একুশের চেতনা বুকে ধারণ করে সকলের ভেতর একুশের আবেগ পৌঁছে দিতে ভাষা আন্দোলন নিয়ে রচিত বিভিন্ন গান, কবিতা এবং ১৯৪৭ সালে ভারতবর্ষ ভাগের পরে বাংলাভাষাভাষী বাঙ্গালীদের ভাষার দাবীর অধিকার সংগ্রামের ইতিহাস নিয়ে লন্ডনভিত্তিক সাংস্কৃতিক সংগঠন অগ্নিবীণা ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে আয়োজন করে একুশ আমার অহংকার শীর্ষক অনুষ্ঠান।
অনুষ্ঠানের শুরুতেই অগ্নিবীণার চেয়ারপার্সন সাজিয়া সুলতানা স্নিগ্ধা অগ্নিবীণা গঠনের উদ্দেশ্য লক্ষ্য এবং গঠনের পর থেকে এখন পর্যন্ত সকল সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের সংক্ষিপ্ত বর্ণনা সকলের কাছে তুলে ধরেন।
প্রধান অতিথি বাংলাদেশ হাই কমিশন লন্ডনের পলিটিকাল কন্সুলার শ্যামল কান্তি ভাষা আন্দোলোনের ইতিহাস তুলে ধরে বলেন, ১৯৪৮ সালের ২১ মার্চ মুহাম্মদ আলী জিন্নাহ্ ঢাকায় এক ভাষনে যখন ঘোষণা করেন ‘উর্দুই হবে পাকিস্তানের একমাত্র রাষ্ট্রভাষা’ তখন পূর্ব পাকিস্তানে অবস্থানকারী বাংলাভাষী মানুষ আকস্মিক ও অন্যান্য এ সিদ্ধান্তকে মেনে নিতে পারেনি।
ফলস্বরূপ বাংলাভাষার সম মর্যাদার দাবিতে শুরু হয় সংগ্রাম। ক্রমবর্ধমান গণআন্দোলনের মুখে পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় সরকার শেষ পর্যন্ত নতি স্বীকার করতে বাধ্য হয় এবং ১৯৫৬ সালে সংবিধান পরিবর্তনের মাধ্যমে বাংলা ভাষাকে পাকিস্তানের অন্যতম রাষ্ট্রভাষার স্বীকৃতি প্রদান করা হয়।
অনুষ্ঠানে লন্ডনে বাংলা কৃষ্টি , কালচার, সাহিত্য এবং ভাষার চর্চার আদ্যিপান্ত তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন উদীচী স্কুল অব পারফর্মিং আর্টস এর কর্ণধার এবং সাংস্কৃতিক সংগঠক গোলাম মোস্তফা।
হিমিকা আজাদ এবং শাহিন নাহার লিনার যৌথ পরিচালনায় চারটি ভাগে বিভক্ত অনুষ্ঠানের প্রথম পর্বে অগ্নিবীণার শিল্পীরা প্রথমেই পরিবেশন করে একটি ছোট্ট নাটিকা।শামিমা বেগম মিতার নির্দেশনায় নাটকটিতে অভিনয় করেন শামিমা বেগম মিতা, শাহিন নাহার, হাসিনা হুসেন তুহিন, মিফাতুল নূর, পিয়াস বড়ুয়া, মাহমুদা মনি, সোহা, সাজিয়া স্নিগ্ধা প্রমুখ।
দ্বিতীয়ভাগে একুশের গান পরিবেশন করেন শ্যামল কান্তি, গৌরি চৌধুরী, হীরা কাঞ্চন হিরক এবং নার্গিস রাহাত। আয়োজনের শেষ ভাগে একুশের কবিতা পাঠ করেন কবি ছড়াকার দিলু নাসের, কবি আসমা মতিন, প্রখ্যাত আবৃত্তিকার সুপ্রিয় রায়।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন সাইকা, আনসার আহমেদ উল্লাহ, জামাল খান,তাহমিনা শাখাওয়াত, স্বপন, আবু সুফিয়ান, রোজি, তিথি, কানিস কেয়া, তরুন, জেসিকা, মিলন প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৪:২৯:৫৪ ২৪২ বার পঠিত