পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছেন, অর্থপাচার দেশের অর্থনীতিতে কোনো প্রভাব ফেলবে না। বাংলাদেশ থেকে অর্থপাচারের বিষয়টি সরকারের নজরদারিতে আছে। তবে অর্থপাচার ঠেকাতে বাংলাদেশ ব্যাংক, এনবিআর, দুদকের মত প্রতিষ্ঠানগুলোকে সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে।
গতকাল মঙ্গলবার গ্লোবাল ফাইন্যান্সিয়াল ইন্ট্রিগ্রেটি-জিএফআই এর প্রতিবেদন নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
সোমবার ওয়াশিংটন ডিসি ভিত্তিক সংস্থা গ্লোবাল ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেগ্রিটি(জিএফআই) এর প্রতিবেদনে এ জানানো হয়, বিদেশে টাকা পাচারে দক্ষিণ এশিয়ায় দ্বিতীয় অবস্থানে এখন বাংলাদেশ। এক নম্বরে আছে ভারত। কেবল ২০১৫ সালেই বাংলাদেশ থেকে চার প্রক্রিয়ায় ৫ দশমিক ৯ বিলিয়ন ডলার পাচার হয়েছে। যা প্রায় ৫০ হাজার কোটি টাকার সমান। এ টাকার বেশিরভাগ বৈদেশিক বাণিজ্যে জালিয়াতির মাধ্যমে পাচার করা হয়। একই পদ্ধতিতে একই বছর দেশে ঢুকেছে ২ শ’ ৩৬ কোটি ডলারের সমপরিমাণ অর্থ।
বিদেশে টাকা পাচারে দক্ষিণ এশিয়ায় ভারতের পরই বাংলাদেশের অবস্থান। জিএফআই’র মতে, উন্নত দেশগুলোর সঙ্গে বাংলাদেশের মোট বাণিজ্যিক লেনদেনের ১৭ দশমিক ৫ শতাংশই কোনো না কোনোভাবেই পাচার হচ্ছে।
জিএফআই’র প্রতিবেদনে ২০০৬ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত ১৪৮টি উন্নয়নশীল দেশের অর্থ পাচারের তথ্য উঠেছে। এ সময়ে উন্নয়নশীল দেশগুলো থেকে ১ ট্রিলিয়ন ডলার পাচার হয়েছে।
২০১৫ সালে টাকা পাচারে শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে মেক্সিকো। ওই দেশ থেকে পাচার হয়েছে ৪ হাজার ২৯০ কোটি ডলার। দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা মালয়েশিয়া থেকে ৩ হাজার ৩৭০ কোটি ছাড়াও ভিয়েতনাম থেকে ২ হাজার ২৫০ কোটি, থাইল্যান্ড ২ হাজার ৯০ কোটি, পানামা ১ হাজার ৮৩০ কোটি এবং ইন্দোনেশিয়া থেকে ১ হাজার ৫৪০ কোটি ডলার পাচার হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১২:০৯:১৪ ১৭৪ বার পঠিত