৎসবের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। এবারের উৎসবের বিষয় ‘শাস্ত্রীয় সঙ্গীত’।
সঙ্গীত বিভাগের চেয়ারপার্সন টুম্পা সমদ্দারের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আবু মো. দেলোয়ার হোসেন, বাংলাদেশ বেতারের মহাপরিচালক নারায়ণ চন্দ্র শীল প্রমুখ।
উপাচার্য দু’দিনব্যাপী বর্ণাঢ্য এই সঙ্গীত উৎসব আয়োজন করায় সঙ্গীত বিভাগকে আন্তরিক অভিনন্দন জানান।
সঙ্গীত শিক্ষা ও তার চর্চার মাধ্যমে সঙ্গীত বিভাগ যে উদার, অসাম্প্রদায়িক ও মানবতাবাদী চেতনার বীজ শিক্ষার্থীদের মাঝে বপন করে চলেছে সেই ধারা ভবিষ্যতে আরও বেগবান হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
অনুষ্ঠানে দেশ বরেণ্যে দু’জন শিল্পীকে বিশেষ অবদানের জন্য সম্মাননা প্রদান করা হয়। সম্মাননা প্রাপ্ত শিল্পীরা হলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সঙ্গীত বিভাগের প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত শিক্ষক অধ্যাপক ড. মৃদুলকান্তি চক্রবর্তী এবং বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির তবলা প্রশিক্ষক ও বিখ্যাত যন্ত্রশিল্পী মদন গোপাল দাস।
এছাড়া, বিভাগের প্রয়াত শিক্ষক নীলুফার ইয়াসমীনের স্মরণে ২০১৭ সালের বি.এ (সম্মান) পরীক্ষায় প্রথম স্থান অধিকারী উর্মি ঘোষকে ‘নীলুফার ইয়াসমিন স্মারক বৃত্তি’ প্রদান করা হয়।
উল্লেখ্য, সঙ্গীত উৎসবে দ্বিতীয় দিন আজ থাকবে সঙ্গীত বিষয়ক কর্মশালা, সেমিনার ও বিষয়ভিত্তিক বক্তৃতা। সান্ধ্য পরিবেশনে ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র প্রাঙ্গণে সঙ্গীত পরিবেশন করেন বাংলাদেশ, ভারত ও শ্রীলংকার বিশিষ্ট শাস্ত্রীয় সঙ্গীত শিল্পীরা।
বাংলাদেশ সময়: ১৫:১০:৫০ ১৮৭ বার পঠিত